ছবি এডিট করার ব্যাকগ্রাউন্ড apps দিয়ে ১ ক্লিকে ফটো এডিটিং
ছবি এডিট করার ব্যাকগ্রাউন্ড apps এ বিষয়ে অনেকেই প্রশ্ন করেন যে কিভাবে ব্যাকগ্রাউন্ড চেঞ্জ করা যায়। মোবাইল দিয়ে ছবি তোলার পর অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে ব্যাকগ্রাউন্ড টি পছন্দ হচ্ছে না। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে পরিবর্তন করা সম্ভব।
ছবি এডিট করে অনেকেই আজকাল বিভিন্ন সাইটে ছবি শেয়ার করে ইনকাম করতে পারছেন। প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফি অথবা অন্য কোন কাজে ফটো তুলে অ্যাপসের মাধ্যমে ব্যাকগ্রাউন্ড চেঞ্জ করা সম্ভব।
পেজ সূচিপত্রঃ ছবি এডিট করার ব্যাকগ্রাউন্ড apps
- ছবি এডিট করার ব্যাকগ্রাউন্ড apps
- ছবি এডিট করে ইনকাম করার উপায়
- ছবি এডিট করার পদ্ধতি
- এডিটিং এর জন্য অ্যাপস ডাউনলোড করার নিয়ম
- ছবি এডিট করার ব্যাকগ্রাউন্ড apps বিষয়ে কিছু প্রশ্ন
- প্রফেশনাল ছবি এডিটিং সফটওয়্যার
- ছবি এডিট কেন করবো
- ছবি এডিট করায় সাবধানতা
- ছবি এডিট করার ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপস বিষয়ে আরো কিছু প্রশ্ন
- ছবি এডিট করার ব্যাকগ্রাউন্ড apps বিষয়ে লেখক এর মন্তব্য
ছবি এডিট করার ব্যাকগ্রাউন্ড apps
ছবি এডিট করার ব্যাকগ্রাউন্ড apps অনেক রকম রয়েছে। আমরা অনেক সময় শর্টকাটে ব্যাকগ্রাউন্ড চেঞ্জ করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপের সাহায্য নিয়ে থাকি। এ ধরনের অ্যাপস এ কাজ করে যেমন সময় বাঁচানো যায় তেমনি সহজেই সমাধান পাওয়া যায়। তাই আমরা আজকে নিচে এমন ৩০ ধরনের অ্যাপস নিয়ে আলোচনা করব।
- রিটাচ- রিমুভ অবজেক্টঃ খুব সহজেই মাত্র ১৮ এমবি খরচ করে ছবি এডিট করা যায় এই অ্যাপ এর মাধ্যমে। অনেক মানুষই এই অ্যাপটি ডাউনলোড করেন এবং এডিট করতে আগ্রহী থাকেন।
- রিমুভ অবজেক্ট- ফটো এন্ড অবজেক্টসঃ এই অ্যাপটি সাধারণত ৩০ এমবির হয়ে থাকে। অনলাইনে এর রেটিং অনেক ভালো। ব্যাকগ্রাউন্ড মুছে নতুন কোন ব্যাকগ্রাউন্ড এড করতে এই অ্যাপটি খুবই কার্যকর।
- এআই ফটো এডিটর - লুমিঃ এটি এডিটিং এর জন্য খুবই ভালো এবং বহুল ব্যবহৃত একটি অ্যাপ। মাত্র ২৯ এমবি তেই এই অ্যাপটি নামানো যায়। অধিকাংশ মানুষই এই অ্যাপ ব্যবহার করে খুশি। কাজ খুব সহজেই হয়ে যায়।
- ফটোরুমঃ এই অ্যাপটিও খুবই জনপ্রিয় এবং এর আসল আর একমাত্র কাজই হচ্ছে ব্যাকগ্রাউন্ড চেঞ্জ করা। বিভিন্ন রকম টুলস এই অ্যাপটিতে রয়েছে।
- ফটোশপ লাইটরুমঃ যারা ফটো নিয়ে কাজ করেন তারা বেশির ভাগই এই অ্যাপটি ব্যবহার করেন। ফটো গুলো অনেক কালারফুল এবং স্পষ্ট হয়।
- পিকসার্টঃ বিভিন্ন ধরনের এডিটিং এই অ্যাপ এর মাধ্যমে করা সম্ভব। শুধু ব্যাকগ্রাউন্ড চেঞ্জ নয় সব ধরনের ফটো এডিটেড কাজ ই এর মাধ্যমে করা সম্ভব।
- টুল ওয়াইজ ফটোসঃ এই অ্যাপটিও খুব ভালো ফটো এডিটিং এবং ছবির কালার চেঞ্জ করার ক্ষেত্রে খুব ভালো কাজ করে। ছোটখাটো প্রফেশনাল কাজ এর মাধ্যমে করা যায়।
- পিক্সেল ল্যাবঃ বিভিন্ন ব্যানার বিশেষ করে ফেসবুক বা ইউটিউব এর জন্য তৈরি করার ক্ষেত্রে এবং এর ভেতর লেখালেখি করার সুবিধার্থে এই ধরনের অ্যাপস ব্যবহার করা হয়।
- এআই এক্সপ্যান্ডঃ এই অ্যাপে ছবি এডিট করা ছাড়াও ছবির সাইজের পরিবর্তন করা সম্ভব। প্রয়োজনে যেকোনো জায়গায় এই ছবি বসানোর ক্ষেত্রে ছবির মাপ যেহেতু খুবই জরুরী তখন এই অ্যাপের প্রয়োজন হয়।
- স্কাই পিকঃ ছবি ব্যাকগ্রাউন্ডে আকাশ পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে এই সফটওয়্যার কাজে লাগে। খুব সহজেই ব্যাকগ্রাউন্ডটি পরিবর্তন করা সম্ভব হয়।
- রেমিনিঃ এই অ্যাপটির সাহায্যে যেকোনো ধরনের ছবি এডিট করা খুব কম সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রফেশনাল বা শখের কোন কাজ খুব তাড়াতাড়ি এর মাধ্যমে করা সম্ভব।
- এয়ার ব্রাশঃ ছবি এডিটিং এবং স্পষ্ট করার ক্ষেত্রে এই অ্যাপটি কাজে লাগে। ছবির ব্রাইটনেস বাড়ানোর জন্য খুব তাড়াতাড়ি সময় বাঁচায়।
- গিমফঃ যারা শর্টকাটে সুন্দর একটা এডিট করতে চান। ফেসবুকে খুব তাড়াতাড়ি পোস্ট করার ক্ষেত্রে সহজ কোনো এডিটিং অপশন বেছে নিতে চান তাদের জন্য এই অ্যাপ।
- বাজআর্টঃ ছবির আর্টিস্টিক ইম্প্রেশন তৈরি করার ক্ষেত্রে এই সফটওয়্যার টি খুবই কার্যকর। ইনস্টাগ্রাম ছবি বা রিল আপলোড করার ক্ষেত্রে খুবই ব্যবহৃত হয়।
- ফটো পিয়াঃ খুবই জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত একটি অ্যাপ। বেশিরভাগ মানুষই এই অ্যাপটি চিনেন এবং ব্যবহার করে থাকেন। কাজের ক্ষেত্রে স্কিলফুল একটি এডিটিং এখান থেকে পাওয়া যায়।
- স্ন্যাপ সিডঃ ছবি এডিটিং এর পিকচার প্রফেশনালি সুন্দরভাবে রিপ্রেজেন্ট করার ক্ষেত্রে এই অ্যাপটি কাজে লাগে। সব ধরনের এডভান্স টুল এই অ্যাপে রয়েছে।
- লাইট রুম ফটো এন্ড ভিডিও এডিটরঃ ফটো এডিট করার ভালো অ্যাপ কোনটি জিজ্ঞাসা করলে এই অ্যাপটির কথা সহজেই বলা সম্ভব। সাধারণত ছবির লাইটিং, কালার সবকিছু অ্যাডজাস্ট করার জন্য এই অ্যাপটির ব্যবহার জরুরী।
- ক্যানভাঃ প্রফেশনালি ফটো এডিটিং শুরু করার ক্ষেত্রে সবার প্রথমেই যেই সফটওয়্যার টি ব্যবহার করতে হয় তা হচ্ছে ক্যানভা। এই অ্যাপটি প্রফেশনাল বা বিগিনার যে কেউ ব্যবহার করতে পারে। খুবই সহজ উপায়ে ব্যবহার করা যায় এমন একটি সফটওয়্যার এটি।
- প্রিজমা আর্ট ইফেক্ট ফটো এডিটরঃ ছবিকে কার্টুনিস্ট বা পেইন্ট করার ক্ষেত্রে বা ছবি এডিট করা ব্যাকগ্রাউন্ড লাইট উন্নত রাখার জন্য এই অ্যাপটি খুবই প্রয়োজন। অনেক ধরনের ফিল্টার ইফেক্ট থাকার কারণে খুব সহজেই ভালো এডিট করা সম্ভব।
- স্যাপসিডঃ অনেক ধরনের ফিল্টার সম্বলিত এবং বিভিন্ন ধরনের টুলস থাকার কারণে এই অ্যাপটির জনপ্রিয়তা বেশি। এত টুলস থাকার কারণে বিশেষ কোনো প্রয়োজন ছাড়া অন্য কোন অ্যাপস এ কাজ করার প্রয়োজন পড়ে না।
- লাইটরুমঃ ফটো এডিটিং করতে ভালো লাইটিং এর সুবিধার্থে এই অ্যাপটি সাহায্য করে। ছবি তোলা এবং ছবি এডিট করার পর কালার এর পরিবর্তন ছবিকে আরো জীবন্ত অথবা মলিন করে তুলতে পারে। ভালো ছবি পাওয়ার ক্ষেত্রে এই অ্যাপটি খুবই কার্যকর।
- এয়ার ব্রাশঃ ভালো এডিটিং এর জনপ্রিয়তার জন্য এই সফটওয়্যারটি পরিচিত। স্মুথ ফিনিশিং এর ক্ষেত্রে অটো ছবি এডিটর হিসেবে খুবই কার্যকর ভাবে কাজ করে।
- ইনশুটঃ ফটো এডিট থেকে শুরু করে ভিডিও এডিটিং দুটি কাজই এই সফটওয়্যার এর মাধ্যমে করা যায়। গুগলের মাধ্যমে ছবি এডিট করে বিভিন্ন রকম টুলস ব্যবহার এর দ্বারা এই এডিট সম্পন্ন করা যায়।
- ফটো ল্যাবঃ এই অ্যাপটি খুবই কার্যকর এবং ব্যবহৃত একটি সফটওয়্যার। প্রয়োজনে বিভিন্ন ধরনের এডিটিং এর সুবিধা এই অ্যাপের মাধ্যমে পাওয়া সম্ভব।
- পিকস আর্ট - এআই ফটো এডিটরঃ মোবাইল ব্যবহার করার মাধ্যমে মিনিটেই খুব সহজে ফটো এডিট করে ফেলা সম্ভব। প্লে স্টোরে বহুল ব্যবহৃত ডাউনলোড করা অ্যাপের মধ্যে এটি জনপ্রিয়।
- আফটার ফোকাসঃ ছবি ব্লার করে ফেলার জন্য এই অ্যাপটি খুবই কার্যকর। খুব কম সময়ের মধ্যে ছবি ব্লার করার জন্য এটি কাজ করে থাকে। সাধারণ যে কোন মোবাইল দিয়ে রো একটি ছবি তুলে এই এডিটর দিয়ে ছবি পরিবর্তন করে ফেলা সম্ভব।
- ফটোপলিশঃ ছবি স্মুথ করতে অটো ছবি এডিটর হিসেবে এই অ্যাপটি ব্যবহৃত হতে পারে। যেহেতু সম্পূর্ণ বিনামূল্যে তাই অ্যাপটি ওপেন করে এডিট করে দেখা যেতে পারে।
- পিকচার এডিটরঃ ছবির উন্নত মানের এডিট করার জন্য এবং বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও বা ছবি শেয়ার করার ক্ষেত্রে এই অ্যাপটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বিভিন্ন থামনেল পরিবর্তন করা বা এডিট করার জন্য এই সফটওয়্যার টি কার্যকর।
- প্রিজমাঃ আর্টিস্টিক ইফেক্ট তৈরি করার জন্য বেস্ট ফটো এডিটর হচ্ছে এই প্রিজমা। আর্টিস্টিক ইফেক্ট দিয়ে নিজের ফটো পরিবর্তন করা খুবই জনপ্রিয় একটি ফটো এডিটিং স্কিল।
ছবি এডিট করে ইনকাম
ছবি এডিট করার ব্যাকগ্রাউন্ড apps সম্পর্কে আমরা আলোচনা করেছি। আমরা ৩০ ধরনের অ্যাপ এর ধারণা আপনাদের দিয়েছি। প্রয়োজনে সুবিধা অনুযায়ী যেকোনো একটি অ্যাপ ইন্সটল করে এডিটিং এর কাজ শুরু করে দিতে পারেন। তবে সাধারণত এডিটিং নিজের প্রয়োজনে অথবা শখের বসবর্তী হয়ে আমরা করে থাকি।
যেহেতু ফোনে শটকার্ট এডিট করা হয় তাই স্বভাবতই বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতেই এই এডিট করা ছবিগুলো শেয়ার করা হয়। কিন্তু এতে বিশেষ কোন সুবিধা নেই। তবে মজার বিষয় হচ্ছে সামান্য ছবি এডিট করেই আপনি চাইলেই ইনকাম করতে পারবেন। এই ধরনের ইনকামের জন্য বেশ কয়েক ধরনের সফটওয়্যার রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো ও সর্বোচ্চ ইনকাম ২০২৪
সেসব জায়গায় এডিট করা ছবিগুলো পাঠালে আপনি কিছু টাকা আয় করতে পারবেন। পরবর্তীতে আরো ভালো এডিটিং স্কিল তৈরি করে ইনকামের পরিমাণ বাড়ানো সম্ভব।
ছবি এডিট করার পদ্ধতি
ছবি এডিট করার ব্যাকগ্রাউন্ড apps সম্পর্কে আমাদের জানা প্রয়োজন। কারণ একেক ধরনের অ্যাপ একেক ভাবে ছবি এডিটে সুবিধা দেয়। মোবাইলের ছবি এডিটের ক্ষেত্রে কিছু অ্যাপ রয়েছে ছবিকে স্পষ্ট করে তোলে। আবার কিছু অ্যাপ ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড ব্লার করে ফেলে। কিছু অ্যাপস ছবিকে কালারফুল করে। তাই প্রয়োজন অনুযায়ী যে অ্যাপটি দরকার সেখানে গিয়েই এডিট করা জরুরি।
তবে কিছু অ্যাপসে সব ধরনের সুযোগ সুবিধাই একসাথে পাওয়া যায়। এডিটিং এর ক্ষেত্রে সেই ধরনের অ্যাপস ব্যবহার করতে পারলে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। কম সময়েই আপনার কাঙ্খিত এডিট সম্পন্ন হবে। খুব সহজেই আপনি পছন্দমত একটি অ্যাপ ডাউনলোড করে ছবিটি ইন্সটল করলে প্রয়োজনীয় টুলস এর মাধ্যমে ছবির পরিবর্তন সাধন করতে সক্ষম হবেন।
এডিটিং এর জন্য অ্যাপস ডাউনলোড করার নিয়ম
ছবি এডিট করার ব্যাকগ্রাউন্ড apps সম্পর্কে আমরা জেনেছি। কিন্তু আমরা জানি না যে ছবি এডিট করার ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ গুলো কি করে ডাউনলোড করতে হবে। ছবি এডিট করা ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপস ডাউনলোড করার ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম আপনার একটি ফোন থাকলেই যথেষ্ট। মোবাইল ফোনটিতে গুগল প্লে স্টোর নামে একটি অ্যাপ থাকবে।
সেখান থেকে আপনি পছন্দমত এডিটিং এর ক্ষেত্রে কার্যকর যেকোনো একটি অ্যাপ নামিয়ে ফেলবেন। অ্যাপ নামানোর ক্ষেত্রে প্লে স্টোরে সার্চ বার এ গিয়ে কাঙ্ক্ষিত অ্যাপের নাম লিখবেন এবং সার্চ দিবেন। সাথে সাথেই দেখতে পাবেন যে আপনার পছন্দের অ্যাপটি চলে এসেছে।
অথবা গুগল থেকেও গুগল ছবি এডিট লিখে সার্চ দিলে অনেক ধরনের অ্যাপ সামনে আসবে। সেখান থেকেও সরাসরি যেকোনো একটি অ্যাপ ডাউনলোড করে ফেলতে পারবেন।
ছবি এডিট করার ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপস বিষয়ে কিছু প্রশ্ন
প্রশ্নঃ এমন কোন অ্যাপ আছে যার মাধ্যমে ব্যাকগ্রাউন্ড অটোমেটিক্যালি চেঞ্জ হয়ে যাবে?
উত্তরঃ হ্যাঁ খুব সহজেই অটোমেটিকালি ব্যাকগ্রাউন্ড চেঞ্জ করার অনেক ধরনের অ্যাপ রয়েছে। এরমধ্যে এআই দিয়ে খুব তাড়াতাড়ি এবং সহজভাবে এই পরিবর্তন আনা যায়।
প্রশ্নঃ ছবি দিয়ে কোন অ্যাপের মাধ্যমে সহজেই ভিডিও বানানো যায়?
উত্তরঃ ছবি দিয়ে ভিডিও বানানোর জন্য ফোনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে সহজ অ্যাপ হচ্ছে ক্যাপকার্ট।
প্রশ্নঃ কোন অ্যাপের সাহায্যে অন্য একজনের ছবি নিজের মুখের উপর বসানো যাবে?
উত্তরঃ এই ধরনের ট্রিক্স বা এডিটিং সাধারণত এডোবি ফায়ার ফ্লাই অথবা এ আই দিয়ে সবচেয়ে সহজে করা যায়।
প্রশ্নঃ অস্পষ্ট ছবি স্পষ্ট করা সম্ভব?
উত্তরঃ অস্পষ্ট ছবি কে স্পষ্ট করতে কিছু অ্যাপস রয়েছে। যেমন পিক্সেল এডিং, কালার কারেকশন এন্ড ফিনিশিং।
প্রফেশনাল ছবি এডিটিং সফটওয়্যার
ফটো এডিট করার জন্য ভাল অ্যাপ কোনটি সে বিষয়ে আমরা উপরে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। যা কিনা ফোনেই সহজে শর্টকাটে সম্পূর্ণ করা যায়। কম সময়ের জন্য এবং কোন রকম খরচ বাদে কিভাবে খুব ভালো ছবি এডিট করা যায় তা আমরা জানলেও যারা প্রফেশনালি ছবি এডিট করেন তাদের সম্পর্কে আমাদের ধারণা নাই বললেই চলে।
প্রফেশনালি ছবি এডিট করার ক্ষেত্রে কোন ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হয় তা আমরা অনেকে চিন্তাই করতে পারি না। প্রথমত প্রফেশনালি এডিটিং এর ক্ষেত্রে অবশ্যই একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ জরুরী। এরপর এডোবি ফটোশপ ইন্সটল করতে হবে।
এই ফটোশপেই সব ধরনের স্কিল ফুল টুলসহ প্রফেশনালি এডিট এর কাজে ব্যবহার করা হয়। এডোবি গ্রুপের আরো অনেক ধরনের ফটো এডিটিং টুলস রয়েছে। যা ছবিকে আরো সুন্দর এবং স্পষ্ট করে তোলে।
ছবি এডিট কেন করবো
ছবি এডিট করার ব্যাকগ্রাউন্ড apps সম্পর্কে কেন জানতে হবে সে বিষয়ে অনেকেরই প্রশ্ন থাকে। ছবি এডিট কেন করতে হবে তা অনেকের কাছেই অজানা বিষয়। মূলত ছবি এডিট করা হয় ছবিকে আরো সুন্দর করার জন্য। কারণ ছবি তোলার সময় অনেক কারণে ছবি নষ্ট হয়ে যায়। যা কিনা এডিট করে পরিবর্তন করার সম্ভব।
আবার ছবির গুণগত মান উন্নত করার ক্ষেত্রে এডিট করা জরুরী হয়ে পড়ে। এতে অন্য কাউকে রিপ্রেজেন্ট করতে সুবিধা হয়। আবার যারা ছবি বিক্রি করেন তারাও ছবিকে পলিশ করে থাকেন। এতে ছবিও দেখতে আরো সুন্দর হয় এবং গ্রাহক খুশি হন। পরবর্তীতে তিনি ছবিটা গ্রহণ করেন বা অনলাইনে ডাউনলোড করে ফেলেন।
ছবি এডিট করায় সাবধানতা
ছবি এডিট করার ব্যাকগ্রাউন্ড apps নামানো যেমন জরুরী তেমনি যেকোনো ধরনের অ্যাপস থার্ড পার্টির কোন লিংক থেকে ডাউনলোড করা ডাউনলোড কারীর ক্ষেত্রে ভুল পদক্ষেপ হতে পারে। কারণ এসব থার্ড পার্টির লিংকগুলো সঠিক ডাউনলোড লিংক হয় না। খারাপ বা ভুলভাল জায়গায় অথবা লিংকে ক্লিক করলে আপনার ফোন এর ক্ষতি হতে পারে।
অনেক ক্ষেত্রে ফোন হ্যাক অথবা হ্যাং হয়ে যেতে পারে। তাই ডাউনলোড করার সময় অবশ্যই গুগল প্লে স্টোর অথবা অ্যাপেল স্টোর থেকে সরাসরি ডাউনলোড এর ব্যবস্থা করতে হবে। এতেই একমাত্র আপনার ফোন ভালো থাকবে এবং আপনাদের কোন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।
ছবি এডিট করার ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপস বিষয়ে আরো কিছু প্রশ্ন
প্রশ্নঃ অনলাইনে ফটো এডিটিং এর জন্য সবচেয়ে ভালো সাইট কোনটা?
উত্তরঃ অনলাইনের ফটো এডিটিং এর জন্য সবচেয়ে ভালো সাইট হচ্ছে পিক্সলার, ক্যানভা, ফটোপিয়া ইত্যাদি।
প্রশ্নঃ ফটো এডিটে ইনকাম করার জন্য কি কোন ওয়েবসাইট রয়েছে?
উত্তরঃ ফটো এডিট করে ইনকাম করার জন্য কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে। যেগুলোতে ছবি শেয়ার করলে টাকা পাওয়া যায়। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, শাটার স্টক, এডোবি স্টক, আই স্টোক।
প্রশ্নঃ সেলিব্রেটিদের ফটো কোন অ্যাপ দ্বারা এডিট করা হয়?
উত্তরঃ সেলিব্রেটিদের জন্য ফটো এডিটিং এর ক্ষেত্রে সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যাপ হচ্ছে ইনসট এবং ক্যানভা।
ছবি এডিট করার ব্যাকগ্রাউন্ড apps বিষয়ে লেখক এর মন্তব্য
ছবি এডিট করার ব্যাকগ্রাউন্ড apps সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জানতে পেরেছি এবং ৩০ ধরনের অ্যাপস এর কথা উল্লেখ করেছি। অনেকেই আছেন ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড চেঞ্জ করতে চান বা প্রয়োজন হয়। তাদের জন্য এই আইডিয়াগুলো খুবই কার্যকর হবে। নিজের পছন্দমত যেকোনো একটি অ্যাপ নিয়ে কাজ শুরু করতে পারবেন।
সফটওয়্যার বেজ কোন কাজ এর ক্ষেত্রে ছবি এডিটিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি স্কিল। আমাদের বেশিরভাগ মানুষেরই পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থের অভাবে ল্যাপটপ বা কম্পিউটার কেনার সুযোগ হয় না। তাদের জন্য ফোনেই কোন অ্যাপ ডাউনলোড করে যদি ব্যাকগ্রাউন্ড চেঞ্জ করার মাধ্যমে ইনকাম করা সম্ভব হয় তবেই সার্থকতা আসবে।
ফোকাস আইটি ইনস্টিটিউট এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url