ডেঙ্গু রোগের বিস্তার কিভাবে ঘটে এবং নিবারণের উপায় ২০২৪

ডেঙ্গু রোগের বিস্তার কিভাবে ঘটে তা অনেকের কাছেই অজানা। এটি এক ধরনের জ্বর, যা বিভিন্ন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সহ প্রকাশ পায়। এডিস মশার মাধ্যমে এই রোগ হওয়ার কারণে মশা নিবারণের উপায় জানতে হবে।
ডেঙ্গু-রোগের-বিস্তার-কিভাবে-ঘটে
বর্তমান সময়ে ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ যেহেতু খুবই বেড়েছে তাই এর সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা থাকা জরুরী। তাই রোগ হলে বোঝার উপায় এবং পরবর্তীতে বিশেষ প্রতিরোধ সম্পর্কেও জানতে হবে।

পেজ সুচিপত্রঃ ডেঙ্গু রোগের বিস্তার কিভাবে ঘটে

ডেঙ্গু রোগের বিস্তার কিভাবে ঘটে

ডেঙ্গু রোগের বিস্তার কিভাবে ঘটে এ বিষয়ে জানতে হলে অবশ্যই এডিস মশা সম্পর্কে ধারণা থাকা জরুরী। এডিস মশার ৫ ধরনের সেরোটাইপ রয়েছে। এর মধ্যে যে কোন একটি সেরোটাইপ কারোর মধ্যে প্রবেশ করলে জ্বর আসবে এবং পরবর্তীতে প্রতিরক্ষা বাঁধ তৈরি করবে রোগীর শরীরে। এতে করে এই একই টাইপের সেরোটাইপ আবারো আক্রমণ করলে রোগী আর জ্বরে আক্রান্ত হয় না। 

আরও পড়ুনঃ চর্ম এলার্জি দূর করার উপায় এবং বাচ্চাদের এলার্জির ঘরোয়া চিকিৎসা

এডিস মশা খুব সহজেই চেনা যায়। সাধারণত এই মশাগুলোর গায়ে ডোরাকাটা সাদা দাগ থাকে। তবে এডিস মশার স্ত্রী মশাগুলোই এই রোগ ছড়ায়। এই মশাগুলো আকারে অন্যান্য মশা থেকে একটু বড় হয়। সাধারণত এডিস মশার প্রভাব গ্রামের তুলনায় শহরেই বেশি দেখা দেয়। শহরের বিভিন্ন কোনাতে জমে থাকা পানি বা টবের পানি থেকে এই মশার উৎপত্তি হয়। 

তবে এডিস মশাগুলো সাধারণত দিনের বেলা কামড়ায় রাতের বেলা বা অন্ধকার স্থানে এরা কামড়ায় না। এডিস মশা যদি কামড়ায় তবে এক সপ্তাহের মধ্যে ডেঙ্গুর লক্ষণ প্রকাশ পায়। তবে চিন্তার বিষয় হচ্ছে যদি জীবাণুমুক্ত কোন এডিস মশা আক্রান্ত ব্যক্তিকে কামরায় তবে সেই মশা ও তখন থেকে ডেঙ্গুর জীবাণু বহন করে বেরাবে। 

এরপর সেই মশাটি যখন আরেকটি সুস্থ মানুষের গায়ে কামড় দিবে, সেই মানুষটি তখন এডিসে আক্রান্ত হবে। তাই এডিসে আক্রান্ত ব্যক্তিকে সবসময়ই মশারির নিচে থাকতে বলা হয়। যেন তার থেকে অন্য একটি সুস্থ মানুষ আক্রান্ত না হয়। বর্তমান সময়ে ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ এতটাই বেড়েছে যে সারা বছরই প্রায় মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। 

চিকিৎসকদের ধারণা মতে এই রোগের প্রভাব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। লক্ষণ চেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে। প্রথমদিকে ডেঙ্গু বিষয়ে সকলেরই অনেক বেশি চিন্তা কাজ করত। কিন্তু বর্তমানে বেশি বেশি প্রচারণা এবং ডাক্তারদের অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে এই রোগ নিয়ে ভয়ের পরিমাণ কমেছে। মানুষের ভেতরেও সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। 

ডেঙ্গু রোগ নিবারণের উপায়

ডেঙ্গু রোগের বিস্তার কিভাবে হয় সে বিষয়ে আমরা জানলেও রোগ থেকে নিবারনের উপায় কি হতে পারে তা অনেকেই জানেন না। সাধারণত খুব কম সময়ের মধ্যেই এই রোগটি সেরে যায়। জ্বর সারতে ৩ থেকে ৭ দিন সময় নেয়। বাসায় বসে নিয়মিত বিশ্রাম এবং খাওয়া-দাওয়ার মাধ্যমে এই রোগ থেকে প্রতিকার পাওয়া যায়। 

তবে মাঝে মাঝে এই রোগের খুব খারাপ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। জ্বরের সাথে অনেকে বমি করে থাকেন আবার বিভিন্ন জায়গা থেকে রক্তক্ষরণও হয়ে থাকে। এছাড়া পাতলা পায়খানাও হয়। প্রচন্ড দুর্বল হয়ে যায় এমনকি শ্বাসকষ্টও হতে পারে। শরীরের অবনতির এ পর্যায়ে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা জরুরী।  

তা না হলে অবস্থা আরও বেগতিক হয়ে পড়ে। কোন কোন ক্ষেত্রে তাপমাত্রা বেড়ে যায় এবং দিনে কয়েকবার জ্বর ওঠা নামা করে। যা শরীরকে আরো দুর্বল করে দেয়। এছাড়া ডেঙ্গু জ্বর চলে যাওয়ার পরও এর প্রভাব সহজে কাটেনা। অনেকের বিভিন্ন ধরনের জটিল সমস্যা শরীরের মধ্যে তৈরি হয়ে যায়। যা সারতে অনেকদিন সময় লাগে।  

মূলত রোগ হলে খুব তাড়াতাড়ি প্রাথমিকভাবেই চিকিৎসা শুরু করে দেওয়া উচিত। একটু দেরি করে ফেললে অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যায় এমনকি রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

রোগীর ভোগান্তিতে ডেঙ্গু জ্বর 

ডেঙ্গু রোগের বিস্তার কিভাবে হয় সেই সম্পর্কে আলোচনা করার পর এখন জানা জরুরী রোগী কত রকম ভোগান্তির শিকার হতে পারে এই জ্বরের কারণে। ডেঙ্গু রোগ একটি ভোগান্তির কারণ। কারণ এই রোগটি সাধারণ কোন জ্বরের মতো নয়। এটা খুবই গুরুতর হতে পারে। এ সময় ডাক্তারের শরণাপন্ন থাকা প্রয়োজন। 

রোগীর-ভোগান্তিতে-ডেঙ্গু-জ্বর

এই জ্বরের অনেক ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। উপরে উল্লেখিত ডেঙ্গু জ্বর কিভাবে ছড়ায় সেখান থেকে আমরা বুঝতে পারছি যে এর প্রভাব কতটা প্রখর। জ্বরের সাধারণ অবস্থায় প্রচুর পরিমাণে বিশ্রাম এবং পানীয় জাতীয় খাবার নিয়মিত পান করতে হবে। এর সাথে অন্যান্য শাক সবজি ভাত ফলমূল খেতে হবে। 

আরও পড়ুনঃ সজিনা পাতার উপকারিতা, সজনে পাতার পুষ্টিগুণ ও কীভাবে খাবেন

খাবার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে এবং শক্তি যোগাবে। মাঝে মাঝে বিভিন্ন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে রক্তক্ষরণ, কিডনির সমস্যা, মাথা ব্যথা, পাতলা পায়খানা হয়। যা কিনা পরবর্তীতে নতুন করে রোগ সৃষ্টি করে। এমনকি ডেঙ্গু জ্বর সেরে যাওয়ার পর রোগীর অবস্থা আরো খারাপ হতে পারে।  

এ সময় রক্ত পরীক্ষা করে দেখা যায় যে প্লাটিলেট বা হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ খুবই কম থাকে। রোগী অনেক দুর্বল থাকে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।

ডেঙ্গু জ্বরের প্রভাব

ডেঙ্গু রোগের বিস্তার কিভাবে ঘটে সে বিষয়ে জানার পর অবশ্যই আমাদের ডেঙ্গু জ্বরের প্রভাব কেমন হয় সে সম্পর্কে ধারণা থাকা জরুরী। ডেঙ্গু জ্বর খুবই পীড়াদায়ক একটি জ্বর। এই জ্বরের উল্লেখযোগ্য কিছু লক্ষণ সবসময়ই চোখে পড়ে। এরমধ্যে রয়েছে,

  • শরীরের তাপমাত্রা ১০২ থেকে ১০৫ ডিগ্রী পর্যন্ত হতে পারে।
  • চোখ বা কপালের পিছনে ব্যথা হয়।
  • বিভিন্ন মাংসপেশিতে ব্যথা হয়ে থাকে।
  • শরীরে বিভিন্ন জায়গায় লাল ফোট দেখা দেয়।
  • সবসময়ই বমি ভাব হয়। শরীর দুর্বল থাকে। খাওয়া-দাওয়ায় রুচি থাকে না।
  • মুখ বা দাঁতের গোড়া বা নাক দিয়ে রক্ত পড়তে পারে।
  • পাতলা পায়খানা হয়।
  • তিন থেকে চার দিনের মধ্যে জ্বর সেরে যায়।
  • রক্তের প্লাটিলেট এবং হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে যেতে পারে।
  • তবে বছরের পর বছর ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ পরিবর্তন হচ্ছে।

ডেঙ্গু রোগের বিস্তার এ বিষয়ে কিছু প্রশ্ন

প্রশ্নঃ ডেঙ্গু জ্বরের প্রাথমিক লক্ষণ কি?

উত্তরঃ ডেঙ্গু রোগের প্রধান লক্ষণ হচ্ছে প্রচন্ড জ্বর, যা কিনা ১০১ থেকে ১০৩ ডিগ্রি পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়াও মাথাব্যথা সহ বিভিন্ন ধরনের লাল দাগ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হয়। 

প্রশ্নঃ জ্বর হলে কি ডেঙ্গু রোগ হয়েছে তা মনে করতে হবে?

উত্তরঃ যেহেতু বর্তমান সময় ডেঙ্গুর রোগের প্রকোপ বেশি। তাই জ্বর আসলেই চিকিৎসকরা ডেঙ্গু পরীক্ষা দিয়ে থাকেন। যেহেতু মৃত্যু ঝুঁকি রয়েছে তাই এ বিষয়ে অবহেলা করার কোন অবকাশ নেই। তবে চিকিৎসকদের মতে জ্বরের সাথে যদি ঠান্ডা লাগে বা প্রসাবের যন্ত্রণা হয় অথবা অন্য কোন সমস্যা থাকে তবে ডেঙ্গু ছাড়া সেটা অন্য রোগ ও হতে পারে।

প্রশ্নঃ জ্বর আসলে প্রতিকারের উপায় কি?

উত্তরঃ ডেঙ্গু জ্বর হলে প্রধানত অবশ্যই বিশ্রাম নিতে হবে। জ্বর আসলে অন্য কোন ধরনের কাজ না করে এক নাগারে বিশ্রাম নিতে থাকলে জ্বর খুব তাড়াতাড়ি ছেড়ে যায়।

প্রশ্নঃ ডেঙ্গু রোগ হলে কি খেতে হবে?

উত্তরঃ ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী ডেঙ্গু রোগের প্রধান খাবার হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার খাওয়া। এর মধ্যে সবচেয়ে উপকারী হচ্ছে, ডাব, লেবুর রস অথবা বিভিন্ন ধরনের ফলের রস। তবে শুধু তরল জাতীয় পানীয় খেলেই হবে না সাথে সলিড খাবারও খেতে হবে।

জ্বর হলে ডেঙ্গু রোগীর যত্ন করার পদ্ধতি

ডেঙ্গু রোগের বিস্তার কিভাবে ঘটে এটা যেমন জানা জরুরী তেমনি ডেঙ্গু জ্বর হলে রোগীর বিষয়ে কোন ধরনের যত্ন এবং সচেতনতা মেনে চলা জরুরী সে বিষয়ে সকলেরই ধারণা থাকা দরকার। ডেঙ্গু রোগী যেহেতু বিভিন্ন ধরনের সমস্যার মধ্যে থাকেন এবং জ্বর ছাড়াও আরো অনেক ধরনের পার্শ্বপ্রতিকরা তাদের মধ্যে দেখা দেয়। 

তাই তাদের বিষয়ে যত্নবান হতে হবে। প্রয়োজনে হাসপাতালে রেখে সঠিক চিকিৎসা প্রদান করতে হবে। বেশকিছু করণীয় রয়েছে যা রোগীর সুস্থতার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  

  • প্রথমেই জ্বর হলে কাছের হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা করতে হবে।
  • রোগীকে নিয়মিত খাওয়ানোর ব্যবস্থা এবং পানীয় জাতীয় খাবার বেশি করে খাওয়াতে হবে।
  • জ্বর হলে কোনমতেই প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য কোন ওষুধ খাওয়ানো যাবে না।
  • জ্বর ভালো হওয়ার পরও ডেঙ্গু রোগী অনেক বিপদের সম্মুখীন হতে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী জ্বরের পরও সাবধান থাকতে হবে।
  • শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ডাক্তারের পরামর্শ মতই চলতে হবে।

ডেঙ্গু জ্বরের বিশেষ সর্তকতা

ডেঙ্গু রোগের বিস্তার সম্পর্কে যেমন আমরা আলোচনা করেছি তেমনি সতর্কতা সম্পর্কেও সচেতন থাকতে হবে। ডেঙ্গুর রোগে যেহেতু মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে তাই সচেতনতা বা সতর্ক থাকা দরকার। বেশ কিছু পরামর্শ মেনে চলতে হবে যেন ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ করা যায়। সামাজিক প্রতিরোধ এর মধ্যে খুবই জরুরী। 

যেমন এলাকায় যেসব স্থানে অতিরিক্ত পানি জমে আছে এমনকি বাসার ভেতর ফুলের টবে বা যেখানে সেখানে ভাঙ্গা আসবাবপত্রের ভিতরে যদি পানি জমে থাকে তবে তা অবশ্যই পরিষ্কার করতে হবে। তাছাড়া বাসার আশেপাশে বা রাস্তাঘাট সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি। টবের ভিতর জমে থাকা পানে অবশ্যই তিন দিনের মধ্যে ফেলে দিতে হবে। 

তা না হলে এডিস মশা সেই সব পানিতে ডিম পাড়ে। ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি পেরে ঘুমাতে হবে। পাতলা এবং আরামদায় পোশাক পরিধান ও শরীরে যেসব স্থান অনাবৃত অবস্থায় থাকে সেখানে মশা প্রতিরোধক ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। ঘরের জানালায় নেট লাগাতে হবে। আশেপাশের জমে থাকা পানি ফেলে দিয়ে ব্লিচিং পাওডার ছড়াতে হবে। 

ডাক্তারের পরামর্শ ডেঙ্গু রোগে

ডেঙ্গু রোগের বিস্তার ঘটার ফলে দিনে দিনে ডেঙ্গু রোগের প্রভাব যেহেতু বেড়ে যাচ্ছে তাই এখন জ্বর হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ মত চলতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ মত না চললে প্রাথমিক অবস্থা থেকে সেকেন্ডারি ধাপে উপনীত হবে এবং রোগীর অবস্থা আরো খারাপ হতে থাকবে। ডেঙ্গু হলে সর্বপ্রথম সচেতনতাই হচ্ছে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া। 

ডাক্তারের-পরামর্শ-ডেঙ্গু-রোগে

এরপর থেকে ডাক্তারের পরামর্শ মত পুরোটা সময় লক্ষ্য রাখা একমাত্র সমাধানের উপায়। সাধারণত ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী চললে খুব তাড়াতাড়ি রোগী সুস্থ হয়ে পড়ে। কিন্তু তবুও মাঝে মাঝে রোগীর অবস্থা অনেক খারাপ হয়ে যেতে পারে। সে সময় অবশ্যই রোগীর বিশেষ যত্ন দরকার। আর এরকম কঠিন সময়ের রোগীর যত্নের অভাবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ মত সঠিকভাবে না চলার কারণে রোগীর মৃত্যু ঝুঁকি পর্যন্ত তৈরি হতে পারে।

ডেঙ্গু রোগের বিস্তার সে বিষয়ে আরো কিছু প্রশ্ন

প্রশ্নঃ ডেঙ্গু হলে কি ওষুধ খাব?

উত্তরঃ ডেঙ্গুর জন্য বিশেষ কোনো ওষুধ এখন পর্যন্ত গবেষকরা বানাতে পারেননি। তবে ডাক্তাররা সাধারণত প্যারাসিটামল খাওয়ার নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। কোন ধরনের অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

প্রশ্নঃ ডেঙ্গু হলেই কি হাসপাতালে থাকতে হবে?

উত্তরঃ ডেঙ্গু হলেই হাসপাতালে থাকা লাগে না। কারণ অধিকাংশ রোগী প্রাথমিকভাবে ঘরে বসেই বিশ্রামের মাধ্যমে এবং ডাক্তারের পরামর্শ মত ওষুধ সেবন করে সুস্থ হতে পারেন। তবে কিছু রোগী আছে যাদের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। অনেক সময় তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর থেকেও খারাপ অবস্থায় আরো এক ধরনের রোগী আই সি ইউ তে থাকেন।

প্রশ্নঃ ডেঙ্গু জ্বর কখন হয়?

উত্তরঃ ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ সাধারণত জুলাই থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই সময় প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে চারপাশে ডোবা নালা এবং বিভিন্ন জায়গায় পানিতে ভরে যায়। বিভিন্ন পরিষ্কার পানিতে এডিস মশা প্রভাব বিস্তার করে। তাই এর আগেই যদি বিভিন্ন জায়গায় জমে থাকা পানি পরিষ্কার করে ফেলা যায়। তবে এডিস মশার হাত থেকে সকলে রক্ষা পাবে।

প্রশ্নঃ এডিস মশা কোন সময় কামড়ায়?

উত্তরঃ এডিস মশা সারা দিন কামরায় না। সাধারণত আলো থাকা অবস্থায় এটি বেশি কামড়ায়। কিন্তু অন্ধকার স্থানে এরা কামড়ায় না।

ডেঙ্গু রোগের বিস্তার কিভাবে ঘটে বিষয়ে লেখক এর মন্তব্য

ডেঙ্গু রোগের বিস্তার কিভাবে ঘটে এবং এর নিবারণের উপায় সম্পর্কে আমরা আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। বর্তমানে ডেঙ্গু জ্বর খুবই ভয়ানক এবং চিন্তার বিষয়। কারণ এই জ্বর হলে রোগী এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়েন যে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। এমনকি যেহেতু এই রোগের মৃত্যুর ঝুঁকিও বেড়ে গেছে তাই সচেতন হওয়া খুবই জরুরি। 

আমাদের দেশের জন্য অবশ্যই সরকারি বা বেসরকারিভাবে ডেঙ্গু রোগের প্রভাব এবং পরিণতি সম্পর্কে সকলকে ভালোভাবে বোঝাতে হবে। তা না হলে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হবে না। ডেঙ্গু জ্বর কিভাবে ছড়াচ্ছে সে বিষয়ে ধারণা থাকলে এডিস মশার উৎপত্তিস্থলগুলো বিনাশ করে দেওয়া সম্ভব। এতে প্রাথমিকভাবেই জ্বরের প্রকোপ কমে যাবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ফোকাস আইটি ইনস্টিটিউট এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url