মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো ও সর্বোচ্চ ইনকাম ২০২৪

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এ প্রশ্নটি যে ফ্রিল্যান্সিং এখনও শুরু করেন নাই, সকলেরই জানার আগ্রহ। কারণ কর্ম ক্ষেত্রে নতুন সুবিধা পাওয়ার জন্য ফ্রিল্যান্সিং মোবাইলের মাধ্যমে শিখতে পারার সুযোগ তৈরি করা জরুরী।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো

ফ্রিল্যান্সিং বর্তমানে বহুল আলোচিত একটি কাজের মাধ্যম। ঘরে বসেই এখান থেকে ইনকাম করা সম্ভব। তাই মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় কিনা এবং ফ্রিল্যান্সিং শেখার প্রস্তুতি কেমন হতে পারে তা অনেকেই জানতে চান।

পেজ সূচিপত্রঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো, ফ্রিল্যান্সিং একটি স্বাধীন পেশা। মোবাইল বা কম্পিউটার যেকোনো ভাবেই ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব। যেহেতু নিজের ইচ্ছামতো নিজের পছন্দের কাজ খুঁজে করার মাধ্যমে ইনকাম করা সম্ভব তাই বেশিরভাগ মানুষেরই পছন্দের তালিকায় ফ্রিল্যান্সিং রয়েছে। এজন্য বিভিন্ন উপায়ে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শেখা যায় তা সকলেরই বহুল আকাঙ্ক্ষিত প্রশ্ন।

পেশা হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজের দুনিয়া অনেক বড়। বিভিন্ন ধরনের কাজেরই ফ্রিল্যান্সিং ভার্সন রয়েছে। যেমন ফটোগ্রাফি, বিভিন্ন ধরনের কনস্ট্রাকশন বা ইঞ্জিনিয়ারিং এর কাজ থেকে শুরু করে অফিসিয়াল বিভিন্ন ধরনের কাজই ফ্রিল্যান্সিং এ রয়েছে। আর ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য ফিক্সড কোন কোম্পানির আন্ডারে থাকতে হয় না।   

কোন নির্দিষ্ট নিয়ম নীতি নেই তাই কাজ করে যে ইনকামটা হবে তা পুরোটাই আপনার। আর এ স্বাধীন পেশাতে কাজ করলে কোন লস নেই। তাই আপনি যে পেশায় ফ্রিল্যান্সিং করতে চান না কেন আপনি যদি দক্ষতা বাড়িয়ে ক্লায়েন্টকে খুশি করতে পারেন তবে বেশি কাজ পাবেন এবং ইনকাম করতে পারবেন।  

আর এই সহজলভ্যতা এবং পছন্দের কাজ করার স্বাধীনতার জন্য অনেক মানুষই ফ্রিল্যান্সিং করতে আগ্রহী। আর শেখার জন্য শুরুতেই মোবাইল ফোন দিয়ে কি করে দক্ষতা অর্জন করা যায় তা অনেকেই জানতে চান। আমরা আপনাদেরকে আজকে বিভিন্ন ধরনের সেক্টরে কিভাবে খুব সহজে বিনা খরচে অথবা কিছু টাকা খরচ করে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন তাই আজকের জানাবো।

ফ্রিল্যান্সিং শেখার আগে সবার প্রথমে আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে কোন সেক্টরে কাজ করতে আগ্রহী আপনার দক্ষতা কোন ধরনের কাজের মাধ্যমে বিকশিত হবে তা আপনাকেই বের করতে হবে। তা জানতে হলে নিজে কোন কাজ করতে আপনার ভালো লাগে বা আপনার পড়াশুনা কোন দিকে সবকিছুর উপর ভিত্তি করেই আপনি একটি নির্দিষ্ট বিষয় পছন্দ করতে পারেন।  

এসব নির্দিষ্ট বিষয়ের উপরেই আপনার ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য পেইড বা আন পেইড কোর্সগুলো করে অবশ্যই কাজে নেমে পড়া জরুরী। তাই আপনি কোন ধরনের কাজ ফ্রিল্যান্সিং করবেন তা জানার জন্য আপনাদেরকে যে বিষয়গুলো থেকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে সেগুলো হলো - 

  • আপনার বয়স, আপনি কোথায় আছেন এবং আপনার পেশা কি।
  • আপনি ফিল্ড এ কাজ করতে চান নাকি বাড়িতে বসে কাজ করতে চান।  
  • ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য বর্তমানে কোন কাজগুলো সবচেয়ে চাহিদা সম্পন্ন।
  • আপনার এডুকেশনাল ব্যাকগ্রাউন্ড কোন দিকে।
  • আপনার কোন ধরনের কাজে দক্ষতা রয়েছে। যেমন- এডিটিং, রেন্ডারিং বা ফটোগ্রাফি।
  • আপনি কোন ধরনের কাজ করতে পছন্দ করেন।

উপরোক্ত বিষয়গুলো যদি মাথায় রেখে আপনি আপনার পছন্দের বিষয় নির্ধারণ করতে পারেন তবে সেই বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে ফ্রিল্যান্সিং এর রাস্তায় চলা শুরু করা জরুরী। মোবাইল দিয়েই ফ্রিল্যান্সিং শেখা যায়। বর্তমান সময়ের মোবাইল গুলো খুবই স্মার্ট এবং অনেক কাজ করা যায় যার জন্য আগে কম্পিউটারের প্রয়োজন হতো।

অনেক সাইট রয়েছে যেগুলো থেকে সহজেই ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন মোবাইল দিয়ে। আপনার পছন্দমত অনেক ওয়েবসাইট পাবেন যেগুলোতে বিভিন্ন ধরনের কোর্স আপনাকে শিখাতে পারবে। এমনকি অনেক ওয়েবসাইট সার্টিফিকেট ও প্রদান করে থাকে। যা কাজে লাগিয়ে আপনি ভালো ভালো কোম্পানিতে চাকরি করার সুযোগ পাবেন। 

ইউটিউব মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং

ইউটিউব বর্তমানে এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যার থেকে আপনি এমন কোন বিষয় নাই যা শিখতে পারবেন না। আর এটি সম্পূর্ণ ফ্রি একটি ওয়েবসাইট। যার কারণে সব ধরনের ধারণা এবং প্রশিক্ষণ আপনি ইউটিউবের বিভিন্ন ভিডিও দেখে শিখে নিতে পারবেন। যেমন আপনি যদি ডাটা এন্ট্রি দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান।

তবে আপনার মোবাইলের ইউটিউব অপশনে গিয়ে ডাটা এন্ট্রির কোর্স লিখে সার্চ দিলেই অনেক ভিডিও পেয়ে যাবেন এমনকি আপনার প্রোফাইল কিভাবে তৈরি করবেন বা কাজ কি করে পাবেন এধরনের সব ধরনের খুঁটিনাটি বিষয়ে ভিডিও আপনি ইউটিউব থেকেই পেয়ে যাবেন। আর যেহেতু এটি ফ্রি তাই সহজেই আপনি এখান থেকেই বেসিক কোর্সগুলো শিখে ফেলতে পারবেন।

কোর্সেরা মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং

এটি এমন এক ধরনের প্ল্যাটফর্ম যেখানে শুধু ফ্রিল্যান্সিং শেখাই হয় না আপনার বিভিন্ন ধরনের স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য অথবা বিভিন্ন ডিগ্রী কোর্সের জন্য খুবই ভালো কাজে দেয়। আপনি এখানে রাইটিং কোডিং বা ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারবেন। এখানে অনেক ধরনের কোর্স পাওয়া যায় যা চার সপ্তাহ থেকে চার মাসের হয়ে থাকে। সেগুলোতেও অংশগ্রহণ করতে পারেন।

আপওয়ার্ক লার্নিং সেন্টার মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং

মোবাইল দিয়ে আপওয়ার্ক এও বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং শেখা যায়। এখানে থাকা কোর্স গুলো থেকে আপনি ক্লাইন্ট কিভাবে খুঁজতে হবে এবং ভালো প্রজেক্ট পাওয়া যায় এসব বিষয়েও আপনাকে বিস্তারিত ধারণা দিবে। এখানকার কোর্স গুলো করলে আপনার ভালো প্রোফাইল ডিজাইন করা ছাড়াও মার্কেট প্রাইজ এর বিষয়েও অভিজ্ঞতা অর্জন হবে।

ফাইভার লার্ন মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং

উদ্যোক্তা বা ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা একটি লার্নিং সাইট হচ্ছে এটি। মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, বিজনেস, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, প্রোগ্রাম, ভিডিও বা ফটোগ্রাফি এসবের ওপর খুব ভালো দুর্দান্ত কিছু কোর্স পাওয়া যায়।

এডেক্স মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং

কপিরাইটিং, কোডিং, ভিডিও এডিটিং, একাডেমিক রাইটিং ইত্যাদি বিষয়ে যদি আপনি পেশাগত দক্ষতা অর্জন করতে চান তবে এডেক্স একটি ভালো প্ল্যাটফর্ম। বিশ্বের সেরা সেরা ইউনিভার্সিটি গুলোর অনেক কোর্স এখান থেকে করা সম্ভব। ফ্রিল্যান্সিং এর প্রোফাইলের সুবিধার্থে সিভি বানানোর প্রফেশনাল কোর্সও এখানে করনো এখানে করানো হয়। 

সোশ্যাল মিডিয়া মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং

বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া খুবই জনপ্রিয় সব ধরনের চাহিদা পূরণের জন্য। অনেক আইটি ইনস্টিটিউট মোবাইলের মাধ্যমেও ফ্রিল্যান্সিং শিখিয়ে থাকেন। এরকম অনেক ধরনের পেজ পাওয়া যায় যাদের সাথে যোগাযোগ করলে আপনি বিভিন্ন কোর্সের সুযোগ সুবিধা পাবেন।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং থেকে ইনকাম

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং থেকে ইনকাম ফ্রিল্যান্সিং মোবাইলের বা কম্পিউটারের মাধ্যমে শিখে আপনি খুব সহজেই ঘরে বসে ইনকাম করতে পারবেন। তবে ইনকাম করার জন্য অবশ্যই আপনাকে একটি ল্যাপটপ কিনতে হবে। কারণ মোবাইলের মাধ্যমে খুব কম কাজই করা যায় যার কারণে আপনি ইনকাম খুব বেশি করতে পারবেন না। 

আর একটি ল্যাপটপ যদি আপনি ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার মধ্যে কিনতে পারেন তবে বাকি কাজগুলো করা সম্ভব। মোবাইলের মাধ্যমে অ্যাপ ফ্রী ডাউনলোড করে কোর্স করে আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর দক্ষ হতে পারেন এবং ছোট ছোট কাজ করতে পারেন। পরবর্তীতে সেই টাকা দিয়ে আপনি সহজেই একটি ল্যাপটপ কিনতে পারবেন।

মোবাইলের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করে আপনি সর্বোচ্চ মাসে ১০ থেকে ২৫ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এর ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু কাজ আছে যেগুলোর সাহায্য করতে পারে যেমন ট্রান্সলেট করা অথবা কনটেন্ট রাইটিং। এমনকি অনেকেই রয়েছেন যারা অন্য কাজ করেও মোবাইলের মাধ্যমে ইনকাম করছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে প্রডাক্ট প্রমোশন।

ফ্রিল্যান্সিং এর প্রকারভেদ

ফ্রিল্যান্সিং এর প্রকারভেদ ফ্রিল্যান্সারদের যেহেতু কোন কোম্পানির আন্ডারে কাজ করতে হয় না এবং একটি স্বাধীন পেশা বরং আপনি চাইলে যে কোন কোম্পানির সাথে নিজের ইচ্ছায় আপনার দক্ষতা অনুযায়ী কাজ করতে পারেন। বর্তমানে পৃথিবীতে ফ্রিল্যান্সিং পেশায় অনেকেই রয়েছেন এবং ভবিষ্যতে ফ্রিল্যান্সিং এর দিকে ঝোক আরো বাড়বে। 

তাই এখানে আমরা বেশ কয়েক ধরনের ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে আলোচনা করব এবং অবশ্যই শুধু মোবাইল দিয়ে এই কাজ গুলো করা সম্ভব নয়। এর জন্য কম্পিউটার বা ল্যাপটপ প্রয়োজন।

কোডিং এর কাজ

শুধু কোডিং ই নয় প্রোগ্রামিং বা ডেভেলপমেন্ট এর জন্য ফ্রিল্যান্সিং খুবই জনপ্রিয়। তবে কোডিং সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকলে অনেক কোম্পানির সাথে আপনি কাজ করতে পারবেন এবং প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

অ্যাপ ভিত্তিক ডেভেলপমেন্ট

জাভা, কোডিং বা ল্যাংগুয়েজ সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকলে এবং দক্ষতা থাকলে মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট করা সম্ভব। তবে এখানেও কোডিং এর ব্যাপারে বিশেষ পারদর্শী হওয়া জরুরি। 

এসইও ওয়ার্ক 

ফ্রিল্যান্সিংয়ের সেক্টরের এসইও খুবই জনপ্রিয়। এই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর সাহায্যে আপনার একটি ওয়েবসাইট খুলতে হবে যা গুগল সার্চ পেজের প্রথম সাড়িতে আনতে হবে। 

গ্রাফিক্স ডিজাইন

গ্রাফিক্স ডিজাইন আরো একটি জনপ্রিয় সেক্টর ফ্রিল্যান্সিংয়ের ওয়ার্ল্ডে। এই সেক্টরে কাজ করার জন্য অবশ্যই আপনার দক্ষ ডিজাইনার হতে হবে। আর দক্ষতা অর্জন করার জন্য অবশ্যই প্র্যাকটিস এর কোন বিকল্প নেই। আর আপনার দক্ষতা এবং কাজের ধরন অনেক বেশি কাজ পেতে সাহায্য করবে।

কপিরাইটিং

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং রাইটিং এর জন্য চাহিদা অনেক। এ কাজে আপনাকে বিভিন্ন কোম্পানির কনটেন্ট লিখে দিতে হবে। আবার কোন কোম্পানির জন্য ব্লগ, বিজ্ঞাপন, বই, কপি, রি টাইপিং এগুলোও করতে হতে পারে।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিংয় করার কিছু সাইট

ফ্রিল্যান্সিং শিখতে হলে বেশ কিছু কোর্স ফ্রি অথবা পেইড ভাবে শিখতে হয় এবং মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য অ্যাপ ভিত্তিক ফ্রিল্যান্সিং সাইড গুলো বেছে নিতে হবে। যেগুলো খুবই জনপ্রিয় এবং সহজেই কাজ পাওয়া যায়। আর সেগুলো নিয়েই আজকে আমরা আলোচনা করব।

মোবাইল-দিয়ে-ফ্রিল্যান্সিংয়-করার-কিছু-সাইট

আপ ওয়ার্ক

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ পাওয়ার জন্য আপ ওয়ার্ক খুবই জনপ্রিয়। আপনি যেই ধরনের কাজে দক্ষতা অর্জন করবেন সেই কাজই আপনি খুঁজলে পেয়ে যাবেন এবং আপনি যত কাজ করবেন তার থেকে কিছু কমিশন ফি কেটে নিবে। তবে আপনি যত বেশি কাজ পাবেন কমিশন ফি তত কম কাটবে।

ফাইবার

ফাইবার আরো একটি সাইট যা ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য খুব ভালো পরিষেবা দিয়ে থাকে। বিভিন্ন ব্যবসা মালিকরা ফ্রিল্যান্সারদের সাথে সংযোগ এই ফাইবার দিয়েই করে থাকেন। ফাইবারে ৩.৪২ মিলিয়ন ক্রেতা থাকার কারণে এখানে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।

ফ্রিল্যান্সার ডটকম

এটিও আরও একটি ওয়েবসাইট। ক্লাইন্টরা তাদের প্রয়োজন মত ফ্রিল্যান্সার খুঁজে বের করতে পারেন এই সাইট থেকে। এই ওয়েবসাইটেও প্রতিটা কাজের জন্য উপার্জনের টেন পার্সেন্ট কেটে নেওয়া হয় এবং টাকা নেওয়ার জন্য পেপাল ব্যবহার করতে হবে।

মোবাইলের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ

মোবাইল দিয়ে করা যায় এমন কিছু কাজের নাম আজকে আমরা উল্লেখ করব। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য মোবাইল ফোনই যথেষ্ট। আর এই মোবাইল ফোন দিয়ে বেশ অনেকগুলা কাজই করা সম্ভব। তবে পরবর্তীতে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ কিনে কাজ করলে আরো বেশি কাজ পাওয়া যায় এবং ইনকাম বেশি হবে।  

  • ট্রানসলেশন
  • কন্টেন রাইটিং
  • আর্টিকেল রাইটিং
  • ব্লগ রাইটিং
  • ফোরাম পোস্টিং
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
  • ইমেল মার্কেটিং
  • পেপার ক্লিক বিজ্ঞাপন
  • ডাটা এন্ট্রি
  • ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
  • অনলাইন টিউটরিং
  • ওয়েবসাইট মার্কেটিং

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো ও সর্বোচ্চ ইনকাম বিষয়ে কিছু প্রশ্ন

প্রশ্নঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা কি আসলেই সম্ভব?

উত্তরঃ হ্যাঁ অবশ্যই মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব। আর এ বিষয়ে আমরা যথেষ্ট ধারণা আপনাদের দিয়েছি। আপনি আমাদের দেখানো পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করে যদি কাজ নির্ধারণ করতে পারেন তবে অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং এ ক্যারিয়ার তৈরি করতে পারবেন এবং এক্ষেত্রে মোবাইল ফোন আপনার ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগে সাহায্য করবে যা কিনা খুবই সহজ এবং সস্তা। 

তাই যারা এখনো ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেননি তারা মোবাইল দিয়ে কাজ করে ক্যারিয়ার বিল্ড আপ করা যায় কিনা তা দেখতে পারেন।

প্রশ্নঃ ফ্রিল্যান্সিং করার সময় নেটওয়ার্কিং এবং মার্কেটিং এর কৌশল জানা কি গুরুত্বপূর্ণ?

উত্তরঃ শুধু কাজ পারলেই হবে না মার্কেটে কিভাবে ক্লায়েন্ট পাওয়া যায় এবং এই পেশায় যারা অনেক সাকসেসফুল হয়েছে তাদের সাথে সম্পর্ক তৈরি করার খাতিরে মার্কেটিং এবং নেটওয়ার্কিং এর কৌশল জানতে হবে।

প্রশ্নঃ ফ্রিল্যান্সিং করার সময় কোন ধরনের প্রশিক্ষণ ভবিষ্যতে কাজে লাগবে?

উত্তরঃ ফ্রিল্যান্সিং করার সময় অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং ভিত্তিক বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ এবং যে সব অনলাইন কোর্স ও সেমিনার আপনার জন্য উপযোগী হবে মনে করবেন সেখানেই প্রশিক্ষণ নিবেন। ফ্রিল্যান্সিং এর অনেক ধরনের ক্যাটাগরি রয়েছে। আপনি যেই ধরনের কাজ করতে চান সেই ধরনের প্রশিক্ষণ নেওয়াই সবচেয়ে উপযোগী।

ফ্রিল্যান্সিং শিখতে প্রয়োজনীয় কিছু ইকুইপমেন্ট

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কাজ করতে হলে প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্টের জন্য কিছু টুল সম্পর্কে জেনে রাখা জরুরী। এইসব টুলস গুলো প্রজেক্ট এর বিভিন্ন কাজের জন্য বা ক্লায়েন্ট এর সাথে আলোচনার ক্ষেত্রে কাজে লাগে। নিচে তা বর্ণনা করা হলো।

আসানাঃ এটি এক ধরনের প্রোগ্রাম। আপনার কাজের তালিকা গুলো কাজ শুরু করার আগে লিখে রাখতে পারেন এবং আপনার সাথে যারা কাজ করছে তাদের সাথে শেয়ার করতে পারেন।

বেজক্যাম্পঃ এটি এমন একটি জায়গা যেখানে আপনি যে কাজগুলো করেছেন বা প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট এবং যেসব গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা আপনার প্রজেক্টের সব জমা রাখতে পারেন এবং আপনার প্রজেক্টে যারা কাজ করছে তারাও সেটা দেখতে পারবে।

জুমঃ এটি একটি ভিডিও কল। মুখোমুখি কথা বলার জন্য জায়গায় না গিয়ে ফোনের মাধ্যমেই জুম কলে এটেন্ড করে এবং কাজ দেখিয়ে ক্লায়েন্টের সাথে আলোচনা করা সম্ভব অথবা যেহেতু ফ্রিল্যান্সিং ঘরে বসেই করা যায় প্রজেক্ট মেম্বারদের সাথে জুম এর মাধ্যমে যোগাযোগ করা খুবই উপযোগী।

গুগোল মিটঃ জুমের মতো এটিও যোগাযোগের ক্ষেত্রে কার্যকর। প্রয়োজনে ভিডিও অন করে বা অফ করে মিটিং শেষ করে ফেলা যাবে।

গুগোল ড্রাইভঃ বিভিন্ন ফাইল শেয়ার করার জন্য বা সংরক্ষণ করে রাখার জন্য অথবা ছবিগুলো জমা রাখার জন্য গুগোল ড্রাইভ এর ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

টোগলঃ এটি এমন এক ধরনের অ্যাপ যা দিয়ে আপনি কত সময় ধরে কাজ করেছেন সেটা দেখা যায়।

ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক কিছু টিপস

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজের জন্য বেশ কিছু টিপস মাথায় রাখা জরুরি। যেহেতু আপনি ফোনের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং শিখে কাজ করবেন তাই নিরাপত্তা জনিত বেশ কিছু কাজ বা সাবধানতা আপনাকে বজায় রাখতে হবে।

  • প্রথমেই আপনাকে ভালো দক্ষ হতে হবে আপনি যে কাজটি করছেন তার ওপর।
  • একটি নির্দিষ্ট ধরনের কাজের উপর মনোনিবেশ করা জরুরী। বিভিন্ন ধরনের কাজ না করে একটাতে ফোকাস করা সাকসেসের লক্ষণ।
  • বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার কাজ ভিত্তিক প্রোফাইল তৈরি করুন যা দেখে ক্লাইন্টরা আপনার দক্ষতা বা অভিজ্ঞতার প্রতি সন্তুষ্ট থাকে।
  • আপনার কাজের সঠিক দাম নির্ধারণ করুন।
  • মোবাইলের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ইন্টারনেটের সংযোগ এবং প্রয়োজনে ব্রড ব্যান্ডের লাইন এ পাসওয়ার্ড চেঞ্জ করা জরুরী।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার সময় কাজের সুবিধা

ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখব এ বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি এবং মোবাইলের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং শেখার যে অনেক ধরনের সুবিধা রয়েছে তা অনেকেই বুঝতে পারে না। যেমন,
  • ফ্রিল্যান্সিং যেহেতু স্বাধীন পেশা তাই যেকোনো সময় যেকোনো পরিস্থিতিতে আপনি কাজ করতে পারেন।
  • নিজের প্রয়োজনে পছন্দমত সময় নির্বাচন করে কাজ করতে পারবেন।
  • মোবাইলের সাথে কাজ করার জন্য ল্যাপটপ বা কম্পিউটার টানাটানি করার প্রয়োজন পড়ে না। তাই কোথাও গেলেও মোবাইল দিয়ে সহজেই কাজ করতে পারবেন।
  • মোবাইল দিয়ে কাজ করার জন্য শুয়ে বসে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ নামিয়ে ছোটখাটো অনেক কাজ করা যায়।
  • ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজে দক্ষ হলে আর্থিকভাবে সচ্ছল হওয়া সম্ভব।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর সীমাবদ্ধতা

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর সীমাবদ্ধতা ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ মোবাইলের মাধ্যমে শিখে কাজ করে বেশ কিছু সুবিধা থাকলেও এর কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ল্যাপটপ বা কম্পিউটার থাকলে এধরনের সমস্যা হয় না। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, 

মোবাইল-দিয়ে-ফ্রিল্যান্সিং-এর-সীমাবদ্ধতা
  • ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে অনেক ধরনের কাজ করা যায়। কিন্তু মোবাইলে খুব বেশি কাজ করা সম্ভব নয়।
  • মোবাইলে খুব বেশি টুলস বা এক্সটেনশন নেই যার কারণে সব কাজ মোবাইলের মাধ্যমে হয় না।
  • মোবাইলের মাধ্যমে কাজ করে খুব বেশি মনোযোগ ধরে রাখা যায় না। কারণ মোবাইলে কাজ করতে গেলে কোনটেক্স বা ভিডিও বা ফোন কলের জন্য কাজের প্রতি ফোকাস নষ্ট হয়ে যায়।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এ বিষয়ে আরো কিছু প্রশ্ন

প্রশ্নঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কোন ধাপগুলো মেনে চলা উচিত?

উত্তরঃ এ বিষয়ে আমরা উপরে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। তাও সংক্ষেপে যদি বলতে হয় তবে প্রথমেই নিজের দক্ষতা এবং যে কাজের প্রতি ইচ্ছা তৈরি হবে সেই কাজের বিষয়ে প্রথমে প্রশিক্ষণ নিয়ে একটি পেশাদারী প্রোফাইল তৈরি করার মাধ্যমে ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগ এবং কাজের প্রস্তাব পাঠানো এ কাজের প্রধান প্রধান ধাপ।

প্রশ্নঃ ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে সহজ কাজ কি?

উত্তরঃ ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য সবচেয়ে সহজ কাজ বলতে আপনি যে কাজটি করে সবচেয়ে আনন্দ পাবেন সেটি। তবে মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এবং কপিরাইটার হওয়া অপেক্ষাকৃত অন্য কাজের থেকে সহজ।

প্রশ্নঃ ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ বলতে কি বুঝায়?

উত্তরঃ ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে নিজের ইচ্ছায় নিজের পছন্দমত কাজ করা। এখানে নির্দিষ্ট একটি কোম্পানির আওতাভুক্ত না হয়ে স্বনির্ভর হয়ে কোন ধরনের চুক্তি বা প্রকল্পের ভিত্তিতে ক্লায়েন্টের কাজ করাকেই বোঝায়।

প্রশ্নঃ ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে মাসের সর্বোচ্চ কত আয় করা যায়?

উত্তরঃ আপনি কোন সেক্টরে কাজ করছেন তার ওপর নির্ভর করে আপনি উপার্জন করতে পারবেন। এছাড়া কাজের প্রতি আপনার দক্ষতা কেমন তার থেকেও আপনার ইনকাম নির্ভর করে। যেমন নতুন ফ্রিল্যান্সার মাসে ১০ ডলার ইনকাম করলেও যখন তার দক্ষতা বাড়বে তা ১০০০ ডলার বা তার বেশিও হতে পারে। তবে আপনি যত কাজ করবেন আপনার ইনকাম তত বাড়বে। 

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে বিষয়ে লেখকের মন্তব্য

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো ও সর্বোচ্চ ইনকাম বিষয়ে আমরা অনেক ধারণা আজ এই আর্টিকেল থেকে পেয়েছি। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের কাজ এবং ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কেমন ধরনের পূর্ব প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি সে বিষয়েও আমরা গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছি। যেহেতু বেশিরভাগ মানুষই ফ্রিল্যান্সিং করতে চান সেক্ষেত্রে ফোনটি দিয়েই শুরু করতে পারেন। 

তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং যেভাবেই শিখবেন না কেন অবশ্যই আপনি ফ্রিল্যান্সিং কমিউনিটির সাথে যোগাযোগ রাখবেন। কারণ সব সময়ই কোন না কোন নতুন নতুন প্রযুক্তি এবং নতুন ধরনের কাজ আপডেট হচ্ছে। আর এসব বিষয় আগে থেকেই জেনে রাখা জরুরী এবং সাথে অবশ্যই কাজের ক্ষেত্রে অনেক পরিশ্রমী ও ধৈর্যশীল হতে হবে। 2024112

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ফোকাস আইটি ইনস্টিটিউট এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url