ব্লগে আর্টিকেল লেখার নিয়ম ও ১০৩টি কার্যকারী নীতিমালা
ব্লগে আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদেরকে জানাবো কিভাবে আপনি আপনার ব্লগের জন্য আর্টিকেল লিখা শুরু করবেন এই সম্পর্কে বিস্তারিত।
আপনি যদি ব্লগারের মধ্যে কিভাবে আর্টিকেল লিখতে হয় এ বিষয়টি ক্লিয়ারলি জানতে
চান তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। আজকের এই আর্টিকেলের মধ্যে
আমরা আপনাকে ব্লগে আর্টিকেল লেখার ১০৩টি কার্যকারী নিয়ম সম্পর্কে অবহিত করব।
পেজ সূচিপত্রঃ ব্লগে আর্টিকেল লেখার নিয়ম
- ব্লগে আর্টিকেল লেখার নিয়ম
- বাংলা ব্লগ লেখা শুরু করার আগে প্রাথমিক নিয়ম
- এসইও অপটিমাইজ ব্লগ আর্টিকেল লেখার নিয়ম
- গুগলে ব্লগ লেখার বিষয়ে বিশেষ কিছু নির্দেশনা
- বাংলা ব্লগ লিখে ইনকাম করার উপায়
- ১০৩টি ব্লগ আর্টিকেল লেখার টিপস বিষয়ক কিছু প্রশ্ন
- আর্টিকেল রাইটিং এর পরিচিতি
- আর্টিকেল রাইটিং এর প্রয়োজনীয়তা
- প্রফেশনাল আর্টিকেল রাইটিং বিষয়ের সাবধানতা
- ব্লগ আর্টিকেল লেখার টিপস বিষয়ে আরো কিছু প্রশ্ন
- লেখকের মন্তব্যঃ ব্লগে আর্টিকেল লেখার নিয়ম
ব্লগে আর্টিকেল লেখার নিয়ম
ব্লগে আর্টিকেল লেখার নিয়ম বর্তমান সময়ে ব্লগ আর্টিকেল লেখার টিপস বিষয়ে জানতে অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেন। কারণ ব্লগ আর্টিকেল অনলাইন ভিত্তিক যেকোনো কাজের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ যে কোন একটি বিষয় বা আইডিয়া নেওয়ার জন্য আর্টিকেল খুবই জরুরী।
আর্টিকেল বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে এর মধ্যে লিখিত, ভিডিও ও অডিও দিয়ে অথবা সাথে ছবি বা গ্রাফিক্স সেট করেও আর্টিকেল তৈরি করা যায়। মূলত যে বিষয়ে আর্টিকেল তৈরি হবে সেটা যেন পরিপূর্ণভাবে সকলে বুঝতে পারে তা নিশ্চিত করাই আর্টিকেল রাইটিং এর মূল উদ্দেশ্য।
বর্তমানে আমরা যেই আর্টিকেল নিয়ে আলোচনা করছি তা হচ্ছে ব্লগ আর্টিকেল। ব্লগ আর্টিকেল তৈরি হয় শুধুমাত্র লেখার মাধ্যমে। এখানে অন্য কোন ভিডিও বা অডিও যুক্ত করা হয় না। আজকে আমরা ব্লগে আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।
এ উদ্দেশ্যে আমরা ১০৩ ধরনের ব্লগ আর্টিকেল এর টিপস গুলোর সাথে আপনাদের পরিচয় করে দিব। একটি আর্টিকেল লিখতে হলে কার্যকর ভাবে যেসব প্রধান প্রধান টিপসগুলো জানা জরুরী সেগুলো নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
- আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে কিছু শব্দ আর্টিকেল এর তথ্য সঠিকভাবে প্রবাহিত হতে সাহায্য করে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য শব্দ হচ্ছে উপরন্ত বা সৌভাগ্যবশত।
- আর্টিকেল লিখতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেটি মাথায় রাখতে হয় সেটা হচ্ছে শক্তিশালী শব্দ বের করা। সঠিক শব্দ একটি আর্টিকেলকে ১২.৭% মজবুত করে।
- আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে অবশ্যই বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করে লিখতে হবে। বোধগম্য হবে এমন ওয়ার্ড ব্যবহার করা জরুরী।
- এমন সব শব্দ ব্যবহার করতে হবে যেন তা গুগল বা অন্য কোন ওয়েবসাইটে বেশি সংখ্যক খোঁজা হয়েছে।
- আর্টিকেল লেখার সময় অবশ্যই যাদের জন্য লিখছেন তাদের কথা মাথায় রেখে লেখা জরুরী। একেক প্রজন্মের জন্য লেখার স্টাইল আলাদা হয়ে থাকে।
- আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে টাইপ করে লেখার থেকে মাইক্রোসফট এ মাইক্রোফোন অন করে কথা বলে সেটা টাইপ হয়ে যাওয়ার এই সিস্টেমটা খুবই কার্যকর। বিশেষত এক্ষেত্রে সময় অনেক কম লাগে।
- মাইক্রোফোন অন করে অটোমেটিক টাইপ করার ফলে পরবর্তীতে সন্দেহ থাকলে খসড়া রিভাইস দিয়ে ভুল ঠিক করে নিতে পারবেন।
- কিছু শব্দ ব্যবহার করলে আর্টিকেল অনেক রিয়েলিস্টিক হয়ে থাকে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সৌভাগ্যবশত অথবা এক্সক্লেমেটরি শব্দ।
- কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলো ফ্রি সাহায্য করে ব্লগ লেখার ক্ষেত্রে। কীওয়ার্ড এনালাইসিস করার জন্য এইসব ওয়েবসাইটগুলো খুবই কার্যকর। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে হেডলাইন স্টুডিও বাই কোসিডিউল।
- এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি যে আর্টিকেলটি লিখবেন না কেন সেটা যেন যারা পড়বেন তাদের কাছে ভালো লাগে। এমন ভাবে লিখতে হবে আর্টিকেলগুলো যেন পাঠকদের কোন প্রশ্ন না থাকে।
- লেখার সময় কোন ইটালিক বা বোল্ট ফন্ট ব্যবহার করা উচিত নয়। এটা লেখার কনসেপ্ট কে পরিবর্তন করে দিতে পারে।
- লেখার মধ্যে অবশ্যই কিছু প্রশ্ন এড করে দিতে হবে যেন পাঠকরা প্রশ্নের মাধ্যমেও আর্টিকেল সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নিতে পারে।
- আর্টিকেল লেখার সময় কিছু কোট যুক্ত করতে পারেন। যেই শব্দগুলো সম্পর্কে পরবর্তীতে বর্ণনা করতে হবে। এতে কনটেন্ট সম্পর্কিত বিষয়ে পাঠকের পড়ার আগ্রহ আরও বৃদ্ধি পাবে। এই ধরনের কোটেশন কে টুইটেবল কোট বলে।
- ওয়াডপ্রেস এ ট্যাগ হওয়ার জন্য কিছু হ্যাস ট্যাগ ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রাসঙ্গিক সংকেত দেওয়ার উপায় হিসেবে হ্যাস্ট্যাগ খুবই কার্যকর।
- ইংলিশে আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে মাঝে মাঝে মিমস ব্যবহার করা হয়। এগুলো কনটেন্টের একঘেয়েমি দূর করতে সাহায্য করে। বেশ কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে ইংলিশ মিমস পাওয়া যায়।
- বিভিন্ন ইনফোগ্রাফ অথবা চার্ট এর সাহায্যে ব্লগ আর্টিকেলটি ইলাবোরেট করে ডিটেল ইনফরমেশন এড করতে পারেন।
- আর্টিকেল এ যেই ইমেজগুলো ব্যবহার করবেন সেগুলোতে যদি নাম্বার অ্যাড করেন তবে আপলোড প্রসেস স্ট্রিমলাইনে থাকবে।
- আর্টিকেলে ব্যবহৃত ছবিগুলো অবশ্যই পোর্ট্রেট মোডে আপলোড করতে হবে। কারণ যেহেতু মোবাইল ডিভাইস বেস আর্টিকেলগুলা লিখতে হয় তাই ছবিগুলো মোবাইলের জন্য ভালোভাবে উপস্থাপিত হবে।
- আর্টিকেল এর ভূমিকা সব সময় ছোট করে লিখতে হবে। শর্ট ইন্ট্র ব্লগের বাউন্স রেট কে অর্ধেক করে দেয়।
- আর্টিকেল এর উপসংহারও সূচনার থেকে বেশি ইনফরমেটিভ হওয়া উচিত নয়। এটার মেইন উদ্দেশ্য হচ্ছে পাঠকের এটেনশন কে ধরে রাখা।
- পাঠকদের ইনফরমেশন ক্যাপচার করার জন্য বুলেট পয়েন্ট এবং নাম্বার দেওয়া লিস্ট খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই ধরনের ইনফরমেশন গুলো পাঠকরা শুরুতেই পড়তে পারেন এবং আগেই চোখে পড়ে।
- তথ্য এমন ভাবে দিতে হবে যেন শুধু মানুষ জ্ঞান অর্জনের জন্য না পরে। তথ্য পড়ে যেন সাথে সাথে কাজে নামার ধাপ গুলো স্পষ্ট হয়।
- পাঠককে ব্লগ পড়ানোর জন্য আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সঠিক ছবি তৈরি করা। এক্ষেত্রে টিকাযুক্ত স্ক্রিনশটের মত কাস্টমস ছবিগুলো যদি তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন তবে বেশি কার্যকর হবে।
- এমন কিছু উদাহরণ সামনে আনতে হবে যা আপনার ব্র্যান্ড কে বিশ্বস্ত করে তুলবে। এক্ষেত্রে বাস্তব অভিজ্ঞতা গুলো পাঠকের সামনে উপস্থাপন করতে পারেন।
- পাঠককে ব্লগ পড়ানোর ক্ষেত্রে আগ্রহী করে তোলার জন্য এক্সপেরিয়েন্স না থাকলেও গল্পের আকারে কিছু ঘটনা শেয়ার করতে পারেন।
- রিলেটেবল ঘটনা শেয়ার করা জরুরি। কারণ এই ঘটনাগুলো সব জায়গায় ব্যবহৃত হয়। আপনার আর্টিকেলে যদি ব্যবহার না হয় তবে পাঠকের কাছে বিশ্বস্ত হবেনা। এক্ষেত্রে খুব সাধারণ দৈনন্দিন জীবনে ঘটে যাচ্ছে এরকম ঘটনা শেয়ার করা যেতে পারে।
- গোছানো একটি আর্টিকেল উপস্থাপনের ক্ষেত্রে ফরমেটিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। লেখার সময় অবশ্যই হেডিং এর স্ট্রাকচারের বিষয়ে এবং স্টাইল গুলোর ক্ষেত্রে মনোযোগী হতে হবে।
- লেখার ক্ষেত্রে ফন্ট এর ব্যাপারেও সাবধান থাকতে হবে। ইংলিশ এবং বাংলা কনটেন্টে আলাদা আলাদা ফন্ট রয়েছে।
- লেখার সময় যেই তথ্যগুলো আপনি রিসোর্স থেকে পাচ্ছেন সেগুলো অবশ্যই ওপেন করে রাখতে হবে। এতে লেখার ক্ষেত্রে সুবিধা হয়। অনেকগুলো ট্যাব ওপেন করে এবং গুগলে সার্চ দেওয়ার মাধ্যমে সোর্স গুলা পাওয়া যায়।
- তথ্য দেওয়ার সময় অবশ্যই নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে। এমন ভাবে লিখতে হবে যেন পাঠক আপনার কথা বিশ্বাস করতে পারেন। এক্ষেত্রে সহজ উপায় হচ্ছে লেখার সময় হতে পারে এবং হবে এই ধরনের বাক্য ব্যবহার করা।
- আর্টিকেলের স্পষ্টতা বাড়ানোর জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে একটিভ ভয়েসের মাধ্যমে বাক্যগুলো সম্পন্ন করা। সচেতনভাবে সবসময় প্যাসিভ ভয়েস না এরাতে পারলে পরবর্তীতে রিভাইস দেওয়ার সময় পরিবর্তন করা জরুরী।
- লেখার সময় অবশ্যই কঠিন শব্দ ব্যবহারের পরিবর্তে সহজ ভাবে লিখতে হবে। লেখার পর রিভাইস দেওয়ার সময় অবশ্যই সেগুলো সতর্কভাবে খেয়াল করা উচিত।
- নির্দিষ্ট কয়েক ধরনের প্রাসঙ্গিক বিষয় যেমন, লাইফস্টাইল, ট্রাভেল এবং খাবার এর মত বড় বড় সেক্টর নিয়েই শুধু ব্লগার রা লেখেন না। সৃজনশীল চিন্তাভাবনা করা যায় এমন অনেক ধরনের টপিকও রয়েছে যেগুলো বিষয়ে লেখা খুবই জনপ্রিয়।
বাংলা ব্লগ লেখা শুরু করার আগে প্রাথমিক নিয়ম
- শুরুতেই আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে প্র্যাকটিস করা জরুরী। প্রতিদিন আর্টিকেল লেখা ছাড়াও নিজের চিন্তা ভাবনা লেখার মাধ্যমে উপস্থাপন করার প্র্যাকটিস করা জরুরী। এক্ষেত্রে প্রতিদিন ৫ থেকে ১৫ মিনিটের জন্য এই প্র্যাকটিস করা যেতে পারে।
- বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোতে লেখার মাধ্যমে অথবা অন্যদের সাথে আলোচনা করার মাধ্যমেও আপনার চিন্তাভাবনা, কথোপকথন এবং লেখার দক্ষতা বাড়ানো যায়।
- টপিক পছন্দ করার ক্ষেত্রে প্রতিদিন একটি করে চিন্তা বা নতুন বিষয় সম্পর্কে লেখার মাধ্যমে উৎসাহ বৃদ্ধি করতে পারেন। এক্ষেত্রেও সোশ্যাল মিডিয়া বা কোন ব্লগ পেজ লেখার ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে।
- প্রতিদিন নতুন নতুন ভোকাবুলারি শিখতে পারেন। এটি আপনার আর্টিকেল লেখার সৌন্দর্যকে বৃদ্ধি করবে।
- নিজের মনে কোন বিষয়ে আলোচনা করা খুবই কার্যকর যখন আপনি লেখালেখী করতে যাবেন। এমনকি ইংরেজি আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষার উপর সাবলীল দক্ষতা প্রয়োগ করার জন্য এই পদ্ধতির ব্যবহার খুবই কার্যকর।
- রাইটিং স্কিল বাড়ানোর ক্ষেত্রে আরো একটি সুবিধাজনক উপায় হচ্ছে নিজের একটি পার্সোনাল জার্নাল পাবলিশ করা।
- ইংরেজি আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে আপনার বাক্য গুলো সঠিক হচ্ছে কিনা সেটা বোঝার জন্য আরো একটি উপায় হচ্ছে ইংলিশ ভিডিও টিউটোরিয়াল গুলো নিয়মিত দেখা। এখানে যে কথাবার্তা গুলো হয় সেগুলো যদি আপনি ক্যাপশন ছাড়াই বুঝতে পারেন তবে সঠিকভাবে লিখতে পারবেন।
- আর্টিকেল লেখার জন্য অডিও বুক বা পডকাস্ট শোনা যেতে পারে। এতে তথ্য পাওয়া যায় এবং পরবর্তীতে এ বিষয়ে কনটেন্ট লিখতে সুবিধা হয়।
- যে ভাষাতেই আর্টিকেল লিখবেন না কেন অবশ্যই যদি সিনেমা বা ডকুমেন্ট দেখেন তবে অবশ্যই লেখার বিষয়বস্তু উন্নত হবে।
- নিজের ব্লগের উন্নতির জন্য অবশ্যই পছন্দের অন্যান্য লেখকদের ব্লগগুলো নিয়মিত পড়া জরুরী।
- কোন ইন্টারেস্টিং আর্টিকেল অথবা নোট সামনে আসলে অবশ্যই সেগুলো লিখে রাখা জরুরী। অনুপ্রেরণা হিসেবে পরবর্তীতে ব্যবহার করা যাবে।
- প্রত্যেকেরই লেখার স্টাইল আলাদা। তবে অন্য স্টাইল ফলো করলে নিজের কাজের ধরনের বৈচিত্রতা তৈরি হবে।
- যারা বাড়িতে বসে কাজ করেন তাদের অবশ্যই কাজের পরিবেশটা তৈরি করে নিতে হবে। কাজের পরিবেশ পরিপাটি এবং অনুপ্রেরণা দায়ক হলে কাজের মনোযোগ বৃদ্ধি পায়।
- যেহেতু অনেকেই বাড়িতে বসে কাজ করেন তাই ডিজিটাল ওয়ার্ক প্লেসে সব ডকুমেন্ট সুন্দরভাবে গুছানো থাকা জরুরী। এটি কাজের উৎপাদনশীলতার বিশাল ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে।
- যেহেতু আপনার ঘন্টার পর ঘন্টা অনেক লিখতে হবে। তাই অবশ্যই ভালো কিবোর্ড নির্বাচন করা জরুরী। যা আপনার লেখাকে আরো উৎপাদনশীল করে তোলে।
- ভালো কাজের পরিবেশ মোটিভেশন বাড়াতে সাহায্য করে। তাই ওয়ার্কপ্লেস নিজের মতো গুছিয়ে রিপ্রেজেন্ট করা খুবই জরুরী।
- কিছু গুরুত্বপূর্ণ কবিতা, গান বা ভিডিও গেম আপনার শব্দ ভান্ডার বাড়াতে সাহায্য করবে। প্রয়োজনে সেগুলো পরবর্তীতে ব্যবহার করতে পারবেন।
- ব্লগ দেখা ছাড়াও অন্য লোকের কমেন্ট দেখা জরুরী। এতে বোঝা যায় যে পাঠকরা কি ধরনের লেখা চাচ্ছেন।
- বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম রয়েছে বা ওয়েবসাইট পাবেন যেখানে ব্লগ বিষয়ক অনেক ডিসকাশন চলে। প্রশ্ন উত্তরের মাধ্যমে অনেক সমস্যার সমাধান সেখানে পাওয়া যায়।
- যদি আপনি ব্লগ লিখে পোস্ট করে ফেলেন তবে সেগুলো ফিডব্যাক এর জন্য পাবলিক এর কাছে ওপেন করতে পারেন। এতে যদি লেখায় সমস্যা থাকে তবে আলোচনা সাপেক্ষে সমাধান পেয়ে যাবেন।
- ভালো লেখার জন্য নিজের আগে লেখাগুলো পড়া জরুরী। এতে আপনি আগে কি কি ভুল করেছেন সেগুলো সহজেই ধরতে পারবেন। আপনার লেখার কোন খারাপ গুণ থাকলে সেগুলোর সমাধান করতে পারবেন।
- আপনার লেখাগুলোকে আরো ইন্টারেস্টিং করার জন্য ফন্ট, লাইন এবং স্পেসিং ছাড়াও কালারের পরিবর্তন আনতে পারেন। যা কিনা লেখাগুলোকে আনন্দদায়ক এবং কাস্টমাইজ করার অনুভূতি প্রদান করবে।
- অবসর সময়ে বই কিংবা পত্রিকা পড়ে সময় কাটাতে পারেন। যা মানসম্পন্ন ব্লক তৈরিতে খুবই সাহায্য করে।
- ব্লগ লেখার ক্ষেত্রে ব্লগের কনটেন্ট গুলোর নৈপুণ্যের জন্য অবশ্যই কনটেন্ট বিষয়ক রুলস এর বইগুলো পড়া জরুরি। এতে উৎপাদনশীলতার টিপস এবং কৌশলগত বিষয় সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
- ব্লগিংয়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই ভালো বাজেট এর বিষয়ে মাথায় রাখতে হবে। লেখার উন্নতির জন্য বিভিন্ন কোর্স বা সরঞ্জাম বিষয়ে ব্যয় করা জরুরি।
- ব্লগ লেখা ছাড়াও নিজের কমিউনিটিতে কোন সম্পাদক বা ঔপন্যাসিক অথবা শিক্ষকদের সাথে সংযুক্ত থাকা জরুরী। তাদের কাছে আপনার লেখার প্রতিক্রিয়া জিজ্ঞাসা করতে পারেন।
- ব্লগ বা আর্টিকেলের উন্নতির জন্য আপনি একটি মাস্টারমাইন্ড গ্রুপ তৈরি করতে পারেন। এইসব গ্রুপে কনটেন্ট বিষয়ক আলোচনা হবে। আপনার কনটেন্টের উন্নতিতে এই ধরনের সাজেশন খুবই কার্যকর।
- এমন কারো সাথে আপনার যোগাযোগ থাকা জরুরী যে কিনা আপনার ব্লগিং এর কাজের ব্যাপারে ভালো পরামর্শ দিতে পারবে। কাজের অনুপ্রেরণের ক্ষেত্রে এ ধরনের মানুষ থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
- যেকোনো একটি ভালো ব্লগ আপনার প্রতিটি ব্লক লেখার ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণের জন্য সংরক্ষণ করা যেতে পারে। কোন ধরনের সাজেশন এর জন্য এই ব্লগটি বারবার পড়ে আপনি সমাধান পাবেন।
এসইও অপটিমাইজ ব্লগ আর্টিকেল লেখার নিয়ম
- আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রথমেই যে বিষয়ে সাবধান থাকতে হবে তা হচ্ছে নির্দিষ্ট টপিকের বাইরে অন্য কোন জেনারেল বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা উচিত নয়। কারণ এটি পাঠককে ফোকাসড করতে পারেনা। কোন কারনে যদি অন্য বিষয় সম্পর্কেও কথা বলা লাগে তবে অবশ্যই আলোচনার শুরুতে না বলে পরবর্তীতে এ বিষয়ে অল্প করে কথা বলতে পারেন।
- আর্টিকেল এমন ভাবে লেখা উচিত যেন ওভার কনফিডেন্ট শো না করে। যেহেতু আমরা সাধারণ পাঠকের জন্য কনটেন্ট লিখছি তাই স্বাভাবিকভাবে, সাধারণ কিছু ওয়ার্ড এর মাধ্যমে, সহজ ভাষায় রিপ্রেজেন্ট করা জরুরী।
- যেকোনো আর্টিকেল লেখার পর অবশ্যই ভালোভাবে রিভাইস দিয়ে আপলোড করতে হবে।
- কোন আর্টিকেল লেখার সময় বারবার পাঠকদেরকে বিশ্বাস করার জন্য ফোর্স করা যাবেনা। সুন্দর এবং সাবলীল লেখার মাধ্যমে লেখকের বিশ্বাস অর্জন করতে হবে।
- কোন আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে আমরা সবসময় প্রতিযোগিতা করে থাকি যে কে কত বেশি শব্দের আর্টিকেল লিখতে পারি। কিন্তু পাঠকদের বিষয় খেয়াল করলে দেখা যায় যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বেশি শব্দের কনটেন্ট তারা পড়তে চান না। কম সময়ের মধ্যে সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন এমন কনটেন্টই তারা বেশি খোঁজেন।
- আর্টিকেলের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ইম্পরট্যান্ট যে পয়েন্ট সেটা অবশ্যই কনটেন্টের শুরুতে এড করতে হবে। পরবর্তীতে দরকার হলে এই রিলেটেড আরও ইনফরমেশন পয়েন্ট আকারে দিতে পারেন।
- কোন আর্টিকেলে স্ট্যাটিস অ্যাড করা ওই কনটেন্ট এর জন্য খুবই মিনিংফুল একটি বিষয়। প্রয়োজনে এই স্ট্যাটিস অন্যকেও কনটেন্ট লেখার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে তারা আপনার কনটেন্টই লিংক আকারে প্রোভাইড করবেন। এভাবে আপনার কনটেন্টের রেংকিং বাড়বে।
- আর্টিকেল লেখার আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে প্যারাগ্রাফগুলো ছোট ছোট করে সাজানো। ছোট সাইজের প্যারাগ্রাফ হলে পাঠকদের পরতে সুবিধা হয়। এমনকি তা মোবাইলের জন্য ফ্রেন্ডলি।
- টপিক এমন ভাবে লিখতে হবে যে পাঠক যেন সহজেই বুঝতে পারেন। সবচেয়ে ভালো হয় ফোর গ্রেট এর বাচ্চাদের বোঝার মত শব্দ ব্যবহার করা।
- কিছু সেনসিটিভ টপিক রয়েছে সেসব বিষয়ে লেখার ক্ষেত্রে খুবই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে পলিটিক্স, স্বাস্থ্য বা অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে কথা বলা। অনেক কনটেন্ট রাইটাররা এসব বিষয়ে কনটেন্ট লিখে বেশি অর্থ উপার্জনের জন্য। কিন্তু এসব বিষয়ে সচেতন ভাবে লেখা জরুরী।
- আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে লেখার সময় অবশ্যই পোলাইটলি লিখতে হবে। লেখা পড়ে যেন মনে না হয় যে আপনি খুব এগ্রেসিভ ভাবে কিছু বোঝানোর চেষ্টা করছেন।
- খুব কঠিনভাবে না বলে কারোর কোন ইম্পরট্যান্ট কোট হাইপেন দিয়ে আলাদা করে প্রেজেন্ট করতে পারেন। এতে করে আপনাকে আলাদাভাবে এ বিষয়ে বর্ণনা দিতে হবে না।
- অনেকগুলো টপিক লেখার ক্ষেত্রে আগের টপিকের সাথে পরের টপিকটি কানেক্ট করা জরুরী। এতে পাঠকের পরের বিষয়টি সম্পর্কে পড়ার আগ্রহ তৈরি হবে।
- এভ্রিবিয়েশন সঠিকভাবে রিপ্রেজেন্ট করা জরুরী। মূলত এভ্রিবিয়েশন কে বাইরে রাখতে হবে এবং এর যে শর্ট ফর্ম তাকে ব্রাকেটের মধ্যে লিখে রিপ্রেজেন্ট করা হচ্ছে সঠিক নিয়ম।
- যখনই আপনি কোন স্টাটিস বা কোট অথবা লিংক শেয়ার করবেন তা যেন অবশ্যই অথেনটিক হয়। যেই সোর্স থেকেই এই লিংকটি শেয়ার করছেন তারা যেন ইনফর্মড থাকে।
- এসইও এর নিয়ম অনুযায়ী শিরোনাম এবং উপশিরোনাম এর ব্যবহার সঠিকভাবে করা জরুরী। এটি পাঠককে তার পছন্দমত বিষয় নির্ধারণ করে পড়তে সাহায্য করে।
গুগলে ব্লগ লেখার বিষয়ে বিশেষ কিছু নির্দেশনা
- প্রতিদিন পরিমাণ মতো এবং সময় ধরে আর্টিকেল লিখলে লেখার দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
- লেখার ক্ষেত্রে পোমোডোরো টেকনিক ফলো করতে পারেন। যেহেতু একনাগাদে লেখা যায় না। তাই ২৫ মিনিট লিখে তারপর মাঝে পাঁচ মিনিটের ব্রেক নিয়ে আবার লেখা শুরু করা উচিত। এভাবে লেখার ক্ষেত্রে প্রডাক্টিভ টাইম মেইন্টেইন করা হবে এবং লেখার সময় বেশি এফোর্ট দিতে হবে না।
- সাধারণত খুবই রিলাক্সড হয়ে লেখালেখি করা উচিত। সেক্ষেত্রে ব্লগের কাজ করার সময় কোন লাইব্রেরীতে অথবা কফিশপে অথবা নিরিবিলি স্থানে কাজ করা যেতে পারে। তবে অবশ্যই ইন্টারনেটে সুব্যবস্থা থাকবে এটা ইনসিওর করা জরুরী।
- একটি সঠিক সময় নির্ধারণ করা ব্লগিংয়ের ক্ষেত্রে খুবই জরুরী। অবশ্যই সেক্ষেত্রে টার্গেট গুলো অর্থাৎ শব্দ সংখ্যা ফুলফিল করতে হবে।
- আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে আপনার কাজগুলোকে আপনি আরও বেশি অর্গানাইজ উপায়ে গুছিয়ে রাখতে পারেন। এতে উৎপাদনশীলতা এবং কাজের প্রতি উৎসাহ আরও বৃদ্ধি পাবে।
- আর্টিকেল এর ক্ষেত্রে কাজের ব্যালেন্স তৈরি করা জরুরী। সারাদিনের জন্য কখন আপনি ব্লগিং করবেন এবং অন্য কোন কাজ কখন করবেন সেই রকম সিডিউল তৈরি করতে হবে।
- লেখালেখির ক্ষেত্রে সামগ্রিক কাঠামো এবং রুপরেখা প্রস্তুত করা আপনার লেখার উৎপাদনশীলতাকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।
- টাইপিং স্প্রিড বাড়ানো এতে খুবই উপযোগী। ভালো কনটেন্ট এবং বেশি শব্দ লেখার ক্ষেত্রে লেখার দ্রুততা বাড়ানো জরুরী।
- কনটেন্ট ড্রাফটিং এর পর প্রুফরিডিং করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রোডাক্টিভিটি ডাবল করার জন্য প্রুফ রিডিং এর বিকল্প নেই।
- প্রুফরিডিং এর ক্ষেত্রে কিছু কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে অটোমেটিক্যালি আপনার সব ধরনের ভুল এর সমাধান হয়ে যাবে।
- পরিবেশগত বিভ্রান্তি দূর করার জন্য হোয়াইট নয়েজ ব্যবহার করতে পারেন। যা কিনা অন্যদিকের চিন্তাভাবনা দূর করে আপনার কাজের ভিতর ফোকাসড রাখে। এসবের জন্য বিভিন্ন অ্যাপ রয়েছে এছাড়া ইউটিউবেও পাওয়া যাবে।
- বাইরের দিকে কন্সেন্ট্রেশন না নেওয়ার জন্য বিভিন্ন মিউজিক অন করে রাখতে পারেন। কোন ধরনের মিউজিক শুনবেন সেটা আপনার মনের উপর নির্ভর করবে।
- লেখালেখি ন্যাচারাল লাইট এ করা সবচেয়ে উপযোগী। এতে চোখের উপর প্রেসার কমে এবং মাথার যন্ত্রণা কমায়।
- মাঝে মাঝে রাতে কাজ করাও অনেক ক্ষেত্রে কার্যকর। কারণ রাতের বেলা পরিবেশ অনেক চুপচাপ হয়ে যায়। তাই ফোকাস্ট ওয়েতে কাজ করতে সুবিধা হয়।
- কিছু অ্যাপ রয়েছে যেগুলোতে আপনি সহজেই কোন কনটেন্ট লিখতে পারবেন। এগুলোতে আপনি কোন ধরনের ভিজুয়াল বিশৃঙ্খলা ছাড়াই ১০০% মনোযোগী হয়ে লিখতে পারবেন।
- অনেক সময় লেখার মধ্যেই আমরা অন্য ইমেইল বা মেসেজের রিপ্লাই দিয়ে থাকে। এতে করে দেখা যায় যে লেখার কনসেনট্রেশন নষ্ট হয়।
- প্রতিদিন ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে মর্নিং রিচুয়াল করে তারপর লেখালেখি করা উত্তম। এতে করে মন শান্ত থাকে এবং লেখালেখি তে আগ্রহ বৃদ্ধি পায়।
- বিকাল বেলায় রেস্ট নেওয়া অথবা ধর্মীয় রিচুয়াল কমপ্লিট করা অথবা রুটিন অনুযায়ী অন্য কাজ করা পরবর্তী দিনের কনটেন্ট লেখার ক্ষেত্রে মাইন্ড কে রিফ্রেশ করতে সাহায্য করে।
- ব্লগিং করে অনুপ্রাণিত হওয়ার জন্য অবশ্যই নিজেকে পুরস্কৃত করা জরুরী। ব্লগিং করে অর্থ উপার্জন করার মাধ্যমে আপনার কঠোর পরিশ্রম করার ইচ্ছা ও স্পৃহা বৃদ্ধি পাবে।
- কাজের সময় কফি বা এ জাতীয় পানীয় পান করলে এনার্জি বৃদ্ধি পাবে এবং কাজে ফোকাসড হতে সাহায্য করবে।
- কাজের মনোযোগ বৃদ্ধি করার জন্য মাঝে মাঝে অবশ্যই ন্যাপ নেওয়া জরুরী। নিয়মিত ঘুম মস্তিষ্ককে কন্ট্রোলে রাখতে সাহায্য করে।
- কাজের সময় কম্পিউটারের স্ক্রিন এর লাইট বা ব্রাইটনেস অবশ্যই খুব বেশি বা কম রাখা যাবে না, যেন চোখের উপর প্রেসার পড়ে।
- নিজের লেখার ক্ষেত্রে টেমপ্লেট তৈরি করা খুবই সাশ্রয়ী। বিভিন্ন কোশ্চেন এর মাধ্যমে এবং হোয়াট ইজ সেকশন তৈরি করতে পারেন।
- যদি আপনার সারাদিনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ থাকে তবে সবার আগে কঠিন কাজটি করেই দিন শুরু করা উচিত। এতে পরবর্তীতে বাকি কাজগুলো অনেক সহজ ভাবেই করা সম্ভব।
- আপনি যে বিষয়গুলো সম্পর্কে লিখছেন সেগুলো অবশ্যই এটি নির্দিষ্ট ড্রাইভে সংরক্ষণ করে রাখুন। প্রয়োজনে মুদ্রণ করে রেখে দিতে পারেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন কাজে এবং রিভাইস দেওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে।
বাংলা ব্লগ লিখে ইনকাম করার উপায়
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। বিভিন্ন ধরনের মার্কেটপ্লেসে কনটেন্ট রাইটিং এর জন্য অনেক কাজ দেখা যায়। সেখান থেকে আপনি আপনার পছন্দমত কাজ করে জমা দিলে ইনকাম করতে পারবেন।
- কোন কোম্পানির নির্দিষ্ট প্রোডাক্ট এর পাবলিকেশনের জন্য ব্লগ লিখেও ইনকাম করা যায়। সেই কোম্পানির ওয়েবসাইটে ব্লক টি পোস্ট করলে আপনি কনট্যাক্ট অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ ফলোয়ার বাড়লে টাকা পাবেন।
- আপনার যদি একটি নিজস্ব ব্লগ চ্যানেল থাকে তাহলে আপনি একটি পডকাস্ট তৈরি করে আপনার গ্রাহকদের সাথে কানেক্টেড হতে পারেন। পডকাস্ট মূলত আপনার পাঠকদের সাথে সংযোগ স্থাপন করার একটি খুবই ভালো মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।
- যদি আপনি মনে করেন যে আপনি খুব ভালো কনটেন্ট ক্রিয়াটার। তবে আপনার নির্দিষ্ট ব্লগ তৈরি করে টিউটোরিয়াল হিসেবে সেগুলো প্রচার করতে পারেন।
- একজন ব্লগার হিসেবে যেহেতু আপনি লিখতে অনেক পছন্দ করেন তাই আপনার নিজস্ব ই-বুক থাকতেই পারে। আর এই ই-বুক গুলোর লেখা বিক্রি করেও আপনি ইনকাম করতে পারবেন।
১০৩টি ব্লগ আর্টিকেল লেখার টিপস বিষয়ক কিছু প্রশ্ন
প্রশ্নঃ নতুন আর্টিকেল রাইটাররা সাধারণত কি কি ভুল করেন?
উত্তরঃ নতুন আর্টিকেল রাইটাররা সহজে বুঝতে পারেন না যে আর্টিকেল লেখার আগে কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরী। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আপনি যা লিখছেন, তা কেন লিখছেন এবং কাদের জন্য লিখছেন। লেখা অবশ্যই সাবলীল এবং সর্বজন গ্রহণযোগ্য হতে হবে।
প্রশ্নঃ আর্টিকেল রাইটিং দিনের কোন সময়টায় লিখলে ভালো হয়?
উত্তরঃ প্রত্যেকটা মানুষই দিনের কোন না কোন সময় তার মনোযোগ ধরে রাখার জন্য একটি সময় নির্ধারণ করেন। এই সময়টা রাতেও হতে পারে বা সকালেও হতে পারে। কারো ক্ষেত্রে ভোরবেলা উঠে কনটেন্ট লেখা উপযোগী। আবার কারো কারো ক্ষেত্রে রাতের বেলা আর্টিকেল লিখতে বেশি সুবিধা হয়।
প্রশ্নঃ বাংলা আর্টিকেল লিখে কি আয় করা যায়?
উত্তরঃ বাংলাদেশে কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যেসব জায়গায় বাংলা আর্টিকেল লিখে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়া মার্কেটপ্লেসগুলোতেও এপ্লাই করলে বাংলা আর্টিকেল লেখার সুযোগ পাবেন।
প্রশ্নঃ আর্টিকেল রাইটিং এর বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ কৌশল গুলো কি কি?
উত্তরঃ উপরে আমরা বেশ কিছু টিপস রাইটিং বিষয়ে দিয়েছি। তবে সংক্ষেপে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কৌশল প্রথম থেকেই মাথায় রাখা জরুরি। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে।
- ব্যাকরণ এবং শব্দ প্রয়োগের ক্ষেত্রে সাবধান থাকা।
- বিভিন্ন আর্টিকেল বা কনটেন্ট বিষয়ক অনেক প্রচ্ছদ পড়ে তারপর লেখালেখি শুরু করা।
- কোন ধরনের পাঠকের জন্য লিখছেন এবং কি চায় সে বিষয়ে সচেতন থাকা।
- আর্টিকেল লেখার বিষয়ে ভাষা সহজ হতে হবে।
আর্টিকেল রাইটিং এর পরিচিতি
- ব্লগ রাইটিং
- সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট রাইটিং
- নিউজ রাইটিং
- কপি রাইটিং
- টেকনিক্যাল রাইটিং
- অ্যাড অ্যান্ড প্রমো রাইটিং
- প্রোডাক্ট রিভিউ রাইটিং
- ইমেইল রাইটিং
- ই-বুক রাইটিং
আর্টিকেল রাইটিং এর প্রয়োজনীয়তা
প্রফেশনাল আর্টিকেল রাইটিং বিষয়ের সাবধানতা
- প্রথমেই যখন কেউ আপনার কাছ থেকে কাজ করে নিতে চাইবে আপনার উচিত তাকে বলা যে আপনার ফ্রিল্যান্সিং সাইটে গিয়ে সেখান থেকে কাজটি যেন দেয়। তাহলে গ্রাহক আপনার টাকা দিতে বাধ্য থাকবে।
- অথবা আপনি একটি কাজ করে সাথে সাথেই তার কাছ থেকে টাকা চেয়ে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে যদি সে টাকা না দেয়। তবে আপনার বুঝতে হবে যে সে পরবর্তী কোনো কাজেও টাকা দিবে না।
ব্লগ আর্টিকেল লেখার টিপস বিষয়ে আরো কিছু প্রশ্ন
প্রশ্নঃ আর্টিকেল রাইটিং কত প্রকার?
উত্তরঃ সংক্ষেপে আর্টিকেল রাইটিং দুই প্রকার।
- ভিজুয়াল কন্টেন্ট, যে আর্টিকেল গুলো আমরা দেখতে পাই ভিডিওর মাধ্যমে।
- আর্টিকেল রাইটিং, লেখালেখির মাধ্যমে যখন কোন বিষয় সম্পর্কে জানতে পারি অথবা বিভিন্ন পেশাদার পত্রিকায় পড়ি।
প্রশ্নঃ আর্টিকেল রাইটিং শেখার ক্ষেত্রে মূল উপায় কি?
উত্তরঃ মূলত আর্টিকেল রাইটিং শেখার ক্ষেত্রে লেখালেখি বিষয়ে দক্ষতা এবং সৃজনশীল হতে হবে। এছাড়া ইন্টারনেট এবং বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে জ্ঞান থাকা জরুরি।
প্রশ্নঃ কনটেন্ট রাইটিং বিষয়ে চাহিদা কেমন?
উত্তরঃ বর্তমানে অনলাইন ওয়ার্কিং সেক্টরে কনটেন্ট রাইটিং সব ক্ষেত্রেই কাজে লাগে। তাই কনটেন্ট রাইটিং বিষয়ে আপনার দক্ষতা থাকলে আদতে তা বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রেই উপযোগী হবে।
প্রশ্নঃ আর্টিকেল রাইটিং এর আসল উদ্দেশ্য কি?
উত্তরঃ আর্টিকেল রাইটিং মূলত কোন বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করে পাঠককে সে বিষয়ে জানতে সাহায্য করাকেই বোঝায়। বর্তমানে বহুল আলোচিত যে সব বিষয় সম্পর্কে মানুষের জানার আগ্রহ বেশি সেগুলো নিয়েই আর্টিকেল লিখে জনপ্রিয়তা পাওয়া যায়।
ফোকাস আইটি ইনস্টিটিউট এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url