কম খরচে ঘর সাজানোর আইডিয়া ও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
বেডরুম সাজানোর আইডিয়া থেকে শুরু করে টিনের ঘর পর্যন্ত কিভাবে সাজালে রুচিসম্পন্ন হবে আজকে সে বিষয়েও আলোচনা করা হবে। এমনকি বাজেট কম থাকলেও ডিজাইনারদের সাহায্যে একটি ঘর গুছিয়ে ফেলা যায়।
পেজ সূচিপত্রঃ ঘর সাজানোর আইডিয়া
- কম খরচে ঘর সাজানোর আইডিয়া
- বেডরুম সাজানোর টিপস
- বাড়ির প্রবেশদ্বার সাজানোর আইডিয়া
- ঘর সাজানোর বিষয়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
- ঘর সাজানোর শর্টকাট আইডিয়া বিষয়ে কিছু প্রশ্ন
- টিনের ঘর সাজানোর উপায়
- ঘর সাজানোতে প্রয়োজনীয় জিনিস
- ঘরকে সুন্দর দেখানোর জন্য বিশেষ সচেতনতা
- ঘর সাজানোর সহজ আইডিয়া বিষয়ে আরো কিছু প্রশ্ন
- ঘর সাজানোর আইডিয়া বিষয়ে লেখকের মন্তব্য
কম খরচে ঘর সাজানোর আইডিয়া
ঘর সাজানোর আইডিয়া অনেক রকম ভাবেই খুব কম সময়ের মধ্যে এবং কম খরচে করা সম্ভব। আজকে এমন কিছু হ্যাক এর বিষয়ে আলোচনা করব যেগুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনার নিজের ঘর টি খুব সুন্দর ভাবেই সাজানো সম্ভব হবে। ছোট ঘর সাজানোর উপায় সম্পর্কে আমরা নিচে ৪০ টি আইডিয়া শেয়ার করছি।
- ঘরের দেয়ালে এমন কিছু পেইন্টিং ব্যবহার করতে পারেন যা আপনার নিজেকে তৈরি করতে হয়। এর মধ্যে ডায়মন্ড পেইন্টিং অন্যতম। পছন্দমত কোন ছবি নিয়ে রেজিন ব্যবহারের মাধ্যমে এই ধরনের পেইন্টিং করা যায়।
- পছন্দের কোন দেয়ালে নিজের মন মত কালার ইউজ করে বা পেইন্টিং ব্রাশ এর মাধ্যমে রং করা সম্ভব। এতে দেয়ালে নিজেদের একটি স্মৃতি তৈরি হবে এবং সাথে সাথে সুন্দর একটি দেয়াল সজ্জিত হবে।
- ডাইনিং রুম বা বেডরুমের কোন একটি দেয়াল ফ্যামিলির ছবির ফ্রেমে সেজে উঠতে পারে। যা অনেক স্মৃতি চারণমূলক। পরিবারের জন্য আকর্ষণীয় একটি সাইট হবে।
- সেমি আউটডোর স্পেস বা বারান্দায় কিছু রঙিন বোতলের ফ্রেম তৈরি করতে পারে। যা কিনা একটি স্পেস সাজানোর প্রকল্প হতে পারে। কোন ক্যান অথবা অন্য অনেক কিছু দিয়েই এরকম একটি সুন্দর প্রকল্প তৈরি করা যায়।
- ওয়ালে থ্রিডি পেইন্টিং এর মত টিস্যু দিয়ে অথবা কাগজ দিয়ে ফুল লতা পাতার মাধ্যমে সাজানো যায়। যা একটি ওয়াল কে খুবই নন্দনীয় করে তোলে।
- পিকচার ফ্রেম ছাড়াও পিকচার হ্যাঙ্গার কোন কোন ওয়ালে বাঁধানো যেতে পারে।
- বাড়িতে কিছু ল্যাম্পশেড বানানো যেতে পারে। যা বাড়ির সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে তোলে এবং ঘরের কিছু অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দিয়েই তা বানানো যায়।
- বিছানার সামনে বেঞ্চ রেখে দিতে পারেন। আসবাবপত্র হিসেবে বিছানার সামনে এই ধরনের বেঞ্চ বর্তমানে মর্ডান ডিজাইনে খুবই প্রচলিত।
- সোফা বা বেড এ সুন্দর কুশন কভার বা রাগ দিতে পারেন। যা দেখতে অনেক সুন্দর হয়।
- ঘর সাজানোর ক্ষেত্রে পরিবারের বাচ্চাদেরও যোগদান করা উচিত। তাদের আট ওয়ার্ক ফ্রেম বানিয়ে কোন একটি দেয়ালে টানিয়ে দিতে পারেন।
- বর্তমানে বোহো ডিজাইন খুবই জনপ্রিয়। বোহো থিম ব্যবহার করে ঘর সাজানো যেতে পারে।
- করিডোরে বিশেষ কোনো আর্টওয়ার্ক অথবা মিরর যোগ করতে পারে। যা স্পেসটাকে অনেক বড় দেখাবে।
- আসবাবপত্রের সাথে ঘরের ভেতর গাছপালা রাখার চেষ্টা করা ভালো। এতে ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে সাথে সাথে পরিবেশ ও বিশুদ্ধ থাকবে।
- ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে কিছু কিছু জায়গায় বড় বড় আয়না যুক্ত করা যায়। এর সাথে যদি কিছু হ্যান্ড ওয়ার্ক থাকে তবে আয়নাটি আরও ড্রামাটিক ভাবে রিপ্রেজেন্ট হয়।
- বারান্দায় গাছ লাগানোর ক্ষেত্রে টপগুলো ওয়ালের সাথে ঝুলিয়ে দিতে পারেন। এতে জায়গা বাঁচবে এবং দেখতেও সুন্দর লাগবে।
- ঘরের কোন কোন জায়গায় ঝুলন্ত সেল্ফ যুক্ত করতে পারেন। যার অ্যাস্থেটিক ভিউ অনেক সুন্দর।
- জিওমেট্রিক কিছু তাক বানিয়ে নিতে পারেন ঘরের কোন একটি দেয়ালে। এই তাক গুলো দেখতে এমনিতেই সুন্দর হয় এবং সাথে যদি কোন শোপিস রাখা যায় তবে সৌন্দর্য আরো ফুটে ওঠে।
- ঘরের কোন একটি কোনায় রেকের প্রয়োজন হলে কাঠের রেক খুবই ইউজফুল হবে। এমনিতে এ ধরনের রেকের খরচ কম হয় এবং দেখতেও ইউনিক লাগে।
- ঘরের প্রবেশদ্বার অথবা অফিস রুমের বাইরে কাঠের কিছু ব্লগে কিছু উদ্ধৃতি লিখে ঝুলিয়ে দিতে পারেন। যা আপনার ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি প্রকাশ করবে।
- বাচ্চাদের ঘর এমনভাবে সাজানো উচিত যেন বাচ্চারা তা দেখে খুবই খুশি হয়। ঘরটি কালারফুল এবং ওয়ালগুলো বাচ্চাদের পছন্দের ক্যারেক্টারিস্টিক্স দিয়ে সাজিয়ে রাখা যায়।
- কিছু ওয়ালে ফ্রেমের সাহায্যে মেমোরেবল কিছু ঘুরতে যাওয়ার ছবি বা আনন্দের ছবি যুক্ত করা যায়।
- কিছু প্রিন্টেড ওয়ালপেপার রয়েছে যা ওয়ালে লাগালে সহজেই ওয়ালটি সুন্দর লাগে এবং এ কাজটি খুব কম সময়ে ও কম খরচে সম্পন্ন করা সম্ভব।
- ঘরের আসবাবপত্রে বিশেষ করে সোফার কুশন কালারফুল রাখার চেষ্টা করুন। এতে ঘরের ভেতর কিছুটা রংয়ের ছোঁয়া পাবে।
- সোফা সেটের সামনে কফি টেবিলের স্টাইল নিয়ে একটু চিন্তা করুন। সুন্দর সুন্দর কফি টেবিল এবং সাথে এক্সেসরিজ গুলো টেবিলটিকে আরো আকর্ষণীয় করে তোলে।
- এন্ট্রি তে একটি টেবিল রাখতে পারেন। যেখানে কিছু ফুলদানি এবং গাছ থাকতে পারে।
- ড্রয়িং রুমের একটি পাশে বুক সেলফ সেট করতে পারেন। যা রুমটিকে অনেক আকর্ষণীয় করে তোলে।
- শোবার ঘর সাজানোর ক্ষেত্রে সেন্টেড ক্যান্ডেল খুবই আকর্ষণীয় এবং রুমকে সুন্দর মিষ্টি গন্ধে ভরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে কাজে লাগে।
- রুমের কোন দেয়ালকে আকর্ষণীয় করে ফুটিয়ে তোলার জন্য গারো রং ব্যবহার করা যেতে পারে।
- বেডরুম সাজানোর আইডিয়ার ক্ষেত্রে ঘরের রং পছন্দ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে হালকা কালার সবচেয়ে নিরাপদ।
- ঘরে ফ্লোর ম্যাট বিছালে ঘরের সৌন্দর্য আরো বৃদ্ধি পায়। কোন কোন ক্ষেত্রে সোফায় বা বেডের উপর সুন্দর সুন্দর উলের ম্যাট বিছিয়েও কাজ সম্পন্ন করা যায়।
- ঘরে পর্দার ক্ষেত্রে বেডশিট বা সোফার কুশন এর সাথে মিক্স ম্যাচ করে পর্দার রং পছন্দ করতে পারেন।
- বাড়ির কোন একটি কর্নার কে খুব আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য বেশ কিছু সুভেনিয়র দিয়ে এবং এগুলো যদি বেশ কালারফুল হয় তবে ওই সেকশনটি ফোকাস্ট হবে। সাধারণত এ ধরনের সেকশন বসার ঘরে অথবা ডাইনিং রুমের এক কর্নারে করা হয়ে থাকে।
- ঘর সাজানোর ক্ষেত্রে সব সময় কেনার থেকে ঘরের কিছু দিয়েই কোন একটি অংশ সুন্দর করে সাজানো যায়। যেমন কোন একটি সাইটে নিজের হাতে বানানো কোন ল্যাম্পশেড অথবা টব অথবা কোন ডিআইওয়াই করে জায়গাটা কাভার করা যায়।
- ঘরে সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে পর্দার ডিজাইন পছন্দ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে ঘরে সিলিং থেকে ফ্লোর পর্যন্ত লম্বা পর্দা গুলো খুবই আকর্ষণীয় দেখায়।
- টেক্সচার্ট ওয়াল একটি ঘরকে অন্যরকম সৌন্দর্যে ডুবিয়ে দিতে পারে। ড্রয়িং রুমের একটি ওয়াল অথবা বেড রুমের বেডের পেছনের ওয়াল টি টেক্সচার্ড ওয়াল হলে ঘর ফুটে ওঠে। রং অথবা কাপড় বা কোন আশ দিয়ে এই টেক্সচার্ড ওয়াল তৈরি করা যায়।
- মাঝে মাঝে ঘরের আসবাবপত্রের স্থান পরিবর্তন করলে ঘরটিকে নতুন নতুন লাগে। আসবাবপত্র কোথায় রাখবেন তার ওপর নির্ভর করেও ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
- ঘর সাজানোর জিনিসপত্রের মধ্যে একটি ঝাড়বাতি বা স্পটলাইট খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ড্রয়িং রুমে অথবা ছোট রুম সাজানোর ক্ষেত্রেও ছোট ছোট স্যান্ডেলিয়ার সেট করা যেতে পারে।
- মাঝে মাঝে কিছু স্পটে কালারফুল লাইট যোগ করা যায়। যা ঘরটির সাজসজ্জা কে আরো বাড়িয়ে তোলে।
- নিজের পছন্দের কোন সংগ্রহ থাকলে সেগুলোও কোন তাকের মাধ্যমে রিপ্রেজেন্ট করা যেতে পারে। পছন্দের জিনিস সামনে থাকলে মন সবসময় ভালো থাকে।
বেডরুম সাজানোর টিপস
টিনের ঘর সাজানোর আইডিয়া আমরা অনেকগুলোই দিয়েছি। তবে বেডরুম সাজানোর বিষয়ে বেশ কিছু টিপস সম্পর্কে জানা জরুরী। বেডরুম ঘরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গা। যেখানে মানুষ বেশিরভাগ সময় অতিবাহিত করেন। তাই বেডরুমটি হওয়া উচিত নিজের একান্ত আপন। আর বেডরুমের সাজ সজ্জাও নিজের মতোই হওয়া জরুরী।
খুবই কম সময়ে বেডরুমকে আকর্ষণীয় ভাবে উপস্থাপন করার জন্য কিছু টিপস ফলো করলে সহজ সমাধান পাওয়া যায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সুন্দর সুন্দর কুশন এড করতে পারেন। এছাড়া কাঠের কিছু রেক যা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখতে পারে। ঘরের ভিতর নিজের বিশেষ কোন স্মৃতি চিহ্ন হিসেবে রেখে দেয়ার জন্য ফটো এড করা যেতে পারে।
বাড়ির প্রবেশদ্বার সাজানোর আইডিয়া
ঘর সাজানোর শর্টকাট আইডিয়া কম সময়ে পেতে হলে প্রথমেই সবাই প্রবেশদ্বারের পর ঘরের ডিজাইনটি কেমন হবে সেটা চিন্তা করে। কারণ বাইরে থেকে কেউ আসলে এই জায়গাটিই প্রথমে দেখেন এবং এখানে বসেন। তাই বাড়ির মানুষের মন-মানসিকতা এবং রুচিবোধ কেমন প্রবেশদ্বারের পরে অথবা ড্রয়িং রুমের সাজসজ্জা থেকে উপলব্ধি করা যায়।
ঘর সাজানোর বিষয়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
ঘর সাজানোর জন্য নিজের অনেক ডিআইওয়াই আইডিয়া থাকলেও অভ্যন্তরীণ ডিজাইনারদের অপিনিয়ন বা তারা কি চিন্তা করছেন বা বর্তমানে কোন ধরনের কাজগুলো করলে ঘর দেখতে আরো আকর্ষণীয় হবে তা জানা জরুরী। এজন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মত কাজ করলে আপনার ঘর সাজানোর সমস্যার সমাধান অনেকাংশেই হয়ে যায়।
- প্রথমত ঘরের টেক্সচার নিয়ে খেলা। ঘরের বেশ কয়েকটা কালারের ব্যবহার ঘরের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলার জন্য প্রয়োজন। কাঠের রং, দেয়ালের রং, প্রত্যেকটি ম্যাটারিয়ালস এর টেক্সচার ঘরটিকে আরো আকর্ষণীয় করে তোলে।
- জানালার বিষয়ে ডিজাইনে খুবই সচেতনতা দেখাতে হবে। আলো আসার সব ধরনের ব্যবস্থা ওপেন রাখা জরুরি।
- সব সময় প্রয়োজনীয় আসবাবপত্রই ঘরে রাখা উচিত। অতিরিক্ত বা অতিরঞ্জিত কোন আসবাবপত্র রেখে ঘরের সৌন্দর্যকে নষ্ট করা ঠিক নয়।
ঘর সাজানোর শর্টকাট আইডিয়া বিষয়ে কিছু প্রশ্ন
প্রশ্নঃ ঘর সাজানোর ক্ষেত্রে শুরুতে কি কি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি?
উত্তরঃ ঘর সাজানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই নিজের রুচি এবং ব্যক্তিত্বের বিষয়টি খেয়াল রেখেই কাজ করা দরকার। এক্ষেত্রে খুব সহজ উপায়ে কম খরচে ঘর সাজানো যায়। আবার অনেক বিশেষ উপায়ে বিশেষজ্ঞদের সাহায্যে নতুন করে ঘরকে গোছানো সম্ভব।
প্রশ্নঃ ঘর সাজানো কি কম খরচে সম্ভব?
উত্তরঃ কম খরচে সহজেই ঘর সাজানো যায়। আমরা উপরে এ বিষয়ে বেশ কিছু ধারণা আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। সময়ের প্রয়োজনে নিজের ঘর সাজানোর ক্ষেত্রে বাজেট কম করে সেইসব আইডিয়াগুলো দেখে আপনি নিজেই ঘর সাজাতে পারেন।
প্রশ্নঃ ঘর সাজানোর প্রয়োজনীয় প্রোডাক্ট কোথায় পাবো?
উত্তরঃ ঘর সাজানোর ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের উপাদানের জন্য বিভিন্ন রকম দোকান রয়েছে। আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী লাইটিং বা ফ্লোর এর কাজের জন্য টাইলসের দোকান অথবা কিছু আসবাবপত্রের দোকান এমনকি ওয়াল পেইন্টিং এর জন্য বিভিন্ন ধরনের অপশন পেয়ে যাবেন, যা এক এক ধরনের দোকানে কিনতে পাওয়া যায়।
প্রশ্নঃ ঘর সাজানোর জন্য বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেয়া কি দরকার?
উত্তরঃ বিশেষজ্ঞ এর সাহায্য নিলে আপনি খুব সহজেই রুচি এবং পছন্দ অনুযায়ী আধুনিক ও সুন্দর ভাবে আপনার বাড়ির ডিজাইন কমপ্লিট করতে পারবেন। এতে যেমন ঘর দেখতে নান্দনিক লাগবে তেমনি আপনার বাজেটেরও কোন হের ফের হবেনা।
টিনের ঘর সাজানোর উপায়
ঘর সাজানোর আইডিয়া পেলেও শুধুমাত্র সবাই ওয়াল করা পাকা দালানের কথাই চিন্তা করে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে যার ওয়াল করা ঘরে থাকার সামর্থ্য নেই সে কিন্তু টিনের ঘরে বসেও সুন্দর ভাবে গুছিয়ে ডিজাইন করে ঘরকে সাজাতে পারে। এমন ধরনের ঘর সাজানোর উপায় আমরা আলোচনায় রাখতে পারি।
এই ধরনের আইডিয়া শুধুমাত্র গ্রামের বাড়ির টিনের ঘরের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। আর গ্রামের সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশে কি ধরনের ঘর সাজানোর টুকিটাকি বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে সে বিষয়েই নিচে জানাবো।
- প্রথমত ওয়াল এবং ফ্লোর যদি কাঠের করা যায় তবে এমন পরিবেশে তা খুবই মানানসই।
- রংয়ের ক্ষেত্রে খুব সাবধানতার সাহায্যে ধূসর অথবা ম্যাট রংগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে।
- জানালা এবং দরজার ক্ষেত্রে ক্লাসিক শাটার ডোর ব্যবহার করা যেতে পারে। যা এ ধরনের পরিবেশকে কমপ্লিমেন্ট দেয়।
- ঘরের আসবাবপত্রগুলো একটু কালারফুল করে রাখা যেতে পারে। এতে ঘরের ব্রাইটনেস বৃদ্ধি পাবে।
ঘর সাজানোতে প্রয়োজনীয় জিনিস
ঘর সাজানোর আইডিয়া যখন বাস্তবায়ন করতে হবে তখন সাজানোর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো খুঁজে বের করা অনেক চ্যালেঞ্জের একটি বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। সাধারণত ছোট যে কোন রুম সাজানোর ক্ষেত্রে আমরা নিজেরাই পছন্দমত জিনিসপত্র কিনে সাজানোর চেষ্টা করি। এইসব ক্ষেত্রে আগে থেকে ঘর সাজানোর টুকিটাকি জিনিস কোথায় পাওয়া যায় তা জানা দরকার।
তবে সেগুলো খুজে পেতে এবং সে অনুযায়ী আগে থেকেই ডিজাইনটি মাথায় তৈরি করতে সুবিধা হয়। আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের উপাদান দিয়েই ঘর সাজানো যেতে পারে। ঘর গোছানোর ক্ষেত্রে মাটির আসবাবপত্র অথবা কাঁসা-পিত বা স্টিলের আসবাবপত্র এমনকি কাঠ বা বোর্ড এর ব্যবহারও হয়ে থাকে। বিভিন্ন শহরে এই ধরনের আসবাবপত্রের দোকান রয়েছে।
নিজের প্রয়োজন মত গিয়ে উক্ত আসবাবপত্র গুলো দিয়েই সুন্দর করে ঘরকে গুছিয়ে ফেলা যায়। এমনকি ঘরের জন্য প্রয়োজনীয় কার্পেট বা পর্দা ও একই ধরনের দোকানে পাওয়া যায়। ইলেকট্রিক সরঞ্জাম ইলেকট্রিকের দোকানে কিনতে পাবেন। এছাড়া রঙের দোকান থেকে পছন্দমত কালার নেওয়া অথবা কালার তৈরি করাও এখন পর্যন্ত সম্ভব হচ্ছে।
ঘরকে সুন্দর দেখানোর জন্য বিশেষ সচেতনতা
ঘর সাজানোর যত রকম আইডিয়াই থাকুক না কেন ঘরকে সুন্দর দেখানোর জন্য বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। ঘর যেহেতু নিজের মনের এবং পছন্দের একটি জায়গা তাই এটি নতুন করে ডেকোরেশন করুন বা না করুন কিছু টিপস এবং ট্রিক্স ফলো করলে আপনার ঘর এমনিতেই সুন্দর থাকবে। এর মধ্যে প্রথমেই থাকে ঘরকে নিয়মিত এবং প্রতিদিন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।
ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না রাখলে সাজানো ঘর ও দেখতে খারাপ লাগে। এছাড়াও ঘরে গাছ বা সবুজের হালকা আভাস রাখা জরুরী। কিছু গাছ রয়েছে যা ঘরের বাতাসকে বিশুদ্ধ রাখতে সাহায্য করে। এতে ঘর দেখতেও সুন্দর লাগে। এছাড়া ইচ্ছামত আসবাবপত্র কেনা থেকেও বিরত থাকা উচিত। খুবই কম আসবাবপত্র ব্যবহারে বেশি সুন্দর লাগে এবং ঘর পরিষ্কার করতেও সুবিধা হয়।
ঘর সাজানোর সহজ আইডিয়া বিষয়ে আরো কিছু প্রশ্ন
প্রশ্নঃ ঘর আকর্ষণীয় করে উপস্থাপন করার জন্য কোন বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে?
উত্তরঃ ঘর আকর্ষণীয় করে উপস্থাপনের ক্ষেত্রে অবশ্যই ঘরের রং, ফ্লোর টাইলস, লাইটিং এবং ফার্নিচারের বিষয়ে পছন্দ সই অপশন খুঁজে নিতে হবে।
প্রশ্নঃ টিনের বাড়িকে কি সুন্দর করে সাজানো সম্ভব?
উত্তরঃ যেকোনো ঘর সেটা টিনের বা ওয়াল করা হোক না কেন ঘরের ভেতর আপনি চাইলেই সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখতে পারেন। টিনের ঘরের ক্ষেত্রেও মেটেরিয়াল ব্যবহার করে ঘরকে ওয়াল করা ঘরের মতোই সাজানো সম্ভব। স্বাদ এবং সাধ্যের মধ্যেই ডিজাইন করা যায়।
প্রশ্নঃ একটি ছোট্ট ঘর সাজাতে সর্বনিম্ন কত খরচ হয়?
উত্তরঃ ঘর সাজাতে খরচের পরিমাণ বিভিন্ন খাতে পরিবর্তন হতে পারে। খুব কম খরচে যদি ঘর সাজাতে চান তবে অবশ্যই সর্বনিম্ন পঞ্চাশ হাজার বা এর থেকেও কম খরচ হতে পারে।
ঘর সাজানোর আইডিয়া বিষয়ে লেখকের মন্তব্য
ঘর সাজানোর আইডিয়া আমরা উপরে অনেকভাবেই কম খরচে এবং সহজ উপায়ে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। ঘর সবারই আপন একটি জায়গা। সেই জায়গাটি নিজের পছন্দমত রুচিশীলভাবে গুছিয়ে নেওয়াটা খুবই জরুরী। ঘর সুন্দর পরিপাটি থাকলে মন ভালো থাকে। নিজের মনের মত সাজাতে পারলে মনের শান্তি অনুভুত হয়।
ফোকাস আইটি ইনস্টিটিউট এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url