ফরেক্স ট্রেডিং কি বাংলাদেশে বৈধ ও আয় করার উপায় ২০২৪
পেজ সূচিপত্রঃ ফরেক্স ট্রেডিং কি বাংলাদেশে বৈধ
- ফরেক্স ট্রেডিং কি বাংলাদেশে বৈধ
- ফরেক্স ট্রেডিং থেকে আয় করার উপায়
- কিভাবে ফরেক্স ট্রেডিং শুরু করবো
- ফরেক্স ট্রেডিং প্লাটফর্ম
- ফরেক্স ট্রেডিং কি বাংলাদেশে আসলেই বৈধ এ বিষয়ে কিছু প্রশ্ন
- বাংলাদেশে বাইনারি ট্রেডিং বিষয়ক বৈধতা
- ফরেক্স ট্রেডিং এর ঝুঁকিপূর্ণ দিক
- ইসলামিক দৃষ্টিতে ফরেক্স ট্রেডিং
- ফরেক্স ট্রেডিং বিষয়ক আরো কিছু প্রশ্ন
- ফরেক্স ট্রেডিং কি বাংলাদেশে বৈধ এ বিষয়ে লেখকের মন্তব্য
ফরেক্স ট্রেডিং কি বাংলাদেশে বৈধ
ফরেক্স ট্রেডিং কি বাংলাদেশে বৈধ কিনা সে বিষয়ে জানার আগে প্রথমে আমাদের বুঝতে হবে যে ফরেক্স ট্রেডিং কি। খুবই সহজ ভাষায় বিদেশি মুদ্রা বেচাকেনা করার মাধ্যমে বিশেষভাবে লাভ করাকেই ফরেক্স ট্রেডিং বলা হয়। বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে বেশি এই সেক্টরেই ট্রেড হয়ে থাকে। তাই বাঙালি হিসেবে ফরেক্স ট্রেডিং কিভাবে করব এ বিষয়ে ধারণা থাকা জরুরী।
সরাসরি বলা যায় না যে বাংলাদেশের ফরেক্স ট্রেডিং বৈধ নয়। কারণ এই ট্রেডিং বিষয়ক কেন্দ্রীয় ব্যাংকে নির্দিষ্ট কোন নিয়ম নেই। তাই কেউ যদি বলেন যে বাংলাদেশে ফরেক্স ট্রেডিং বৈধ নয় তবে তা সত্যি না। যেহেতু ফরেক্স ট্রেডিং এ ভার্চুয়ালি মুদ্রা ট্রান্সফার করা হয় মানে বাস্তবিকভাবে কোন মুদ্রা লেনদেন অথবা কেনাবেচা করা হয় না।
তাই ১৯৪৭ সালের আইনের সাথে এর কোন সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় না। শুধু খেয়াল রাখতে হবে যে আপনি যখন মুদ্রা এক্সচেঞ্জ করবেন তখন অবশ্যই লাইসেন্সধারী কোন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এক্সচেঞ্জ করা জরুরী। এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানার জন্য বৈদেশিক মুদ্রার নীতিমালা সম্বলিত একটি পিডিএফ কপি আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি।
বাংলাদেশের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশি মুদ্রা লেনদেন করতে পারবেন। ফরেক্স ব্রোকার বাংলাদেশের জন্য অনুমোদিত না হওয়ায় সরাসরি ব্যাংক থেকে ব্রোকারে মুদ্রা ট্রান্সফার হয় না। বৈধ উপায়ে সর্বাধিক দশ হাজার ডলার পর্যন্ত বিদেশি মুদ্রা এক্সচেঞ্জ করা যায়। আর এই এক্সচেঞ্জ সুবিধা শুধুমাত্র আপনার ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেই পাবেন।
ফরেক্স ট্রেডিং থেকে আয় করার উপায়
ফরেক্স ট্রেডিং থেকে আয় করার উপায় ও বাংলাদেশের জন্য ফরেক্স ট্রেডিং বৈধ কিনা এ বিষয়ে আমরা বিস্তারিত জানলাম। যেহেতু এই বিনিময় অবৈধ নয় তাই ফরেক্স ট্রেডিং এর মাধ্যমে কিভাবে আয় করা যায় সেই ধাপগুলো জেনে রাখা জরুরী। কিভাবে আয় করবেন সেটা না জানলে ব্যবসা শুরু করা সম্ভব হবে না। তাই আয় এর পদ্ধতি গুলো নিচের ধাপে ধাপে উল্লেখ করা হলো।
- শুরুতেই আপনাকে নির্ধারণ করে নিতে হবে যে আপনি কিভাবে ট্রেডিং এর জন্য ব্যবসার শুরু করবেন।
- যেহেতু আপনি চিন্তা করেছেন যে বিনিময় ব্যবসাটি শুরু করবেন তাই প্রথমেই আপনাকে শিখে নিতে হবে। কোথা থেকে শিখবেন, কার সাথে কাজ করে শিখবেন এবং কিভাবে শিখবেন তা আপনাকেই নির্ধারণ করে নিতে হবে।
- ট্রেডিং করার জন্য আপনার যদি ছয় লক্ষ টাকা থাকে তবে আপনাকে চিন্তা করে বের করতে হবে যে ট্রেডিং শুরু করা থেকে লাভের মাধ্যমে আপনার পর্যাপ্ত অর্থ উত্তোলন করতে কি পরিমান সময় লাগতে পারে।
- এই সেক্টরে পণ্য হিসেবে সঠিক এসেট নির্বাচন করা জরুরী। অর্থাৎ আপনি কোন কারেন্সির পেয়ার নির্বাচন করে ট্রেডিং শুরু করবেন তা আপনাকেই নির্ধারণ করে নিতে হবে। আর ট্রেডিং করার জন্য বিভিন্ন ধরনের পেয়ার পাওয়া যায়। এই পেয়ার গুলোর মধ্যেই আপনার পছন্দমত একটিকে নির্বাচন করতে হবে।
- এরপর আসে রিস্ক কমানোর একটি ধাপ। এর অর্থ হচ্ছে ট্রেডিং এর ক্ষেত্রে অনেক সময় লস হয়ে থাকে। এ সময় প্রথম থেকেই রিক্স এর বিষয়ে আপনাকে সচেতন থাকতে হবে। লস হলে পরবর্তী ধাপে কি করতে হবে সেটা আগে থেকেই নির্ধারণ করে রাখতে হবে।
- কোন কারণে যদি বেশি পরিমাণ বিনিয়োগ করতে হয় তবে তা কিভাবে সম্ভব সে বিষয়েও খেয়াল রাখতে হবে। লস রিকভার প্লান আগে থেকেই সাজিয়ে রাখা জরুরী।
কিভাবে ফরেক্স ট্রেডিং শুরু করবো
কিভাবে ফরেক্স ট্রেডিং শুরু করবো ফরেক্স ট্রেডিং বিষয়ক বাংলাদেশের বৈধতা সম্পর্কে আমরা জানলেও ট্রেডিং কিভাবে করব এ বিষয়ে শুরুতে কিভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে আমরা বেশিরভাগ মানুষই সে সম্পর্কে জানিনা। এসব বিষয় ধারণা রাখার জন্য ফরেইন এক্সচেঞ্জ মার্কেট কিভাবে ট্রেডিং করছে সে বিষয়ে শুরুতেই জানতে হবে।
যেহেতু এ বিজনেসে অনেকগুলো সুবিধা রয়েছে বিশেষ করে পছন্দের মুদ্রা বেছে নেওয়া যায় এবং এর মধ্যে প্রধান যে মুদ্রা গুলো রয়েছে সেগুলো থেকে শুরু করে নতুন এবং এক্সোটিক কারেন্সি অন্যতম। এই মার্কেটটি অনেক বড় এবং গ্লোবালি হওয়ার কারণে সপ্তাহে পাঁচ দিন ২৪ ঘন্টা চালু থাকে। আর অনলাইন হওয়ার কারণে সব ধরনের মানুষই যে কোন সময় এক্সেস পেয়ে থাকেন।
এছাড়া ফরেক্স ট্রেডিং সম্পর্কিত কোর্স এবং রিসোর্স অনলাইনে পেয়ে যাবেন যার মাধ্যমে এ বিষয়ে শিখতে খুবই সহায়তা করবে। ট্রেড বিষয়ক বিভিন্ন কোর্সের মাধ্যমে বিজনেসের প্রাথমিক কনসেপ্ট এবং রিস্ক ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে ধারণা তৈরি হবে। এতে আপনি মার্কেটপ্লেসে সহজে প্রবেশ করতে পারবেন। এছাড়াও আমরা এখন ট্রেড অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য কয়েকটি ধাপ সম্পর্কে আপনাদের ধারণা দিতে পারি।
- শুরুতেই অনলাইন ফর্ম পূরণ করার মাধ্যমে ট্রেডিং এর দুনিয়ায় সাইন আপ করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার KYC ডকুমেন্ট প্রদান করে সব তথ্য যাচাই-বাছাই করে নেওয়া জরুরি।
- সাইন আপ করার পর আপনার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্দিষ্ট পরিমাণ ট্রেডিং এর জন্য অর্থ জমা দিতে হবে।
- ট্রেনিং করে শিখতে যে ব্রোকারদের শরণাপন্ন হবেন তা অবশ্যই আন্তর্জাতিক পর্যায়ের। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে FxPro, Exness, XM, Ic Market। এরা বাংলাদেশে খুব ভালো ভাবেই ফরেক্স ট্রেডিং শিখিয়ে এর মাধ্যমে ইনকাম করার সুযোগ করে দিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ফ্রি টাকা ইনকাম - প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম করুন
ফরেক্স ট্রেডিং প্লাটফর্ম
ফরেক্স ট্রেডিং প্লাটফর্ম ফরেক্স ট্রেডিং কি বাংলাদেশে বৈধ এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত ধারণা পাওয়ার জন্য আমাদের ফরেক্স ট্রেডিং বিষয়ক প্লাটফর্ম গুলো সম্পর্কে জানতে হবে। বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি শক্তিশালী প্লাটফর্ম রয়েছে যেসব প্লাটফর্মে কাজ করলে নিজের পছন্দের মত নির্দিষ্ট ডিভাইসে ট্রেড করার সুযোগ পাওয়া যায়। ফরেক্স ট্রেডিং এর প্ল্যাটফর্ম গুলো থেকে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা পাওয়া সম্ভব।
উল্লেখযোগ্য কিছু প্ল্যাটফর্মের নাম হচ্ছেঃ
মেটাট্রেড ৪ঃ এটি বর্তমানে বিশ্বের সবগুলো জনপ্রিয় ট্রেডিং প্লাটফর্মের মধ্যে অন্যতম। ফরেক্স ট্রেডিং ইন বাংলাদেশে ইম ট্রেডিঙ্গে ইমপ্রভমেন্টের জন্য এই সাইটটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এই প্লাটফর্মটি থেকে বিগিনারা খুব সহজেই কাজ শিখে ট্রেডিং শুরু করে দিতে পারেন।
মেটাট্রেড ৫ঃ মেটাট্রেড ৫, মেটাট্রেড ৪ থেকেও শক্তিশালী এবং একাধিক এসেট ট্রেডিং করতে পারে। আপডেট ভার্সন ও মাল্টিপল কাজ করা যায়।
এইচএফএমঃ এইচএমএফ ট্রেডিং এর ক্ষেত্রে খুবই সুবিধার জনক একটি স্থানে রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধার মধ্যে এর উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে যে কোন জায়গায় থেকে এর মাধ্যমে ট্রেডিং সম্পন্ন করা যায়।
ফরেক্স ট্রেডিং কি বাংলাদেশে আসলেই বৈধ এ বিষয়ে কিছু প্রশ্ন
প্রশ্নঃ আমি কি এখনই ফরেক্স ট্রেডিং শুরু করতে পারি?
উত্তরঃ শুরুতেই টাকা ইনভেস্ট করে ফরেক্স ট্রেডিং শুরু করে দেওয়া ঠিক নয়। প্রথমে কৌশল গুলো সম্পর্কে অবগত হওয়া জরুরী। এক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সাইট নিয়ে পড়াশোনা এবং লাইভ ক্লাস গুলোতে এটেন্ড করতে হবে। এরপর একটি বিশ্বস্ত প্লাটফর্মে গিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলে পছন্দমত ট্রেডিং একাউন্ট তৈরি করতে হবে।
সবশেষে কারেন্সির জন্য পেয়ারা নির্বাচন করে পজিশন চালু করাই উত্তম।
প্রশ্নঃ সবচেয়ে বেশি ট্রেড কোন ফরেক্স পেয়ার গুলো করেছে?
উত্তরঃ চেয়ে বেশি ফরেক্স পেয়ারঃ
- ইউরো/ ডলার
- ইউএস ডলার/ জাপানি ইয়েন
- ব্রিটিশ পাউন্ড/ মার্কিন ডলার
- অস্ট্রেলিয়ান ডলার/ মার্কিন ডলার
- নিউজিল্যান্ড ডলার/ ইউ এস ডলার
ভালো লাভের আশায় এই পেয়ার গুলোকে প্রথম সারিতে রাখা হয়। সর্বোচ্চ মার্কেট এই কারেন্সি তে আসে।
প্রশ্নঃ ফরেক্স শুরু করতে কি পরিমান অর্থের প্রয়োজন পড়ে?
উত্তরঃ শুরু থেকে খুব একটা বেশি অর্থ নিয়ে ট্রেডিং শুরু করা ঠিক নয়। সেক্ষেত্রে সীমিত পরিবার অর্থ দিয়ে মার্কেট চেনা জরুরী। বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেখানে বিগিনারদের জন্য একাউন্ট প্রদান করা হয়। ঝুঁকি মোকাবেলা করা সম্ভব এমন ধরনের অ্যাকাউন্টে সহজেই ট্রেডিং শুরু করতে পারেন।
প্রশ্নঃ ফরেক্স ট্রেডিং কি যেকোনো সময় করতে পারবো?
উত্তরঃ ফরেক্স ট্রেডিং এর মার্কেট সপ্তাহে পাঁচ দিন খোলা থাকে এবং ২৪ ঘন্টা সার্ভিস দেয়। মার্কেটটি ক্রমাগত উঠানামা করতে থাকে। এর ভেতরেই ট্রেডিং এর কাজ করতে হয়। বিভিন্ন এরিয়া ভিত্তিক স্টেশন রয়েছে। সারা পৃথিবীতে চার ধরনের সেশন নিযুক্ত।
- সিডনি সেশন
- টোকিও সেশন
- লন্ডন সেশন
- নিউইয়র্ক সেশন
বাংলাদেশে বাইনারি ট্রেডিং বিষয়ক বৈধতা
বাংলাদেশে ফরেক্স ট্রেডিং এর বৈধতা রয়েছে কিন্তু বাইনারি অপশনে ট্রেডিং করা যাবে কিনা সেই বিষয়ে বৈধতা সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। বিশ্বব্যাপী বাইনারি অপশনে ট্রেডিং করার বিষয়ে খুবই জনপ্রিয়তা দেখা যায়। তবে বাংলাদেশের জন্য এ বিষয়ে কিছু অস্পষ্ট ল্যান্ডস্কেপ চোখে পড়ে। বাইনারি এর ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নিয়ম গুলো সংজ্ঞায়িত করা সম্ভব হয় না।
এর ফলে বাইনারি অপশনের ব্যবসায়ীদের অফশোর ব্রোকারদের কাছে ফিরে যেতে হয়। বাংলাদেশের জন্য বাইনারি অপশন ট্রেডিং এর মূল তথ্যগুলো হল,
- অপশন ট্রেডিং টি কিছুটা অনিয়ন্ত্রিত। নিয়ন্ত্রকের অভাব।
- বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের কাছে এটি খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কারণ এর মাধ্যমে উচ্চ রিটার্ন পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
- অনেক আন্তর্জাতিক দালাল সংগঠন ফরেক্স ট্রেডিং বিষয়ক টিউটোরিয়াল বা শিক্ষামূলক সরঞ্জাম বা ডেমো কোনো অর্থের বিনিময়ে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদেরকে শিখিয়ে থাকেন। এতে ব্যবসায়ীরা কোন ঝুঁকি ছাড়াই ব্যবসা করার ধারণা পাবেন।
ফরেক্স ট্রেডিং এর ঝুঁকিপূর্ণ দিক
- বাজার ঝুঁকি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা ট্রেডিং এর ক্ষেত্রে। মার্কেট দ্রুত উঠানামার কারণে পরিবর্তন খুব তাড়াতাড়ি হয়। তাই যদি প্রত্যাশার বিরুদ্ধে বা আরো অনেক নিচে মান কমে যায় তবে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
- বিনিয়োগের সাথে লেভারেজ যুক্ত করার সুযোগ থাকে। তবে এতে লাভবান হলেও বাজার ওটানামার জন্য ক্ষতি হবে প্রচুর।
- যেহেতু বিভিন্ন দেশের মুদ্রা বিনিয়োগ করে এই ট্রেডিং করা হয়। তাই অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক অবস্থার অবনতি হলে ওই দেশের মুদ্রার মানের উপর প্রভাব পড়তে পারে। ট্রেডিং এর ক্ষেত্রে এটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
- বিশ্বস্ত ব্রোকার নির্বাচন করা খুবই জরুরী। কারণ ব্রোকার আপনার তহবিল কে সুরক্ষিত করে রাখতে পারে।
ইসলামিক দৃষ্টিতে ফরেক্স ট্রেডিং
ইসলামিক দৃষ্টিতে ফরেক্স ট্রেডিং ফরেক্স ট্রেডিং বাংলাদেশের জন্য বৈধ নাকি সে বিষয়ে জানলেও অনেকের চিন্তা থাকে এই ট্রেডিং হালাল কি না। যদিও হালাল হারাম নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ের উপর নির্ভর করে নির্ধারণ করা হয়। তাই নির্দিষ্ট পয়েন্ট গুলো থেকে বিবেচনায় করা জেতে পারে।
- হালাল-হারাম এর বিষয়ে সবচেয়ে প্রথমে যে বিষয়টি আছে সেটা হচ্ছে সুদ। যদি ফরেক্স ট্রেডিং এর লেনদেনের সময় সুদ প্রয়োগ করা হয় তবে অবশ্যই শরিয়াহ মোতাবেক হবে না। বেশ কিছু সোয়াপ মুক্ত একাউন্ট অফার করা হয়। যেখানে সুদ বিনিময়ের ব্যবস্থা নেই।
- অনিশ্চিত লেনদেন ইসলামে বৈধ নয়। এটিকে ঝুঁকিপূর্ণ লেনদেন বলা হয়ে থাকে। ফরেক্স ট্রেডিং এ লেনদেনের ক্ষেত্রে ঝুঁকি থাকলে অবশ্যই সেটি হারাম। তাই সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করে লেনদেন করা জরুরি।
- ট্রেডিং যদি জুয়ার মাধ্যমে প্রচলিত হয় তবে তা অবশ্যই হারাম হবে। তাই সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করেই ট্রেডিং করা জরুরী।
- সঠিক বিশ্লেষণ এবং প্রকৃত মালিক সম্পন্ন লেনদেন শরিয়াহ মোতাবেক হয়ে থাকে। যদি পেমেন্টের অনিশ্চয়তা থাকে তবে এই ব্যবসা অবশ্যই হালাল হবে না। মালিকানা নিশ্চিত করে সময় মত যদি টাকা ট্রান্সফার করা যায় তবে ব্যবসা হালাল হবে।
ফরেক্স ট্রেডিং বিষয়ক আরো কিছু প্রশ্ন
প্রশ্নঃ ফোনের মাধ্যমে কি ফরেক্স ট্রেডিং করা যায়?
উত্তরঃ বিভিন্ন ধরনের প্লাটফর্ম হয়েছে যেগুলোতে কাজ করলে ফোন দিয়েই ট্রেডিং এর কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব। বাংলাদেশেও বেশ কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে এইচএফএম। এই প্লাটফর্মটির অনলাইন ভার্সন এবং অ্যাপ ভার্সন দুটি ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
প্রশ্নঃ ফরেক্স ট্রেডিং কি ঝুঁকিপূর্ণ?
উত্তরঃ ফরেক্স ট্রেডিং এ জটিলতা রয়েছে। সবচেয়ে বেশি রয়েছে ঝুঁকি। ট্রেডিং করার সময় ইনভেস্ট করলেই যে আপনি সবসময় লাভবান হবেন এমন কোন নিশ্চয়তা নাই। তাই সুপরিকল্পিতভাবে এবং ঝুঁকিতে পড়লে পরবর্তী পরিকল্পনা সম্মিলিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা সবার প্রথমে জরুরী।
প্রশ্নঃ ফরেক্স লেভারেজ বলতে কি বুঝায়?
উত্তরঃ কারেন্সি পেয়ারির মাধ্যমে ফরেক্সের এক্সচেঞ্জ রেট প্রকাশ পায়। আর এই এক্সচেঞ্জ খুব তাড়াতাড়ি পরিবর্তন হয়। খুব তাড়াতাড়ি রেট চেঞ্জ হওয়ার কারণে ট্রেডিং এর সুবিধার্থে রেট দশমিকের ফোর ডিজিট পর্যন্ত হিসাব করতে হয়। আর এত পরিমাণ মূলধন সাধারণত ট্রেডারের কাছে না থাকার কারণে ব্রোকাররা জামা করা মূলধনের উপর ঋণ দিয়ে থাকে। আর একেই লেভারেজ বলে।
প্রশ্নঃ ফরেক্স ট্রেডিং এর সুবিধা কি?
উত্তরঃ ফরেক্স ট্রেডিং এর সুবিধা গুলো হল,
- মার্কেট বিশাল বড়। তাই হারিয়ে যাওয়া সম্ভাবনা নেই।
- স্থিতিশীল মার্কেট নয়।
- ২৪ ঘন্টা খোলা থাকে।
- ইচ্ছা অনুযায়ী মুদ্রা ক্রয় বা বিক্রয় করতে পারেন।
ফরেক্স ট্রেডিং কি বাংলাদেশে বৈধ এ বিষয়ে লেখকের মন্তব্য
ফরেক্স ট্রেডিং কি বাংলাদেশে বৈধ এ বিষয়ে সব ধরনের সন্দেহের অবশ্যই অবসান ঘটেছে। মুদ্রার ট্রেডিং সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে এবং বুঝে ও সব ধরনের কৌশল শিখে অবশ্যই টাকা ইনভেস্ট করা উচিত। তা না হলে ব্যবসায় লস হবে। আগ্রহ হারিয়ে যাবে। ঝুঁকিপূর্ণ সময়ে কিভাবে ঘুরে দাঁড়ানো যায় সে বিষয়েও পূর্ব প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি।
আমরা এখানে বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাটফর্ম এ আলাদাভাবে কোন কোন জায়গা থেকে ট্রেডিং সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান লাভ করা যায় সে বিষয়ে ধারণা দিয়েছি। আমাদের দেওয়ার নির্দিষ্ট ধাপগুলো ফলো করলে আপনি খুব সহজেই এবং কম সময়ের মধ্যে ফরেক্স ট্রেডিং থেকে আয় করার সুযোগ পাবেন। আর বাংলাদেশের জন্য ফরেক্স ট্রেডিং করে ইনকাম খুবই লাভজনক কাজ।
ফোকাস আইটি ইনস্টিটিউট এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url