কানাডা জব ভিসা ২০২৪ আবেদনের নিয়ম ও খরচ

কানাডা জব ভিসা ২০২৪ বাংলাদেশের মানুষ চাকরি অথবা পড়াশোনার জন্য করে। জীবন ধারণের সুবিধার ক্ষেত্রে কানাডায় যেতে অনেকে আগ্রহী। কিন্তু ভিসা প্রসেসিং বিষয়ক বিস্তারিত ধারণা নেই অনেকেরই।

কানাডা-জব-ভিসা-২০২৪

কানাডায় যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিসা প্রসেসিং এর সুবিধা রয়েছে। এর মধ্যে ওয়ার্ক পারমিট এবং পড়াশোনার ক্ষেত্রে আগ্রহ সবচেয়ে বেশি। কিন্তু আরো অনেক ধরনের কাজেই ভিসা প্রসেসিং করা সম্ভব।

পেজ সূচিপত্রঃ কানাডা জব ভিসা ২০২৪

কানাডা জব ভিসা ২০২৪

কানাডা জব ভিসা ২০২৪, কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ফর বাংলাদেশ পেতে অনেকেই আগ্রহী। কারণ বিদেশে গিয়ে নতুন জীবন যাপন করে ভালো ইনকাম করতে সকলেই চান। যেহেতু বাংলাদেশের জন্য সব ধরনের কাজের সুযোগ সমান ভাবে পাওয়া যায় না এবং বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য বিদেশী রেমিটেন্স যেহেতু অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। 

তাই বিদেশে লোক পাঠাতে পারলে এবং সেটা যদি কানাডার মত উন্নত দেশ হয়ে থাকে তবে সেটা বাংলাদেশের জন্যই উপকারী। প্রতিবছর বহু লোক পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় বাংলাদেশ থেকে জব ভিসায় যাচ্ছেন। এরমধ্যে কানাডায় যাওয়ার প্রার্থীর পরিমানও কম নয়। জব ভিসা হয়ে গেলে খুব ভালো অর্থের সুবিধার জন্য কানাডায় যাওয়া সম্ভব।

আরও পড়ুনঃ ফ্রি টাকা ইনকাম - প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম করুন

অনেক মানুষই জানেন না যে কিভাবে জব ভিসার জন্য এপ্লাই করা যাবে। অনেকের ধারণা যে কানাডায় গিয়ে তারপর জব খুঁজবেন। কিন্তু এ ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। কানাডায় জব ভিসা পাওয়ার জন্য অবশ্যই আগে চাকরি এপ্রুভ হতে হবে এরপর আপনার এপয়েন্টমেন্ট লেটার নিয়েই আপনাকে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।

সাধারণত কানাডার কিছু কাজের ক্ষেত্রে সঠিক কর্মী খুঁজে পাওয়া যায় না। তখন কোম্পানিগুলো বাইরের দেশের বিভিন্ন মাধ্যমে সার্কুলার দিয়ে লোক নিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে তারা কিছু পলিসি মেন্টেন করেন। সেই পেপারগুলো সম্পূর্ণ ঠিকঠাক থাকলে যেসব দেশের লোক পাঠানো হবে তারা ভিসা পেয়ে যাবেন। আর এই জবগুলার বিজ্ঞাপন www.indeed.com এই ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

আপনি চাকরি পেয়ে গেলে তারা আপনাকে একটি এপয়েন্টমেন্ট লেটার দিবে এবং আপনাকে এলএমআইএ তে ইস্যু করবে এবং আপনি যখন ভিসা করতে যাবেন তখন আপনার দেশের ভিসার অফিস থেকে এল এম আই এ করা আছে কিনা সেটা চেক করে দেখবে। সবকিছু কনফার্ম হয়ে গেলেই আপনি ভিসা পেয়ে যাবেন। 

ভিসা পাওয়ার জন্য এছাড়াও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজ রেডি রাখতে হয়। এছাড়াও বেশ কয়েক ধরনের হেলথ ইন্সপেকশন রিপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন এবং বায়োমেট্রিক এর জন্য ভিসা অফিসে গিয়ে জমা দিয়ে আসতে হয় কাগজগুলো। শেষ পর্যন্ত এভাবেই আপনি আপনার ভিসা প্রসেসিং শেষ করে আসতে পারবেন।

কানাডার জব ভিসার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কাগজ

কানাডায় ওয়ার্ক পারমিট প্রসেসিং এর জন্য প্রতিবছরই অনেক ধরনের অ্যাপ্লিকেশন জমা হয়ে থাকে। কিন্তু অনেকেরই সঠিক ধারণা না থাকার কারণে ভিসা হয় না। কারণ বেশিরভাগ মানুষ সব ধরনের কাগজপত্র জমা দিতে পারেন না। সময়ের মধ্যে কাগজপত্র সবকিছু সঠিকভাবে জমা না দিতে পারলে ভিসা হবে না। তাই কাগজের ব্যাপারে সবসময় খেয়াল রাখা জরুরী। 

আপনি যদি আপনার কাগজগুলো সঠিকভাবে গুছিয়ে জমা দিতে পারেন তবে আপনার ভিসা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি থাকে। এজন্য আমরা এখন আপনাকে জানাবো কিভাবে এবং কোন কাগজপত্র গুলো ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে জমা দিতে হয়। এর ফলে আপনারা ভিসা করার সময় কাগজপত্রগুলো আগে থেকেই রেডি রাখতে পারবেন।

আপনার ভিসা খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে। সব ধরনের কাগজপত্র সঠিকভাবে নেওয়া না হলে আপনার কাঙ্ক্ষিত চাকরি আপনি হারিয়ে ফেলবেন। তাই অবশ্যই ভিসা হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ব্যাপারে সাবধান থাকা জরুরি। নিচে যেই কাগজগুলো আপনাকে অবশ্যই জমা দিতে হবে তার একটি তালিকা দেওয়া হলো।

  • শিক্ষা সনদপত্র
  • আপনি যে কাজের জন্য যাচ্ছেন তার এক্সপেরিএন্স সার্টিফিকেট  
  • পাসপোর্ট
  • ভিসা আবেদন ফরমের কপি
  • মেডিকেল রিপোর্ট
  • কোরোনার সনদপত্র
  • চাকরির অফার লেটার
  • আপনার পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • এল এম আই এ ফরমের ফটোকপি
  • বয়স অবশ্যই ৪৫ বছরের নিচে হতে হবে
  • আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র
  • ভাষার দক্ষতার সার্টিফিকেট
  • জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি
  • এবং সাথে অবশ্যই অ্যাপ্লিকেশন ফ্রি নিয়ে যেতে হবে

কানাডা ভিসা আবেদন ফরম 2024 ও আবেদন পদ্ধতি

কানাডা ভিসা আবেদন ফরম 2024 সালের মত ২০২৫ সালেও জবের জন্য অনেক ধরনের সার্কুলার দিয়ে থাকছে কানাডা সরকার। কানাডা জব ভিসার জন্য জব খুঁজতে হলে অবশ্যই আপনি কানাডা জব এ দেওয়া এই লিংকটিতে ক্লিক করলেই কাঙ্খিত ওয়েবসাইটটি পেয়ে যাবেন। এছাড়াও জব ব্যাংক নামে আরো একটি লিংক শেয়ার করা হলো যেখানেও আপনি জব খুঁজে বের করতে পারবেন।

জব-ভিসায়-কানাডায়-যেতে-হলে-আবেদন-পদ্ধতি

এসব জব লিংক গুলোতে আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত চাকরিটি খুঁজে সেই সব চাকরিতে এপ্লাই করতে পারবেন। মূলত আপনি এই অ্যাপ্লিকেশনের পরেই আপনার ভিসা অফিসে গিয়ে ভিসার জন্য আবেদন শুরু করতে পারবেন। তাই অবশ্যই জব আগে পাওয়া, জব ভিসার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জবের জন্য অ্যাপ্লিকেশন করার ক্ষেত্রে এই প্রসেস গুলো খেয়াল রাখতে হবে। 

  • শুরুতে অবশ্যই আপনার কাঙ্খিত ওয়েবসাইটগুলোতে গেলে আপনি একটি পেজ দেখতে পারবেন।
  • প্রথমেই আপনাকে আপনার কাঙ্খিত চাকরিটি খুঁজে বের করতে হবে। সে ক্ষেত্রে সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে সার্চ অপশনে গিয়ে লেখা। আপনি যে বিষয়ে দক্ষতা রাখেন সেই বিষয়ের নাম লিখে সার্চ দিলেই চাকরির বিজ্ঞাপন পেয়ে যাবেন।
  • এরপর চাকরিটি যদি আপনার সাথে মিলে যায় তবে আবেদন করার জন্য একটি ঘর পাবেন সেখানে ক্লিক করে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো যা চাবে তা সাবমিট করতে হবে। পরবর্তীতে তাদের কাছে কনভেনিয়েন্স লাগলে আপনাকে ইন্টারভিউতে কল করবে এবং আপনি যদি যোগ্যতা দেখাতে পারেন তবে আপনাকে অ্যাপ্রুভাল লেটার দিয়ে দিবে এবং আপনার এলএমআইএ ইস্যু করা হবে।

মূলত এলএমআইএ নাম্বারটি ভিসা করার ক্ষেত্রে ভিসা অফিসে চেক করে দেখা হয় যে আপনি আসলেই চাকরিতে পেয়েছেন এবং কানাডা সরকার কর্তৃক সব ধরনের ডকুমেন্ট এখানে পাওয়া যাবে। যা দেখে আপনার দেশ থেকে আপনি ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবেন। এর সাথে বাকি তথ্যগুলো যেগুলো ভিসায় জমা দিতে হয় তা জোগাড় করে আবেদন সম্পন্ন করার সম্ভব।

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ কত

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ কত তা অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন। ভিসা পাওয়ার জন্য কেমন খরচ হয় তা না জানার কারণে অনেকেই দালালের হাতে পড়ে এবং বেশি অর্থ খরচ করে ফেলেন। এই সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা আজকে খরচ বিষয়ক তথ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করব।  

প্রথমেই বলে রাখা ভাল যে স্বাভাবিকভাবে কানাডায় জবের জন্য যাওয়ার ক্ষেত্রে খরচ হয় ৭ থেকে ১২ লক্ষ টাকা। তবে সরকারিভাবে এর খরচ আরো কম যা কিনা মাত্র ৩ লক্ষ টাকা। কিন্তু আপনি যদি বেসরকারি ভাবে যেতে চান তবে ৬ থেকে ১২ লক্ষ টাকা বা এর থেকেও বেশি খরচ হতে পারে। এছাড়া দালালের খপ্পরে পড়লে খরচ আরো বেশি হবে। 

তাই সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সঠিক উপায়ে চেষ্টা করাই সবচেয়ে যুক্তিযুক্ত। কানাডা অনেক বড় শহর এবং কম জনসংখ্যা হওয়ার কারণে অনেক ধরনের কাজের জন্য পর্যাপ্ত ওয়ার্কার পাওয়া যায় না। এসব কারণে কানাডা বাইরের দেশের থেকে লোক হায়ার করার চেষ্টা করে। আর যেহেতু বাংলাদেশে জনসংখ্যা বেশি এবং মানুষ কানাডায় যেতে আগ্রহী তাই এখানে জব ভিসা নেওয়ার আগ্রহ বেশি দেখা দেয়।

এ কারণে বেশিরভাগ মানুষই প্রশ্ন করেন যে যেতে কেমন খরচ পড়ে। কানাডা সরকারিভাবে ভিসার আবেদন এর জন্য খরচ হয় ১২৫০৬ টাকা, এলএমআইএ এর ফি ৮০৬৯০ টাকা, হেলথ এক্সামিনেশন এর জন্য খরচ হয় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা এবং বায়োমেট্রিক করার জন্য দরকার পড়ে ৭০০০ টাকা। এভাবে আরো বেশ কিছু বিষয় মিলিয়ে তিন লাখ টাকার মত খরচ পড়ে যায়।

বাংলাদেশ থেকে কানাডায় পড়তে কত টাকা লাগে

বাংলাদেশ থেকে কানাডায় পড়তে কত টাকা লাগে? কানাডায় যাওয়ার যোগ্যতা অনেক অংশে খরচের উপর নির্ভর করে। কারণ বাংলাদেশের জন্য কানাডায় যাওয়ার লিভিং কস্ট অনেক বেশি। আর পড়াশোনার ক্ষেত্রে এ খরচের অনেক তারতম্য দেখা দেয়। 

এ কারণেই অনেকে জানতে চান যে পড়াশোনার ক্ষেত্রে কানাডায় যাওয়ার খরচ কেমন। তাই যেন কোন দালালের খপ্পরে না পড়ে অনেক টাকা নষ্ট হতে পারে সেজন্যই বিস্তারিত আলোচনা করতে হবে।  

পাসপোর্টঃ ভিসা পাওয়ার আগে প্রথমেই একটি পাসপোর্ট বানিয়ে নিতে হবে। পাসপোর্ট এর পেজের উপর নির্ভর করে দাম কম বেশি হয়। দেখা যায় ৪৮ পেজের পাসপোর্ট বানাতে হলে ৪০২৫ টাকা খরচ হয়। আবার যদি ৬৪ পেজের পাসপোর্ট বানানো লাগে তবে ৬৩২৫ টাকা খরচ করে । তবে এখানে কত তাড়াতাড়ি পাসপোর্টটা দরকার সেটার উপর নির্ভর করেও খরচে তারতম্য দেখা দেয়।

আইইএলটিএসঃ যাওয়ার আগে যে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করতে হবে তা হচ্ছে একটি আইইএলটিএস কোর্স করা। অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা এই কোর্সটি করিয়ে থাকেন আর কানাডায় জাওয়ার জন্য এই কোর্স করে অবশ্যই ৬ থেকে ৬.৫ নাম্বার পেতে হবে এবং প্রতিষ্ঠান ভেদে কোর্সের খরচ এর পার্থক্য দেখা দেয়। মোটামুটি ৪০০০০ টাকা এই কোর্সটি করতে খরচ হয়ে যায়।

আইইএলটিএস পরীক্ষার ফিঃ আইইএলটিএস কোর্স করার পর এটার পরীক্ষা দিতে হবে। আর এই পরীক্ষার জন্য আলাদা ফি রয়েছে। ফি বাবদ ২০ হাজার টাকা খরচ হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় আবেদনঃ এরপর আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয় আবেদন করতে হবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় আবেদনের ক্ষেত্রেও কিন্তু খরচ হয়। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে একবারে তিন থেকে চারটি বিশ্ববিদ্যালয় পছন্দ করে আবেদন করে ফেলা। এক্ষেত্রে প্রত্যেকটি বিদ্যালয়ে আবেদন করতে খরচ পরে ১০০ থেকে ১৫০ কানাডিয়ান ডলার যা কিনা প্রায় .৪০০০০ টাকার মতো। 

পুলিশ ক্লিয়ারেন্সঃ এর পরই আছে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর বিষয়টি। এর জন্য সোনালী ব্যাংক বা যে কোন সরকারি ব্যাংকে ৫০০ টাকার একটি চালান দিয়ে ক্লিয়ারেন্স করে নিতে হয়। 

বিভিন্ন সনদ পাঠানোঃ আপনার ইউনিভার্সিটি, স্কুল-কলেজের সার্টিফিকেট এবং ট্রান্সক্রিপ্ট তুলে তা কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটিতে পাঠিয়ে দিতে হবে। এক্ষেত্রে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকার মতো খরচ পরে। 

নোটারি খরচঃ কানাডায় যাওয়ার জন্য অবশ্য ১৮ বছর হতে হবে। আর সে ক্ষেত্রে আপনার একটি ব্যাংক স্টেটমেন্ট দিতে হবে। বেশিরভাগ ডকুমেন্ট নোটারি করে নিতে হবে। বাবা-মার সম্পদের একটা ইভ্যালুশন করে দিতে হবে। এসব ক্ষেত্রে খরচ পড়বে ১৫ হাজার টাকার মতো।

ট্যাক্স ফাইলঃ যেহেতু আপনি আঠারো বছর বয়সের পর যাচ্ছেন তাই অবশ্যই আপনার একটা টেক্সট ফাইল করে নিতে হবে এবং সেটা করতেও ৫ হাজার টাকার মতো খরচ হবে।

বায়োমেট্রিক কষ্টঃ যেহেতু কানাডায় যাওয়ার জন্য বায়োমেট্রিক করতে হয় তাই বায়োমেট্রিক কষ্ট এ খরচ পড়বে ৮৫ কানাডিয়ান ডলার। যা ৬৬৬৩ টাকা।

ভিসা ফিঃ কানাডা যাওয়ার জন্য ভিসা ফি প্রায় ১৫০ ডলার বা ১১৭০০ টাকা। 

মেডিকেল ফিঃ কানাডায় যাওয়ার জন্য বেশ কিছু হাসপাতাল থেকে মেডিকেল চেকআপ করে নিতে হয়। এসব ক্ষেত্রে খরচ পড়ে ১৭০ কানাডিয়ান ডলারের মত যা কিনা প্রায় ১৩২৬০ টাকা।

বিমান ভাড়াঃ কানাডা যেতে বিমান খরচ পরে এক লাখ টাকার মত। তবে অবশ্যই সেটা কম হয় যদি আরো বেশিদিন আগে টিকিট কেটে রাখা যায়।

এছাড়া কেনাকাটা এবং টিউশন ফি রয়েছে যা আপনার প্রয়োজন মতো এবং সুবিধা অনুযায়ী এক এক রকম হয়ে থাকে। টিউশন ফি একেকজনের জন্য একেক ধরনের। আন্ডার গ্রাজুয়েশন এর জন্য গেলে টিউশন ফি সেমিস্টার প্রতি তিন লাখ থেকে চার লাখ টাকা হয়ে থাকে। আর পোস্ট গ্রাজুয়েশন বা এর উপরে কোথাও গেলে স্কলারশিপ এর কারণে খরচ এর পার্থক্য দেখা দিবে।

এছাড়া লিভিং এক্সপেন্স এর জন্য বেশ কিছু টাকা নিয়ে যেতে হয়। যেহেতু আন্ডার গ্রাজুয়েশন স্টুডেন্টদের জন্য কোন জব করার পারমিশন নেই তাই এখানে লিভিং কষ্ট বেশি। যা কিনা ১০ লাখ টাকার মত। তবে পোস্ট গ্রাজুয়েশন বা এর ওপরে যেহেতু ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে তাই সেক্ষেত্রে লিভিং এক্সপেন্স একটু কম যা  ৪ লক্ষ টাকা। 

কানাডা জব ভিসা ২০২৪ বিষয়ে কিছু প্রশ্ন

প্রশ্নঃ কিভাবে কানাডায় যাওয়ার জন্য জব ভিসা করতে হবে?

উত্তরঃ কানাডায় জব ভিসায় যাওয়ার জন্য সহজ পদ্ধতি গুলো আমরা আপনাদেরকে উপরে বিস্তারিত জানিয়ে দিয়েছি। তবুও খুব সহজভাবে যদি বলতে হয় তাহলে আইআরসিসি ওয়েবসাইট থেকে আপনারা আবেদন করতে পারেন এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সেখানে জমা দিতে হবে এবং আপনাদের ফি জমা দিতে হবে।

পরবর্তীতে বায়োমেট্রিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও ছবি নিকটস্থ ভিসা আবেদন কেন্দ্রে গিয়ে করে আসতে হবে। এরপর আপনার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে সেই রিপোর্টটি জমা দিতে হবে। কোন ধরনের অপরাধ করেনি এমন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স জমা দিতে হবে। সব তথ্যগুলো পর্যালোচনা করার মাধ্যমে ভিসা অফিস নির্ধারণ করবে আপনাকে ভিসা দিতে পারবে কিনা।  
কোন কারণে ভিসা রিজেক্ট হলে আপনি নতুনভাবে আবার একই পদ্ধতিতে আবেদন শুরু করতে পারবেন। 

প্রশ্নঃ কানাডায় বাংলাদেশের কার মাধ্যমে যেতে পারি?

উত্তরঃ অবশ্যই সরকারিভাবে আবেদন করতে হবে। দালালের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে না। দালাল কোন বৈধ পন্থা অবলম্বন করে না বরং আপনার এক্ষেত্রে আর্থিক এবং চারিত্রিক ক্ষতি হতে পারে।

প্রশ্নঃ কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়ার জন্য কেমন খরচ হয়?

উত্তরঃ কানাডায় পড়তে যাওয়ার জন্য অনেকে আগ্রহী। অনেকে পড়তে যাওয়ার ক্ষেত্রে কেমন খরচে পড়ে তার ঠিকমতো জানেন না। পড়তে যাওয়ার ক্ষেত্রে, এক এক ধরনের পড়াশোনার জন্য বিভিন্ন রকম খরচ পরে। অনার্স লেভেলে পড়তে যাওয়ার এক ধরনের খরচ আবার মাস্টার্স বা পিএইচডি করতে আরেক ধরনের খরচ হয়। অনেকে স্কলারশিপের জন্য কম খরচে পড়তে যেতে পারেন।

কানাডা কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি

কানাডা কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি কানাডায় জব ভিসা পাওয়ার এতটা পাগল হওয়ার কারণ মূলত কানাডায় প্রতিবছরই হাজার জব সেক্টর ওপেন হয়। যেহেতু তাদের লোকজন স্বল্পতা রয়েছে এবং অনেক ধরনের কাজের সুবিধা রয়েছে। তাই বেশিরভাগ মানুষই কানাডায় গিয়ে আধুনিক সব ধরনের সুবিধা গ্রহণ করে চাকরির জন্য যেতে আগ্রহী। আর তাদের ওয়ার্কিং আওয়ার সপ্তাহে মাত্র ৪০ ঘন্টা।

যেহেতু বেশিরভাগ মানুষ জব পারপাসে কানাডায় আসতে চান তাই অনেকেরই প্রশ্ন থাকে যে কোন ধরনের জবে সবচেয়ে বেশি সুযোগ সুবিধা এবং ইনকাম হয়। এক্ষেত্রে বলা যায় তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক যে চাকরির সুযোগ গুলো রয়েছে সেসব জায়গায় কানাডিয়ান ইনকাম সবচেয়ে বেশি যা বছরে প্রায় ৮৩ হাজার কানাডিয়ান ডলার।

তবে ফ্রেশারদের জন্য এই ইনকাম বছরে ৬৪ হাজার থেকে শুরু হয় এবং অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ইনকাম দাঁড়ায় প্রায় ১৩০ হাজার কানাডিয়ান ডলার। প্রকৌশল বিভাগে যারা চাকরি করতে আগ্রহী তাদের ক্ষেত্রে ফ্রেশারদের বেতন বছরে আসে প্রায় ৫৪ হাজার কানাডিয়ান ডলার এবং অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৩০ হাজার কানাডিয়ান ডলার।

একাউন্টিং এবং ফিন্যান্স বিভাগের জন্য এই দেশে চাকরির সুযোগ অনেক বেশি। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই এসব বিষয়ে ডিগ্রি থাকতে হবে। বছরে গড়ে এই ধরনের প্রফেশনে ইনকাম আসে ১০৫ কানাডিয়ান ডলার। বিভিন্ন বিপণী বিতান কেন্দ্রে চাকরির সুযোগ এই দেশে খুব সহজে হয়ে থাকে। এই ধরনের চাকরি খুব তাড়াতাড়ি পাওয়া যায় এবং এর বিশেষ কোনো লাইসেন্স পাওয়ার প্রয়োজন নেই।

এই ধরনের চাকরিতে অবশ্যই ডিগ্রিধারী হতে হবে এবং খুব তাড়াতাড়ি এই চাকরি পাওয়ার কারণে এর বাৎসরিক আয় কিন্তু কম নয়। বছরে ৭৭ হাজার কানাডিয়ান ডলার এখান থেকে ইনকাম করা যায়। চিকিৎসা বিষয়ক চাকরিতে এই দেশের অভিবাসন প্রক্রিয়া চালু রয়েছে। ডক্টর, নার্স ছাড়াও আরো অনেক ধরনের প্রফেশনে এদেশে আবেদন করা যায়। 

যেহেতু এইসব প্রফেশনেরও চাহিদা অনেক বেশি এবং ইনকামও বেশ ভালো পরিমাণে হয়ে থাকে তাই এর বাৎসরিক আয় গড়ে ৯৪ হাজার কানাডিয়ান ডলার।

কৃষি কাজের জন্য কানাডায় ভিসার আবেদন

কৃষি কাজের জন্য কানাডায় ভিসার আবেদন কানাডার জব ভিসার জন্য আমরা আলোচনা করলেও আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ জব ভিসা হচ্ছে কৃষি কাজের জন্য ভিসা আবেদন। এটাও একটি জব কিন্তু এখানে কৃষি কাজের জন্য জব ভিসাটি আলাদা হয়ে থাকে। 

মূলত যাদের অন্য দেশে গিয়ে কৃষি কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে এ ছাড়া কৃষিকাজ ভিত্তিক অনেকদিন ধরে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন তাদের জন্য এই ভিসাটি। কৃষিকাজের জন্য অস্থায়ী ভিসা সুযোগ দেওয়া হয়ে থাকে কারণ যেহেতু সিজনাল কাজ। 

সাধারণ নাগরিকরা কৃষিকাজের এই ভিসা পান না। তাই যোগ্য প্রার্থী কৃষিকাজের জন্য আবেদন করে যদি অ্যাপ্রভাল পেয়ে থাকে তবেই সে বাংলাদেশ থেকে কৃষি কাজের ভিসা করার জন্য আবেদন করতে পারেন।

  • প্রথমেই কৃষি কাজের জবটা যে এপ্রুভ হয়েছে আর এপ্রুভাল লেটার থাকতে হবে।
  • এরপর সহজ হয় কোন এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা তৈরি করে ফেলা।
  • এজেন্সির সাহায্যে কানাডিয়ান দূতাবাসে কথা বলেও আবেদন করা যায়।
  • আবেদনপত্রে প্রয়োজনীয় সব তথ্য প্রদান করার মাধ্যমে দূতাবাসে জমা দিতে হবে।
  • আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পর অবশ্যই ফি পরিশোধ করতে হবে। ২৫৫ কানাডিয়ান ডলার কৃষি ভিসা আবেদন ফি।

কানাডা শ্রমিক ভিসার সুবিধা

কানাডা শ্রমিক ভিসার সুবিধা কানাডার জব ভিসা আবেদন বিষয়ক আমরা বেশ কিছু আলোচনা করার মাধ্যমে আরো একটা ভিসার বিষয়ে কথা বলতে পারি সেটা হচ্ছে শ্রমিক ভিসা পদ্ধতি। কৃষি ভিসার মত শ্রমিক ভিসা ও অস্থায়ী ধরনের একটি ভিসা পদ্ধতি। প্রতিবছর কানাডা সরকার নিয়োগের মাধ্যমে লেবার ভিসায় অনেক লোক বিভিন্ন দেশ থেকে নিয়ে আসেন।

কানাডা-শ্রমিক-ভিসার-সুবিধা

লেবার ভিসাতে বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে এখানে কাজ করা এবং বসবাস করার সুযোগ দেওয়া হয়। কানাডার মতো এরকম উন্নত দেশে থাকা খাওয়ার সুবিধা দিলে অনেক মানুষই আসতে আগ্রহী হবে। তবে শ্রমিক ভিসা পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে দক্ষতা সম্পন্ন হতে হবে।

শ্রমিক ভিসার জন্য বিভিন্ন ধরনের কাজের অপশন রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে কার্পেন্টার, কার্পেন্টারের হেলপার, ক্লিনার, ওয়েলডার শ্রমিক, রেস্টুরেন্ট এর কাজ, খামার বাড়ির কাজ, কুকুর পালার কাজ ইত্যাদি। কানাডায় লেবার ভিসায় যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদনের প্রসেসটা অনেক বেশি সময় সাপেক্ষ। পাঁচ থেকে আট মাস সময় লেগে যায় ভিসা পেতে।

ভিসার অনুমতি পেতে প্রায় তিন থেকে পাঁচ হাজার মার্কিন ডলার খরচ করতে হয়। তবে সব ধরনের ডকুমেন্ট, টিকিট এবং ভিসা খরচ সহ কানাডা যেতে সবমিলিয়ে বাংলাদেশী টাকায় খরচ পড়ে ৫ থেকে ১৫ লক্ষ টাকার মত। তবে এদিক থেকে আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেন দালালের হাতে না পড়েন। কানাডার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদনের মত লেবার ভিসা ও আবেদন করতে হয়।  

কানাডায় সহজ ও কম খরচে যাওয়ার পদ্ধতি

কানাডায় জব সার্কুলার ২০২৪ এ আমরা বিভিন্ন ধরনের ভিসার আবেদন পদ্ধতির সম্পর্কে আলোচনা করেছি কিন্তু অনেক প্রশ্ন থাকে যে এত সময় সাপেক্ষ এবং খরচের বদলে কি খুব কম সময়ের মধ্যে সহজ ভাবে ভিসা পাওয়া যায় কি না। সাধারণত যেকোনো ভাবে ভিসা করার প্রয়োজন হোক না কেন তা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।

তবে আমরা দেখেছি যে সরকারিভাবে যদি আপনি ভিসা করে কানাডায় যাওয়ার চেষ্টা করেন তবে খরচ অনেক কম পড়ে। তাই চেষ্টা করা উচিত যেন সরকারিভাবে ভিসা করা হয়। এতে আপনার অথেন্টিসিটি এবং খরচ দুটি বেঁচে যাবে। তবে আরো একটি উল্লেখযোগ্য সহজ উপায় হচ্ছে যদি আপনার কানাডায় কোন আত্মীয় স্বজন থাকে এবং তাদের মাধ্যমে কানাডায় খুব সহজেই আসতে পারেন।

কানাডায় জব ভিসা ২০২৪ বিষয়ে আরো কিছু প্রশ্ন

প্রশ্নঃ কানাডায় জব ভিসার ক্ষেত্রে আবেদন এর ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে চাওয়া হবে?

উত্তরঃ কানাডায় চাকরির ক্ষেত্রে জব ভিসা নিয়ে যেতে হলে অবশ্যই আপনাকে প্রথমেই কানাডিয়ান যে অফিস থেকে আপনি অফার লেটার পেয়েছেন সেটি দেখাতে হবে। এরপর আপনি যে কাজের জন্য যাচ্ছেন সে কাজটি আপনার করার সক্ষমতা রয়েছে কিনা সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে। যে কাজটি পেয়েছেন তা কানাডিয়ান এম্পয়ার দ্বারা এল এম আই এ অনুমোদিত কিনা সেটা যাচাই করা হবে। 

প্রশ্নঃ কানাডা ভিসা পাওয়ার জন্য সর্বনিম্ন কত বছর বয়স হতে হবে?

উত্তরঃ কানাডা ভিসা পেতে সর্বনিম্ন ১৮ বছর বয়স হতে হবে।

প্রশ্নঃ জব ভিসায় কানাডা যেতে কত টাকা খরচ হয়? 

উত্তরঃ চাকরি করার জন্য কানাডায় যাওয়ার ক্ষেত্রে ৭ থেকে ৮ লাখ টাকার মতো খরচ হয়ে থাকে। তবে যদি অন্যভাবে বা দালালের মাধ্যমে ভিসা করার প্রসেসিং থেকে শুরু করে কানাডায় যেতে চান তবে.১০ থেকে ১২লাখ বা এর থেকে বেশিও খরচ হতে পারে।

প্রশ্নঃ কানাডায় ভিসা প্রসেসিং এর জন্য আবেদন ফর কিভাবে পূরণ করতে হয়?

উত্তরঃ কানাডার ভিসা পারমিটের এর জন্য অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করা যায়। এক্ষেত্রে কানাডা ডট কম ওয়েবসাইটটিতে গিয়ে আবেদন ফরম পূরণ করে আসতে পারেন এবং সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে পরবর্তীতে পারমিট পেয়ে যাবে। 

কানাডায় জব ভিসা ২০২৪ বিষয়ক লেখকের মন্তব্য 

কানাডা জব ভিসা ২০২৪ নিয়ে প্রত্যেকেরই আগ্রহ কমবেশি রয়েছে।প্রতিবছরে যেহেতু চার থেকে পাঁচ লক্ষ মানুষ বাংলাদেশ থেকে কানাডায় যাচ্ছেন এতে করে বোঝা যায় যে কানাডাতে সেটেল হওয়ার বা বিশেষ সুবিধা পাওয়ার জন্য বেশিরভাগ মানুষ এই কানাডায় যেতে আগ্রহী। কিন্তু কানাডায় যাওয়ার সঠিক নিয়ম বা গুরুত্বপূর্ণ কাগজ বিষয়ে ধারণা কম থাকে।

কানাডায় যাওয়ার আগ্রহ বেশি থাকার কারণে বাংলাদেশ সরকার প্রতিবছরই অনেক ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকেন। সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা কোথায় পাব এবং কোন ধরনের দালালের হাতে যেন না পড়ে সে আশায় আমাদের এই আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে। যেন আপনারা এখান থেকে সঠিক ধারণা নিয়ে কানাডায় যাওয়ার সব ধরনের ব্যবস্থা শুরু করে দিতে পারেন। 2024112

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ফোকাস আইটি ইনস্টিটিউট এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url