বাচ্চার ওজন কত হলে সিজার করা যায় ও নরলাম ডেলিভারির গুরুত্ব

বাচ্চার ওজন কত হলে সিজার করা যায় এ প্রশ্নটিই বেশিরভাগ মায়ের মনেই ঘুরতে থাকে। গর্ভবতী মহিলাদের বাচ্চা ডেলিভারি বিষয়ক নানান ধরনের জটিলতা দেখা দেয়। তাই মায়েদের ডেলিভারি বিষয়ে ধারণা থাকতে হবে।

বাচ্চার-ওজন-কত-হলে-সিজার-করা-যায়

সবচেয়ে কম কত দিনে সিজার করা যায় এবং মায়ের শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করে সিজারের বিষয়ে ডাক্তারের পরামর্শ মত চলা গুরুত্বপূর্ণ। আজকের এই আর্টিকেলে এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ই জানতে পারবেন।

পেজ সূচিপত্রঃ বাচ্চার ওজন কত হলে সিজার করা যায়

বাচ্চার ওজন কত হলে সিজার করা যায়

বাচ্চার ওজন কত হলে সিজার করা যায় গর্ভবতী মায়েরা এ বিষয়ে চিন্তায় থাকেন। প্রেগন্যান্সি অবস্থায় অনেকেই তাড়াতাড়ি সিজার করার চিন্তা করে থাকেন। কিন্তু এটা তারা বোঝেন না যে সিজার আর নরমাল ডেলিভারি করার বিষয়টি পুরোপুরি ডাক্তারদের তত্ত্বাবধানে করা জরুরী। তা নাহলে মা এবং বাচ্চা উভয়েরই স্বাস্থ্য ঝুঁকি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রশ্ন আসে যে বাচ্চার ওজন কত হলে সিজার করা সম্ভব। সাধারণত ডাক্তারদের হিসাব অনুযায়ী বাচ্চার ওজন ২.৫ থেকে উপরের হলে সিজার করা সম্ভব। আর সেক্ষেত্রে প্রেগন্যান্সি পিরিয়ড ৩৯ সপ্তাহের পরে শুরু হলে ভালো হয়। কিন্তু মাঝে মাঝে দেখা যায় যে বাচ্চার বয়স ৩৯ সপ্তাহ হলেও বাচ্চার পরিপূর্ণ বিকাশে সমস্যা থাকলে ডেলিভারি হওয়ার সম্ভব হয় না। 

আবার অনেক ক্ষেত্রে খুব তাড়াতাড়ি ডেলিভারি করতে হয় কারণ মা বা বাচ্চার কোন সমস্যা দেখা দিলে ঝুঁকির পরিমাণ বাড়তে পারে। অনেকের চিন্তা থাকে যে নরমাল ডেলিভারি করাবেন নাকি সিজার। সেটা নির্ভর করে বাচ্চার বা মায়ের যদি কোন সমস্যা না থাকে এবং তারা যদি দুজনই সুস্থ থাকেন তবে তার ওপর। 

সাধারণত নরমাল ডেলিভারি করার চেষ্টা করাই শ্রেয়। কিন্তু ডাক্তারের যদি মনে হয় যে নরমাল ডেলিভারি বাচ্চা বা মায়ের জন্য ঠিক হবে না তবে ডাক্তারের পরামর্শ মত সিজার করাই জরুরী।নিয়মিত চেকআপের মাধ্যমে প্রেগন্যান্সির শুরু থেকেই একটি নির্দিষ্ট ডাক্তারের পরামর্শ মত চলতে হবে। 

যেহেতু বাচ্চার ভালো অবস্থা বা খারাপ অবস্থা পুরোপুরি একটি ডাক্তারই ভালো বলতে পারবেন তাই আগ বাড়িয়ে নিজের ইচ্ছামত কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ঠিক হবে না। এতে বাচ্চা এবং মা উভয়েই বিপদের ঝুঁকিতে পড়বেন। 

বাচ্চার সুরক্ষায় নরমাল ডেলিভারির গুরুত্ব

বাচ্চার ওজন কত হলে সিজার করা যায় এমন প্রশ্ন যেমন থাকে তেমনি সুরক্ষার ক্ষেত্রে নরমাল ডেলিভারির গুরুত্ব সম্পর্কেও জানা জরুরী। সাধারণত নরমাল ডেলিভারি করতে পারলে বাচ্চা এবং মা উভয়েই বেশি সুস্থতা বোধ করেন। আবার বাচ্চা অসুস্থ থাকলে সময়ের আগে পেইন উঠলে এমনকি বাচ্চার ওজন কম হলে নরমাল ডেলিভারি করা যায় কিনা সে বিষয়ে অনেকের প্রশ্ন থাকে। 

নরমাল ডেলিভারি অনেক ধরনের সমস্যার ঝুঁকি থেকে সুরক্ষিত রাখে। প্রেগন্যান্সির শুরু থেকেই এজন্য নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ মত চললে নরমাল ডেলিভারি করা সম্ভব। এজন্য অবশ্যই সঠিক বয়সে বাচ্চা নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। তাছাড়া মায়ের যেন উচ্চ রক্তচাপ বা ওজনের ব্যাপারে সাবধান থাকেন সে ব্যাপারেও খেয়াল রাখতে হবে। 

নিয়মিত ডাক্তারের কাছে গিয়ে সব ধরনের শারীরিক চেকআপ করাতে হবে। প্রেগন্যান্সির জন্য তার শরীর চর্চা করা থেকে বিরত থাকা যাবে না। নিয়মিত শরীরচর্চা করলে বাচ্চা এবং মা উভয়েই সুস্থ থাকবেন। এছাড়াও সঠিক খাবার গ্রহণ করতে হবে। 

আরও পড়ুনঃ আমি মোটা হবো কিভাবে - মোটা হওয়ার উপায় জেনে নিন

এমনকি যাদের ডেলিভারি জনিত টেনশন বা নরমাল ডেলিভারির পেইন বিষয়ে চিন্তা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে বলা যায় যে ব্যাথামুক্ত নরমাল ডেলিভারি করা সম্ভব। এটি একটু ব্যয়বহুল হলেও বাংলাদেশের অনেক বড় বড় হাসপাতালে এই প্রক্রিয়ায় নরমাল ডেলিভারি করা হচ্ছে।

প্রেগন্যান্সিতে সিজারের ঝুঁকি

বাচ্চার ওজন কত হলে সিজার করা যায় এ বিষয়ে আমরা জানতে পেরেছি। আমরা প্রথমেই আলোচনা করেছি বাচ্চার ওজন যদি ২.৫ কেজি হয় তবে সিজার করা সম্ভব। কিন্তু খুবই ভালো হয় যদি সিজার ৩৯ সপ্তাহের পরে করা হয়। কারণ ৩৭ সপ্তাহে বাচ্চার ওজন ২.৯ কেজি হলেও সব ক্ষেত্রে শারীরিক বিকাশ এবং পুষ্টি একরকম থাকে না। 

বাচ্চা যতদিন মায়ের পেটে থাকবে ততদিন সুরক্ষিত এবং নিরাপদে বেড়ে উঠবে। বাচ্চার বিভিন্ন ধরনের অনুভূতি প্রকাশ এই সময় থেকেই শুরু হয়। তাছাড়া পরিপাক নালীর খাদ্য শিশু মায়ের পেটে থাকা অবস্থায় খেয়ে থাকে সেগুলা ডাইজেস্ট হতে থাকে। এভাবে আরো ২ থেকে ৩ সপ্তাহ ধরে শিশুর নতুন নতুন বিকাশ দেখা দেয়।  

তাই ৩৭ সপ্তাহে সিজার করা যায় কিনা জিজ্ঞাসা করলে বেশিরভাগ ডাক্তারেরই সম্মতি থাকে না। তেমনি অনেকে ৩৮ সপ্তাহ সিজার করা যাবে কিনা জিজ্ঞাসা করেন এক্ষেত্রে উত্তরটি একই হবে।

সবচেয়ে কম সময়ে সিজার

সিজার বিষয়ে সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে বাচ্চার ওজন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওজন কম হলে সিজার করা ও কখনোই উচিত নয়। সাধারণত ৩৭ সপ্তাহের পরে সিজার করা যেতে পারে। সেটাও ডাক্টরের পরামর্শ অনুযায়ী হতে হবে। কারণ অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় বাচ্চা বা মায়ের বিভিন্ন রকম শারীরিক সমস্যার কারণে ডাক্তার এ ধরনের সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকেন।  

সবচেয়ে-কম-সময়ে-সিজার

এক্ষেত্রে যেহেতু ৩৭ সপ্তাহের আগ পর্যন্ত বাচ্চা শারীরিক বিকাশ সম্পন্ন হয় না। তাই সিজার করা হলে অবশ্যই এনআইসিইউতে বাচ্চাকে ট্রান্সফার করতে হয়। মানে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থা করতে হয়। আবার সিজার তাড়াতাড়ি করলে বাচ্চার জন্মের পর বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ও মানসিক অক্ষমতা দেখা দিতে পারে। 

বাচ্চার ওজন কত হলে সিজার করা যায় এ বিষয়ে কিছু প্রশ্ন

প্রশ্নঃ বাচ্চার বয়স ৩৬ সপ্তাহ হলে কি সিজার করা যায়?

উত্তরঃ সাধারণত ৩৬ সপ্তাহে বাচ্চার পূর্ণ বিকাশ ঘটেনা। এ সময় সিজার করা বাচ্চার জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যা পরবর্তীতে বাচ্চার শারীরিক ও মানুষিক গঠনে বাধা দিতে পারে।

প্রশ্নঃ গর্ভবতী মা যদি হার্টের রোগী হয় তাহলে কি সিজার করা যায়?

উত্তরঃ গর্ভবতী মায়ের হার্ট বিষয়ক কোন সমস্যা থাকলে অবশ্যই সিজার করতে হবে।

প্রশ্নঃ সিজারের পর মায়ের পেটে ব্যথা হলে কি করতে হবে?

উত্তরঃ সিজারের পর মায়ের পেটে ব্যথা উঠলে সাধারণত প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রফেন খেয়ে ফেলতে পারেন। তবে যদি বেশি ব্যথা হয় তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। 

প্রশ্নঃ সিজারের পর কাঁটা অংশ শুকাতে কতদিন লাগে?

উত্তরঃ সিজারের পর কাটা অংশ শুকাতে অন্তত ছয় সপ্তাহ সময় লেগে যায়।

সিজার করানোর প্রধান কারণ

বাচ্চার ওজন কত হলে সিজার করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করার ক্ষেত্রে আরো একবার বলাই জরুরী যে খুব প্রয়োজন ছাড়া সম্ভব হলে নরমাল ডেলিভারী করাই সবচেয়ে ভালো। তবে বেশ কিছু কারণে ডাক্তাররা সিজার করার জন্য আগ্রহ দেখান। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে,

  • বাচ্চার শারীরিক সমস্যা অথবা বাচ্চার মাথা যদি স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বড় হয় তাহলে নরমাল ডেলিভারি করা সম্ভব হয় না। এক্ষেত্রে সিজার করার প্রয়োজন পরে। 
  • অনেক সময় গর্ভবতী মায়েদের বিভিন্ন রকম সমস্যা থাকে। তাদের প্রসাবে রাস্তায় টিউমার বা হার্ট বা অন্য কোন জায়গায় কোন ধরনের জটিলতা থাকলে ডাক্তার সিজার করতে বাধ্য করেন।
  • শিশু যদি মায়ের পেটে সঠিক অবস্থানে না থাকে তবে সে সময় সিজার করতে হয়।
  • অনেক সময় আম্বিকাল কর্ড প্রসবের রাস্তা দিয়ে বের হয়ে আসলে সিজার করার প্রয়োজন হয়।
  • ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টার পর্যন্ত নরমাল ডেলিভারির জন্য চেষ্টা করেও যদি সফল না হতে পারেন তবে সিজার করা জরুরী।

সিজারের পর মায়েদের সাবধানতা

বাচ্চার ওজন কত হলে সিজার করা যায় এবং সিজার করার পরবর্তী ধাপ কেমন হতে পারে এ বিষয়ে আমাদের প্রত্যেকেরই জানতে হবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় সিজারের পর বিভিন্ন ধরণের ভুলের কারণে বাচ্চা এবং মা উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন। তাই বেশ কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো মেনে চলা জরুরি হয়ে পরে। 

সিজারের পর যেমন বাচ্চার যত্ন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ তেমনি সাথে সাথে মায়ের স্বাস্থ্যের জন্য কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। বাচ্চার সুস্থতা এবং খেয়াল রাখার জন্য বাচ্চার মায়ের যত্ন নেওয়া জরুরী। এক্ষেত্রে অনেকেই চিন্তা করেন যে সেলাই শুকিয়ে গেলেই বাচ্চার মায়ের জন্য আর কোন ঝুঁকি থাকে না। কিন্তু ধারণা একদমই ভুল। 

সিজারের জন্য যে সেলাই তা বছরের পর বছর পীড়া দিয়ে থাকে। কিন্তু সিজার হওয়ার পর ৬ থেকে ৭মাসের মধ্যে সাবধান থাকতে হবে। এই সময় ভারী কোন কাজ এমনকি শারীরিক মিলন এর ব্যাপারেও সচেতন থাকা জরুরী। এ ধরনের প্রশ্ন অনেকেরই থাকে যে সিজারের কতদিন পর মিলন করা যায়। সেক্ষেত্রে উত্তর একই। 

সন্তান জন্মের পর নরমাল ডেলিভারি হলে এক মাসের মধ্যেই সব ঠিক হয়ে যায় কিন্তু সিজারের কারণে জীবন স্বাভাবিক হতে ছয় মাস থেকে এক বছরের মত সময় লাগে। আবার অনেকেরই ভয় থাকে যে বাচ্চা জন্মের পর গোসল করানো যাবে না। গোসল করালে ঠান্ডা লেগে যাবে।  

সিজারের কতদিন পর গোসল করানো যায় তা চিন্তা করলে স্বাভাবিকভাবে উত্তর হচ্ছে তিন দিনের মধ্যেই বাচ্চাকে গোসল করাতে হবে। 

১ম প্রেগন্যান্সির পর সিজার করার আদর্শ সময়

বাচ্চার ওজনের উপর সিজারের সময় নির্ধারণ করা জরুরী। বাচ্চার ওজন যদি ২.৫ থেকে ৪ কেজি পর্যন্ত হয় তবে সহজেই সিজার করা সম্ভব। কিন্তু অনেকে চিন্তা করেন যে দ্বিতীয় সিজার কত সপ্তাহে করা যায়। তাদের ক্ষেত্রে উত্তম হচ্ছে ৩৯ সপ্তাহের পর সিজার করা। সাধারণত ডাক্তাররা প্রথম ডেলিভারি যে সপ্তাহে হয়েছিল এরপর দ্বিতীয় ডেলিভারিতে সময় এক সপ্তাহ বাড়িয়ে দেন। 

১ম-প্রেগন্যান্সির-পর-সিজার-করার-আদর্শ-সময়

কিন্তু প্রয়োজনে কোন ঝুঁকি থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ মত আগেও সিজার করার প্রয়োজন হতে পারে। আবার এমন চিন্তাও অনেকে করেন যে প্রথম বাচ্চা সিজার হলে দ্বিতীয় বাচ্চার ক্ষেত্রেও সিজার হতে হবে। বিষয়টা এমন না। প্রথম বাচ্চার ক্ষেত্রে সিজার হলেও পরের বাচ্চা নরমাল ডেলিভারি হওয়া সম্ভব। 

বাচ্চার ওজন কত হলে সিজার করা যায় এ বিষয়ে আরো কিছু প্রশ্ন

প্রশ্নঃ সিজার করলে কি কি খাওয়া যাবেনা?

উত্তরঃ খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে সিজার পরবর্তী পর্যবেক্ষণ খুবই জরুরী। অস্বাস্থ্যকর কোন খাবারই খাওয়া যাবেনা। বাসা তৈরি স্বাস্থ্যকর উপায়ে প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ করতে হবে।

প্রশ্নঃ সিজারের পরে কি আনারস খাওয়া যায়?

উত্তরঃ সিজারের পর আনারস খেলে কোন সমস্যা হয় না। আনারসে রয়েছে ভিটামিন সি এবং পটাশিয়াম। তবে কারো কারো আনারস খেলে পেটে অস্বস্তি হয়। তাদের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

প্রশ্নঃ প্রথম সিজারের কতদিন পর বাচ্চা নেওয়া যায়?

উত্তরঃ প্রথম সিজারের ১.৫ থেকে ২ বছর পর দ্বিতীয় বাচ্চা নেওয়া যায়। কারণ সিজারের পর রিকভার হতে মায়ের অনেক সময় লাগে।

প্রশ্নঃ সিজারের কতদিন পর ভারী কাজ করা যাবে?

উত্তরঃ যেহেতু সিজারে একটি বড় ধরনের অপারেশনের ভিতর দিয়ে যেতে হয়। তাই সিজারের পর বাড়ি ফিরে বাচ্চাকে কোলে নিয়ে ঘুরতে পারবেন কিন্তু এর থেকে বেশি ওজনের কোন ভারী কাজ ছয় সপ্তাহের মধ্যে করা যাবে না। বিভিন্ন ধরনের কসরত বা সহবাস এমনকি গাড়ি চালানো বিষয়ে সাবধান থাকতে হবে। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ মত চলতে হবে।

বাচ্চার ওজন কত হলে সিজার করা যায় বিষয়ে লেখকের মন্তব্য

বাচ্চার ওজন কত হলে সিজার করা যায় আজ আমরা এ বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আপনারা আমাদের থেকে অনেক ধরনের ধারণা আশা করি পেয়েছেন। সিজারের বিষয়ে সবচেয়ে উত্তম সমাধান একজন ডাক্তারের কাছেই পাওয়া যায়। যেহেতু সিজার একটি বড় ধরনের অপারেশন তাই এ বিষয়ে সাবধান থাকা জরুরি।

তবে সিজার না করে যদি নরমাল ডেলিভারি করা যায় তবে বাচ্চা এবং মায়ের সুস্থতা সবচেয়ে বেশি কার্যকর হয়। আর সিজার করানোর পরে এবং আগে শুধু বাচ্চার নয় মায়েরও সমানভাবে খেয়াল রাখতে হবে। তবেই বাচ্চা ভালো থাকবে। মায়ের সুস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে যত্ন করলে বাচ্চার কোন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুকিও থাকবে না। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ফোকাস আইটি ইনস্টিটিউট এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url